• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১২ই শ্রাবণ ১৪৩১ সকাল ১১:৪৩:২১ (27-Jul-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১২ই শ্রাবণ ১৪৩১ সকাল ১১:৪৩:২১ (27-Jul-2024)
  • - ৩৩° সে:

চরমপন্থীদের সাথে মিটিং করে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে: শাহীনুজ্জামান শাহীন

পাবনা প্রতিনিধি: চরমপন্থীদের সঙ্গে মিটিং করে নীল নকশা তৈরি আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নকশাল সর্বহারা দিয়ে আমাকে হত্যা করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব।এমন অভিযোগ তুলেছেন পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন।৯ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে সুজানগর পৌরসভার সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এমন অভিযোগ করেন তিনি।এর আগে দুপুরের দিকে উচ্চ আদালত থেকে একটি হত্যা মামলায় জামিন নিয়ে আরিচা-কাজিরহাট ফেরিঘাট হয়ে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নিজ উপজেলায় আসেন তিনি। এরপর স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।এ সময় প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শাহীনুজ্জামান শাহীন। এ সময় তিনি বলেন, কাউকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখা যায় না। যার নেতৃত্বে মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে সুজানগরের জনগণ তাকে প্রত্যাখান করেছেন। বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার না করলে জনতা রাজপথে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে শাহীন বলেন, সুজানগরের আপামর জনতার যে ভালোবাসা পেয়েছি, তার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব। তিনি দলের সাধারণ সম্পাদকের নামে মামলা দিয়ে নিজ এলাকায় সহিংসতা লাগিয়ে প্রমোদ ভ্রমণে সমুদ্র সৈকতে সহকর্মীদের নিয়ে উল্লাস করছেন। দলের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে উনি আনন্দ উল্লাস কিভাবে করেন বলে প্রশ্ন তোলেন শাহীন।’শাহীন আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘আব্দুল ওহাব যুবলীগ নেতা আল আমিন হত্যার সময় উপস্থিত ছিলেন। এজন্য নিহতের আত্মীয় স্বজন ওহাবের নামে মামলা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি নিজেই আওয়ামী লীগের সভাপতির নামে মামলা হতে দেইনি। অথচ, তারই এক সমর্থক বলে দাবি করা মোজাহার বিশ্বাস হত্যা মামলায় তিনি আমাকে আসামি করিয়েছেন।’তিনি উল্লেখ করেন, ‘মোজাহার নামের ওই ব্যক্তি রানীনগরের একজন প্রতিষ্ঠিত চোর ছিল এবং সে আল আমিন হত্যার ১৬ নম্বর আসামি ছিল। আমার নির্দেশে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ, তখন আমি নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। এই মামলায় আমাকে প্রধান আসামি করা হলো! আমি যখন জামিন নিতে হাইকোর্টে যাই, বিচারকরা আশ্চর্য হয়েছেন এই ঘটনা শুনে। এই মামলা আমার নামে কীভাবে হয়েছে?’হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘ওহাব সাহেবের মামলায় আমার কিছুই যায় আসে না। আপনি ওহাব আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত থাকেন। আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করছেন। আমি যেখানেই হত্যাকান্ডের শিকার হই ওই মামলার প্রধান আসামি হবেন আপনি ওহাব।’সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদাউস আলম ফিরোজের সঞ্চালনায় ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার সরদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুজানগর পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক সুবোধ কুমার নটো, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার রাজু আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইউনুস আলী বাদশা, সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক রাজা হাসান, সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সরদার আব্দুর রউফ প্রমুখ।এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব বলেন, 'আমার কাছে মনে হচ্ছে সে (শাহীন) পাগল হয়ে গেছে। যা মুখে আসছে তাই বলছে। আসলে এটা নতুন নয়। আমি যখন মেয়রের মনোনয়ন চেয়ে পাই নাই, তখন থেকেই শুরু করছে এরকম। উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকে শাহীনের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কোনো নকশাল সর্বহারা বাহিনীর সাথে আমার কোনো পরিচয় নাই। ওসব আমি করি না। বরং বালু তোলার ব্যবসা সে করে। তারই ওইসব নিষিদ্ধ বাহিনীর সাথে সখ্য আছে।'উল্লেখ্য, গত ৮ মে সুজানগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব। পরাজিত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন।এরপর থেকেই সুজানগরে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে। এরই জেরে গত ২১ জুন রানীনগর এলাকায় দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আল আমিন মিয়া (৩৫) নামে শাহীন গ্রুপের একজন নিহত হন। এ ঘটনার জেরে ওই এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। হামলায় মোজাহার বিশ্বাসসহ ওহাব গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হন। মোজাহার বিশ্বাসের‌ অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৭ জুন তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান