মাটিরাঙ্গার নতুন পাড়া সরকারি বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন
মো.ফারুক হোসেন, মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: নানা আয়োজনে উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যে ব্যতীক্রমভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে মাটিরাঙ্গার নতুনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।১৭ মার্চ শুক্রবার সকাল দশটার দিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কেক কাটা, বঙ্গবন্ধুর জীবনী পাঠ, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন নতুন পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কীর্তি ভূষণ ত্রিপুরা।এছাড়াও, নতুন পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সাজিয়েছেন লাল সবুজে করেছেন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার, শেখ রাসেল কর্ণার, বঙ্গবন্ধু বুক কর্ণার, রেখেছেন ৭জন বীরশ্রেষ্ঠর প্রতিকৃতি, জাতীয় চার নেতা, জেনারেল ও শহীদ বুদ্ধিজীবীগণের প্রতিকৃতি, যুদ্ধকালীন সেক্টর কমান্ডারগণের প্রতিকৃতিসহ একাত্তরের অনেক স্মৃতি।নতুনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী বলেন, নতুন পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে খুব সহজেই জানা যাবে। স্কুলে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত অনেকগুলো বই নিয়ে বঙ্গবন্ধু বুক কর্ণার রয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. হানিফ মজুমদার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে প্রবেশ করে আমার প্রাণ জুড়িয়ে গেছে। এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা রয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কিত বই রয়েছে। শেখ রাসেল কর্ণার রয়েছে। এই স্কুলের শিক্ষকরা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ছোট ছোট শিশুদের যে শিক্ষা দিচ্ছেন, সত্যিই আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি গর্বিত বাঙ্গালী। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা'যে শিক্ষা পাচ্ছে, আমি গর্ব করে বলতে পারি ওড়া বড় হয়ে একদিন এক একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে তৈরি হবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. হানিফ মজুমদার, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলি মিয়া, স্কুলের প্রধান শিক্ষক কীর্তি ভূষণ ত্রিপুরা, সহকারী শিক্ষক-শিক্ষীকা ও শিক্ষার্থীরা।