শ্রীমঙ্গলে আবাসিক হোটেলে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে খুনের সাথে জড়িত মূল আসামিকেও গ্রেফতার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।৬ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল থানায় প্রেস ব্রিফিং করে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে শ্রীমঙ্গল নতুনবাজার হোটেল মুন থেকে অর্ধগলিত অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মৃত ব্যক্তির নাম মো. ইন্তাজ মীর। পেশায় অটোরিকাশা চালক। তিনি কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা গ্রামের মৃত ইনু মীরের ছেলে।গত ৩০ নভেম্বর হোটেল মুন-এর ২০২ নাম্বার কক্ষটি মৌলভীবাজারের বর্ষিজোড়া এলাকার সুজন নামের এক ব্যক্তি ভাড়া নেন। খুনের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে ২০২নং রুমে অবস্থান করা সুজন নামের ওই ব্যক্তির খোঁজে মাঠে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্থাগঞ্জ থেকে সুজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সুজন জানায়, সে পেশায় একজন বাবুর্চি। ইন্তাজ মীরের অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিতেই হোটেলে ডেকে এনেছিল। পরে রাতের কোনো এক সময় তাকে গলা টিপে হত্য করে মরদেহ ২০৩নং রুমের খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।সুজনের অবস্থান করা ২০২নং রুম থেকে নিহত ইন্তাজ মীরের ব্যবহৃত কিছু জামা কাপড় ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ইন্তাজের অটোরিকশাটি শ্রীমঙ্গলের আশিদ্রোণ ইউনিয়ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।প্রেস ব্রিফিংকালে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) তাপশ চন্দ্র রায়সহ শ্রীমঙ্গল থানার অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, হোটেল রুম থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের পর তার পরিচয় নিশ্চিত করে মূল আসামিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার সুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মৌলভীবাজার জেলা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।