শ্রীপুরে অবৈধ জেদ্দা হাউজিংয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনের একশন
গাজীপুরের (শ্রীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে এক ইঞ্চি জমিও সাফ কাবলা না কিনে সামান্য কিছু জমি বায়না করে বিশাল সাইনবোর্ড লাগিয়ে ৯০০ বিঘা জমির অবৈধ লে আউট বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালানো সেই জেদ্দা হাউজিং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।উপজেলার ৭নং কেওয়া মৌজাস্থিত পাথার বাইদটি তিন ফসলী ধানের জন্য এবং পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঔতিহাসিক লবণহ নদের পানি দিয়ে ফসল উৎপাদন করেন কৃষকরা।৩ জুলাই বৃহস্পতিবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আতাহার শাকিল মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে একটি সাইনবোর্ড সরিয়ে দিলে শুক্রবার আবার প্রতিষ্ঠানটি সেখানে সাইনবোর্ড স্থাপন করলে ৫ জুলাই শনিবার পুনরায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়।প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবাসন প্রকল্প গ্রহণে হাউজিং কোম্পানীকে সাতটি শর্ত পুরণ করতে হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কোম্পানির নামে ১০ একর জমি থাকতে হবে, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ৩ ধাপের ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসনের দায়মুক্তি সনদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেদ্দা হাউজিং লিমিটেডের নামে ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কিছুই নেই।স্থানীয় কৃষক মঞ্জুরুল হক বলেন, এটা আমাদের ধান উৎপাদনের একমাত্র জায়গা এটা আমরা কোনো অবস্থাতেই আবাসন কোম্পানীর কাছে বিক্রি করবো না। জেদ্দা হাউজিং আমাদের জমির মাঝখানে সামান্য কিছু জমি নিয়ে বিশাল বড় সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে।কৃষক আব্দুস সাত্তার মোল্লা বলেন, প্রশাসন আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিয়েছে এজন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে যাতে এ অপরাধীরা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠতে না পারে সে জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ রইলো।আরেক কৃষক রনি জানান, আমাদের সাথে কথা না বলে আমাদের জমির ভিডিও ফুটেজ বানিয়ে জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছে জেদ্দা হাউজিং। এটি সুস্পষ্ট প্রতারণা। এই বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়ায় আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।জানতে চাইলে জেদ্দা হাউজিং লিমিটেড এর চেয়ারম্যান হাফেজ আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ প্রকল্পে আমার কোনো বিনিয়োগ নেই, আমাকে বসানো হয়েছে, এ বিষয়ে আমাদের আইনজীবী সব বলতে পারবেন। তবে তিনি আইনজীবীর নাম পরিচয় দিতে। অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।