ভেদরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন এক নারী। ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নের প্রধানিয়া কান্দি এলাকার প্রেমিক সাজ্জিদ হোসেনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি।প্রেমিক সাজ্জিদ হোসেন চরভাগা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার সাজেদা বেগম ও আবুল কালামের ছেলে। ভুক্তভোগী ওই নারী উপজেলার একই ইউনিয়নের চরভাগা ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মনাই হাওলাদার কান্দি গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর প্রেমিক সাজ্জিদ হোসেন বাড়ি থেকে পালিয়েছেন।ওই নারী জানান, তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিক সাজ্জিদ তাকে একাধিকবার ‘ধর্ষণ’ করেছে। সম্প্রতি বিষয়টি পরিবার জেনে যায়। এরপর থেকেই সাজ্জিদকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে রাজি হননি প্রেমিক। ছয় মাস আগে তিনি সাজ্জিদের বাড়িতে গিয়ে তার মা ওয়ার্ডের মেম্বার সাজেদা বেগম এবং পিতা আব্দুল কালামকে বিষয়টি জানান। ওই সময় তারা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দেন। এখন সেই সম্পর্ক অস্বীকার করছে প্রেমিক। তার পরিবারও এই সম্পর্ক মানতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে তিনি অনশন শুরু করেছেন। প্রেমিক বিয়ে না করলে আত্মঘাতি হবেন বলেও জানান ওই নারী।এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা।মেয়ের মা কাকুলি বেগম জানান, তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমার মেয়েটাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিয়ে মারপিট ও নির্যাতন করছে। ছেলের বাবা আবুল কালাম প্রধানিয়া বারবার পুলিশের ভয় দেখাচ্ছে। তারা টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। তিনি অভিযোগ করেন, ইজ্জতের মূল্য তো আর টাকা দিয়ে পূরণ হয় না।ছেলের বাবা আবুল কালাম জানান, এক তরুণী সকাল থেকে আমাদের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছেন। প্রতিপক্ষরা তাদেরকে হয়রানি ও ফাঁসানোর জন্য এমনটা করছে বলে তিনি দাবি করেন।চরভাগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান সিকদার জানান, এ ঘটনাটির ব্যাপারে উভয় পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং বিষয়টি যতদ্রুত সম্ভব সামাজিকভাবে মিমাংসা করতে বলা হয়েছে।এ বিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান হাওলাদার জানান, এ নিয়ে ওই নারী এখনও থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।