• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১৬ই চৈত্র ১৪২৯ রাত ০৮:৫৯:০৩ (30-Mar-2023)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে শোকের মাতম

এম এ বাশার, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে পবিত্র নগরী মক্কায় যাওয়ার পথে সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ১৮ বাংলাদেশির মধ্যে কুমিল্লার তিনজন এবং কক্সবাজারের দুইজন রয়েছেন। কুমিল্লার তিনজন হলেন জেলার মুরাদনগর উপজেলার মোস্তাফপুর গ্রামের মামুন, রাসেল মোল্লা ও দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার এলাকার গিয়াস উদ্দিন।মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনার পর জেলার মুরাদনগর উপজেলার মোস্তাফপুর গ্রামে মামুনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় হৃদয়বিদারক দৃশ্য। সৌদি আরবে ২২ বছর বয়সী এই যুবকের নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ২৯ মার্চ বুধবার সকাল থেকে প্রতিবেশি ও স্বজনরা ভিড় করতে থাকেন তার বাড়িতে।বাড়িতে দেখা যায়, মামুনের বাবা আবদুল আওয়াল তেমন কথা বলছেন না। মা মমতাজ বেগম ছেলের জন্য হাউমাউ করে কাঁদছেন। মোবাইলে ছবি দেখে বুক চাপড়াতে দেখা যায় তাকে।আবদুল আওয়ালের তিন মেয়ে, দুই ছেলের মধ্যে মামুন মিয়া চতুর্থ। ছয় মাস আগে মামুন তার মামা ইয়ার হোসেনের মাধ্যমে সৌদি আরবে যান। সেখানে হোটেল বয় হিসেবে কাজ করতেন।নিহত মামুনের মামী তাসলিমা বেগম জানান, মামুন, তার মামা ইয়ার হোসেন এবং মামুনের ভাগ্নে জাহিদুল ইসলাম বাসে করে ওমরাহ করার জন্য মক্কার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে তারা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়।তাসলিমা আরও জানান, মামুন ও স্বজনদের বহন করা বাসটি ব্রেকফেল করে একটি ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে আগুন ধরে যায়। মামুন গাড়ি থেকে বের হতে পারেননি। আগুনে পুড়ে তার মৃত্যু হয়।এ দুর্ঘটনায় মামুনের মামা ইয়ার হোসেন ও ভাগ্নে জাহিদ গুরুতর আহত হয়। তারা মক্কার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।মামুনের বাবা আবদুল আওয়াল জানান, অন্তত ৯ মাস আগে মামুন ভিসার জন্য আবেদন করেন। বয়স কম হওয়ায় সেই আবেদন বাদ দেওয়া হয়। পরে ৬ মাস আগে ফের আবেদন করেন মামুন। ৫ লাখ টাকা খরচ করে তাকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। পুরো টাকা আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশিদের কাছ থেকে ধার করা।তিনি বলেন, সৌদিতে সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা খবর পাই রাত ১টার দিকে। আমার নাতি জাহিদ ফোন করে বলে নানা, মামুন মামা তো নাই। সে ওমরাহ করার আগে আমাদের জন্য দোয়া করবে বলে যায়।এ ব্যাপারে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনি বলেন, ‘আমি নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রশাসনিকভাবে পরিবারটির জন্য যা করার দরকার আমরা তাই করব।

ASIAN TV