কুষ্টিয়ায় ইউএনও প্রদীপ্ত রায় দীপনের চেষ্টায় বদলেছে খোকসা
খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : সাধারণ মানুষের মুখে অনেক সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ শোনা যায়। কিন্তু কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রদীপ্ত রায় দীপন সেই তালিকার বাইরে। তার 'জনসেবার' মানসিকতার ফলে বদলে গেছে উপজেলার নাগরিক সেবার চিত্র। দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা। এই কর্মকর্তার ব্যবহারেও খুশি উপজেলার বাসিন্দারা।প্রদীপ্ত রায় দীপন ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগ দেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই সততা ও ন্যায়ের সঙ্গে কাজ সামলে যাচ্ছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর নানা কারণে মাঠ প্রশাসনে কাজের চাপ বেড়েছে। উপজেলা প্রশাসন সামলানোর পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ, পৌরসভায় দায়িত্ব পালন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদে থাকার কারণে ইউএনওদের ব্যস্ততা আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু চাপ থাকলেও এ উপজেলার নাগরিক সেবার মান কমেনি। বরং আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে ইউএনও প্রদীপ্ত রায় দীপনের ভূমিকায়।২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মাঠ প্রশাসনে অস্থিরতা দেখা দেয়। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন ইউএনও প্রদীপ্ত রায় দীপন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ন্যায্যমূল্যের বিপণন কেন্দ্র ও কৃষি কর্নার স্থাপন করেন তিনি, যা বেশ প্রশংসা পায়। এ ছাড়া উপজেলা মডেল পাঠাগার, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মানোন্নয়নে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময়সহ লেখাপড়ার মানোন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন।ভূমি সেবায়ও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। এ উপজেলায় সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার এক দিনের মধ্যে নামজারি কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে ইউএনওর নির্দেশনায়, যা বেশ সাড়া ফেলেছে। এ ছাড়া পরিবেশ রক্ষা এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে খাল-নালা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এসব বিষয়ে ইউএনও প্রদীপ্ত রায় দীপন বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। যেখানেই চাকরি করেছি, সবসময় নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নাগরিকদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, যেদিন এখানে যোগদান করেছি, সেদিনই বলেছি এ উপজেলা আমার। যতদিন আছি এভাবে সেবা দিয়ে যেতে চাই। সবার সহযোগিতায় খোকসাকে একটি আধুনিক খোকসা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।