তানোরে কোল্ড স্টোরেজের সামনের যানজটে চরম দুর্ভোগ
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলা কোল্ড স্টোরেজের সামনে দুর্বিষহ যানযটে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন তানোর রাজশাহী সড়কের যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, অটো, সিএনজি মটরসাইকেল চালকরা।কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও শৃঙ্খলার অভাবেই এই যানযটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চলাচলকারী এসব যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।তারা বলছেন, কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষ আলুর ট্রাক ও ট্রলি ভেতরে না নিয়ে মেইন সড়কের উপর ঘণ্টা পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখছেন। ফলে, দীর্ঘসময় ধরে তানোর-রাজশাহী সড়কের জিওল মোড়ের দক্ষিণের রাস্তা থেকে কাশেম বাজার হয়ে কালিগঞ্জ এবং কালিগঞ্জ থেকে চান্দুড়িয়া মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, কাশেম বাজার পেট্রোল পাম্পের সামনে এ.এম কোল্ডস্টোর, কালিগঞ্জ মদিনা কোল্ডস্টোর এবং তামান্না কোল্ডস্টোর কর্তৃপক্ষ যদি রাস্তার ওই আলুর ট্রাক ও ট্রলিগুলো শৃঙ্খলার জন্য কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী রাখতেন তাহলে এ ধরনের যানজট তৈরি হতো না।আলু বিক্রেতা কৃষকরা বলেন, অন্য কোনো বছর আলু নিয়ে কোল্ডস্টোরে এসে এমন দুর্ভোগের শিকার হতে হয়নি। কিন্তু এবছর কোল্ডস্টোরে শ্রমিকের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় আলু বোঝাই ট্রাক ও ট্রলি নিয়ে ঘণ্টা পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এ কারণেই রাস্তায় যানযটের সৃষ্টি হচ্ছে।রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী এক বাস চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, স্টোর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও শৃঙ্খলার অভাবে এমন দুর্বিষহ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।রাজশাহী জেলা ও বিভাগীয় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মইদুল ইসলাম বলেন, ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে তানোর যাওয়ার পথে বিকাল ৪টার দিকে কাশেম বাজার এ.এম কোল্ডস্টোরের সামনে দীর্ঘ যানযটের কবলে পড়ি। ১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অপেক্ষার পর সেখান থেকে হেঁটে তারপর মটরসাইকেল যোগে আমার সহকর্মী তানোর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ফাইজুল ইসলামের জানাজায় উপস্থিত হয়েছিলাম। সেখানে কোল্ডস্টোর কর্তৃপক্ষ যদি কয়েকজন সেচ্ছাসেবী রাখতেন তাহলে এ ধরনের যানজটের সৃষ্টি হতো না।তিনি আরও বলেন, কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও শৃঙ্খলার অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন জনসাধারণ। তিনি প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করে জনগনের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য অনুরোধ জানান।এ বিষয়ে এ.এম কোল্ডস্টোর ম্যানেজার জালাল উদ্দীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অন্য বছরগুলোতে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ হাজার বস্তা আলু নিয়ে কৃষক স্টোরে আসতেন। কিন্তু এ বছর প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ হাজার বস্তা আলু নিয়ে কৃষকরা স্টোরে আসছেন। এ কারণে আলু কোল্ড স্টোরে ঢোকাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি কৃষকদের স্বার্থে সকলকে ধৈর্য্য ধরার আহবান জানান।তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, যানজটের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে নিরসনের জন্য কাজ করা হচ্ছে।