• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ১২:৪৫:২০ (29-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ১২:৪৫:২০ (29-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

ভুয়া নিবন্ধন সনদে বার বছর ধরে চাকরি করছেন নওগাঁর ময়না খাতুন

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরের মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক মোছা. ময়না খাতুনের বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি এই সনদ দিয়ে ১২ বছর ধরে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন।অনুসন্ধানে জানা যায়, ময়না খাতুন ২০০৭ সালের পাশ করা একটি শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে ওই বিদ্যালয়ে ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর বাংলা বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেছেন। কিন্তু এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইটে সেই সনদের রোল নাম্বার দিলে সনদধারীর কোনো তথ্য আসে না। জেলা শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করলে ওই রোল নম্বরধারীর কোনো তথ্য জেলা শিক্ষা অফিসের রেজিস্ট্রারেও পাওয়া যায়নি।নিয়োগের সময় তিনি যে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জমা দেন তার রোল নম্বর ৫১০১০০৫১ এবং নিবন্ধন নম্বর ৭০০৬০৮১। সেই সনদের আবশ্যিক বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর ৪৪ এবং ঐচ্ছিক বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৩। এরপর তিনি ২০১১ সালের ১ মে বি.এডসহ এমপিওভুক্ত হন। এমপিওতে তার ইনডেক্স নং ১০৫৭৯১৪। তখন থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত তিনি চাকরি করে বেতন উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এরমধ্যে তিনি গত ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে উচ্চতর স্কেলে বেতন গ্রহণ করছেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করেছেন।মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক মোছা. ময়না খাতুন বলেন, আমার সকল তথ্য বিভিন্ন অফিসে আছে, সেখান থেকে সংগ্রহ করে নেন। আর আপনাকে কেন আমি তথ্য দিবো? আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাইলে আমি তাদের কাছে দিবো। এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে লাইন কেটে দেন।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) উজ্জ্বল কুমার সরকার বলেন, তাকে জানানোর পর তিনি তার কাগজপত্র আমাকে দেননি। তাই আমি আপনাকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারছি না। আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে কোনো নির্দেশনা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে ওই শিক্ষকের বিস্তারিত তথ্য বিদ্যালয়ের অফিস কপি থেকে দিয়েও তিনি সহযোগিতা করেননি।উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি তাই আমি কিছুই জানি না। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যদি জাল হয় তাহলে যাচাই সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান