পড়া না পারায় পটুয়াখালীতে ছাত্রকে প্রহার, হাসপাতালে ভর্তি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: সময়মতো পড়া প্রস্তুত করতে না পারায় পটুয়াখালীতে হাফেজিয়া মাদ্রাসার ইমরুল কায়েস (১১) নামের এক শিক্ষার্থীকে মাধরের ঘটনা ঘটেছে। অবস্থার অবনতির কারণে অসুস্থ ছাত্র বর্তমানে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।৩ জুলাই বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।জানা যায়, ইমরুল কায়েস পটুয়াখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক (রাঃ) হেফজ কোরআন নূরানী মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র। ঘটনার দিন ফজরের নামাজের পর ভোর ৬টায় কোরআন শরিফ নিয়ে পড়তে বসে। এ সময় শিক্ষক হাফেজ মুফতি আতাউল্লাহ ইমরুলকে পড়া জিজ্ঞেস করলে সে সঠিকভাবে পড়া বলতে না পারায় বেধরম মারধর করে। তখন সে অসুস্থ হয়ে পড়লেও শিক্ষকরা তাকে বুঝিয়ে রুমে বিশ্রামে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু কায়েস অসুস্থ বোধ করলে দুপুরে খাবারের ফাঁকে পালিয়ে মাদ্রাসা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বাবা মায়ের কাছে চলে আসে। অসুস্থতার মাত্রা স্বাভাবিক মনে করে স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে ঔষধ খায় তবে শুক্রবার সকাল থেকে অবস্থার অবনতি হলে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।ইমরুলের ফুপু নার্গিস আক্তার বলেন, মাদ্রাসায় শিক্ষক মুফতি আতাউল্লাহ ইমরুলকে মারধরের কারণে সারা পিঠ-পাছা ও রানে দাগ হয়েছে। হাতের একটি আঙুল নাড়াচাড়া করতে পারছে না। আমি ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।