• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৯:২১:৪৫ (28-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৯:২১:৪৫ (28-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৪টিতে নৌকা, ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভোটগ্রহণ শেষে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ৭ জানুয়ারি রোববার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান ফলাফল ঘোষণা করা হয়।বেসরকারি ফলাফল সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৬টি আসনে ৩২ জন জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারমধ্যে ৪টিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।  তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, বর্তমান সংসদ বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ কে এমরামুজ্জামান দিগুণ ভোট পেয়ে হারিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামান পেয়েছে ৮৯ হাজার ৭৫৮ ভোট । আর আওয়ামী লীগ প্রার্থী বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম পেয়েছে ৮৬ হাজার ৬৩৩ ভোট।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রতীক নেই। তাই মহাজোটে নির্বাচিত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন জাতীয় পার্টির রেজাউল ইসলাম ভূইয়া। তবে নির্বাচনের লড়াইটা যেন ছিল দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী কলার ছড়ি মার্কার  মঈনুদ্দিন মঈন ও ঈগল মার্কার জিয়াউল হক মৃধা। দিনভর ভোট যজ্ঞ শেষে আসনটিতে এলো নতুন মুখ। ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে পাস করেছেন কলার ছড়ি মার্কার মঈনুদ্দিন মঈন। সেখানে তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল মার্কার প্রার্থী, সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা ৫৫ হাজার ৪৩১  ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন বর্তমান এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র হিসেবে কাঁচি মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ফিরোজুর রহমান। তারা ছাড়া এই আসন থেকে আরো ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে ভোটের লড়াইয়ে নৌকা প্রতীক প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৭২ ভোটে জয়ী হয়েছেন। সেখানে তারই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন (কসবা-আখাউড়া) আসনে নির্বাচনের প্রথম দিক থেকেই বর্তমান এমপি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ছিলেন নির্ভার। প্রতিপক্ষ হিসেবে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে পাত্তা পাওয়ার মদো ছিল না তেমন কোনো প্রার্থীর। তাই ভোট গ্রহণ শেষে ২ লাখ ২১ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে আইনমন্ত্রী আবারো জয় লাভ করেন। তারই নিকটতম প্রার্থী বাংলাদেশ তরিকত আন্দোলনের সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে (নবীনগর) আসন থেকে নৌকা মনোনয়ন পেয়ে ভোটের মাঠে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। তবে আসনটি থেকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত প্রার্থী কেউ ছিল না। এতে অনেকটাই নিশ্চিত ছিল নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। তাই ভোট গ্রহণ শেষে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়ে আবারো সংসদ সদস্য হলেন ফয়জুর রহমান বাদল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৫ ভোট পেয়েছেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসন (বাঞ্ছারামপুর) আসনে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯১৩ ভোটে জয় লাভ করছেন বর্তমান সাংসদ ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম। এ নিয়ে তিনি চার বার সংসদ নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রার্থী লাঙ্গল মার্কার আমজাদ হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৬ ভোট।

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান