ঈদগাঁওয়ে গৃহবধূর রহস্যজনক আত্মহত্যা
মো. ওসমান গনি ইলি, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে কাদের সুলতানা রুমি আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। নিহত রুমি আক্তার নাপিতখালী গ্রামে আবুল কালামের মেয়ে। খবর পেয়ে নিহত রুমি আক্তারকে উদ্ধার করেন পুলিশ।১৫ মার্চ বুধবার রাতে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড উত্তর নাপিতখালীর আবুল কামালের বসত ঘরের সিলিন ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁশ লাগিয়ে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে।জানা যায়, রুমি আক্তারের সাথে ৬ বছর আগে চকরিয়ার এক ছেলের সাথে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে মনোমালিন্য হয়ে ডিভোর্স হয় তার।নিহতের পিতা আবুল কালম সৌদি প্রবাসী। মুঠো ফোনে জানান, আমার বাড়িতে আপতত প্রাভেট মাস্টার নেই। তাই আমি রুমিকে বলি নাতনিকে ঠিক মত পড়াতে, এই টুকুতেই রুমি রাগ করে গলায় ফাঁশ লাগিয়ে আত্মহত্যা করবে বলে ভিডিও কল দেয় আমায়।তিনি বলেন, ছেলে ও নাতিকে পড়াতে প্রতিবেশি শাহিন নামে একজন প্রাইভেট মাস্টারকে রাখা হয়। সেই সুবাদে তিন বছর ধরে রুমি ও শাহিনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গডে উঠে। পরবর্তীতে জানাজানি হলে রুমিকে বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করেন প্রাভেট মাস্টার। এর জেরধরে রুমি আত্মহত্যা করেছে বলে আমি মনে করছি।ঈদগাঁও থানার ওসি গোলাম কবির বলেন,নিহতের মা রেনু আক্তার কল করে বলেন তার মেয়ে গলায় ফাঁশ লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। খাটের উপর শুয়া অবস্থায় লাশ দেখে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে, পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন।সচেতন মহলের দাবি এই টা কি পরিকল্পিত হত্যা? না সাজানো আত্মহত্যা? কেন প্রশাসন টাকার বিনিময়ে লাশ ময়নাতদন্তে না পাঠিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ হস্তান্তর করেছেন। এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসি। সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় এলাকাবাসি।