• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১ ভোর ০৫:২৯:১৭ (28-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১ ভোর ০৫:২৯:১৭ (28-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

বদলে ফেলা হচ্ছে গাইবান্ধার ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম

ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: শ্রুতিকটু হওয়ায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বদলে ফেলছে ফুলছড়ি উপজেলাসহ গাইবান্ধার ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম।প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ২৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে গত ৩ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে এ মন্ত্রণালয়। বদলে দেয়া ওই সব বিদ্যালয়ের মধ্যে গাইবান্ধার দুটি উপজেলার ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামও রয়েছে।এর আগে ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা-২০২৩ জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা-২০২৩ এর সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক ভাবার্থ সংবলিত। যা শিশুর রুচি, মনন, বোধ ও পরিশীলিতভাবে বেড়ে ওঠার বড় অন্তরায়।তাই এ মন্ত্রণালয় এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী এ রকম নেতিবাচক ভাবার্থ সংবলিত নাম পরিবর্তন করা হবে।নীতিমালা-২০২৩ জারি করে বলা হয়, ‘প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে শিশুদের বুনিয়াদি শিক্ষা। শিশুদের শিক্ষা জীবনের প্রথম ধাপের সেই বুনিয়াদি শিক্ষাঙ্গনের নাম যখন হয় ‘গলাকাটি’, ‘ধুতিচোরা’, ‘পাগলার চর’ এর মতো নাম, তখন নানাভাবে ট্রলের শিকার হয় ওই বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা। যেখানে শিক্ষা জীবনের প্রথম সিঁড়িতেই শিশুদের মনে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।ওই সব বিদ্যালয়ের নেতিবাচক নামের ফলে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে সচেতন মহলের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল শ্রুতিকটু শোনায় এমন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর নাম পরিবর্তন করা হোক। অবশেষে এমন দায়িত্বশীল যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের গত ৩ এপ্রিল শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক অর্থ দাঁড়ায় এমন ধরনের দেশের ২৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, প্রথম পর্যায়ে ৩০টি জেলায় শ্রুতিকটু নাম পরিবর্তন করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৪৮টি। যার মধ্যে গাইবান্ধার রয়েছে ৯টি। এ জেলার সদর উপজেলার চারটি এবং ফুলছড়ি উপজেলার পাঁচটিসহ মোট ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।নাম পরিবর্তন হওয়া ফুলছড়ি উপজেলার বিদ্যালয়গুলো হলো- ফুলছড়ি উপজেলার ‘গলাকাটি’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পাল্টে হচ্ছে ‘আনন্দ বাজার’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘পাগলার চর’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাল্টে ‘ভোরের পাখি’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘নাপিতের হাট’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাল্টে ‘থানাপাড়া আদর্শ’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘বাজে ফুলছড়ি’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাল্টে ‘চর ফুলছড়ি’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ‘কঞ্চিপাড়া ১ নং’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরর নাম পাল্টে হচ্ছে ‘কঞ্চিপাড়া আদর্শ’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বেলাল হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ফুলছড়ি উপজেলার পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পাল্টানো হয়েছে। পাল্টে যাওয়া নামগুলো ছিল শ্রবণকটু। যা শিশুদের মনে খারাপ প্রভাব ফেলত।’তিনি আরও বলেন, ‘রমজান এবং ঈদের ছুটি শেষ হয়ে বিদ্যালয় খুললে নাম পাল্টে যাওয়া বিদ্যালয়গুলোর সাইনবোর্ডে নাম পাল্টে দেয়া হবে। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে সকল পেপারসে নাম পরিবর্তনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘অর্থহীন নামগুলো থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। যার কারণে মানুষ সন্তানের খুঁজে খুঁজে উজ্জ্বল-সুন্দর এবং অর্থপূর্ণ নাম রাখেন। ইতিহাসে যে সব নাম উজ্জ্বল সে সব নাম রাখার চেষ্টা করেন। একই রকম বিদ্যালয়গুলোর নামের বেলাতেও।তিনি আরও বলেন, ‘তবে যেকোনো কারণে হোক সারা দেশেই স্থানীয় পর্যায়ের লোকজনের মাধ্যমে কিছু বিদ্যালয়ের বা শ্রুতিকটু নাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু ওইসব নাম পরিবর্তনের উদ্যোগটি একটি ভালো দিক।’শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘পরিবর্তন করা অর্থপূর্ণ, শ্রুতিমধুর এবং ইতিহাস সমৃদ্ধ এসব নাম কোমলমতি শিশুদের মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। একই সঙ্গে শিশুরা গর্বের সঙ্গে তারা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম উচ্চারণ করবে।’

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান