• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১ ভোর ০৫:৩৮:২৬ (28-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১ ভোর ০৫:৩৮:২৬ (28-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ মোংলার জনজীবন

বাগেরহাট প্রতিনিধি: সুন্দরবন উপকূলবর্তী উপজেলা শহর মোংলায় গত কয়েকদিনের তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দৈনন্দিন জীবনে পড়েছে বিরূপ প্রভাব। এপ্রিল মাসজুড়ে তাপদাহের দাপট চলতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। দেশের অন্যান্য এলাকায় বৃষ্টির দেখা মিললেও মোংলায় কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। তাপদাহের কারণে শিশু এবং বয়স্করা সবচেয়ে বেশি কাবু হয়ে পড়েছেন।২০ এপ্রিল শনিবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগেরহাটের মোংলা পৌর শহরের বিভিন্ন মার্কেটে দোকান খোলা থাকলেও তেমন কোনো ক্রেতা চোখে পড়েনি। যানবাহনে বেশিরভাগ অংশে দেখা যায় যাত্রী শূন্য। দিনের বেলায় প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না। গরমে পানিশূন্যতাসহ নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হঠাৎ গরম বেড়ে যাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে ইজিবাইক ভ্যানচালকদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তীব্র গরমে পানিশূন্যতা কিংবা হিট স্ট্রোক হওয়ারও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।এ বিষয়ে মোংলা হাজী বাহার উদ্দিন সড়কের ভ্যানচালক মো. ইলিয়াস হাওলাদারের কাছে জানান চাইলে তিনি বলেন, ঈদের পর থেকে প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ঠিকমতো গাড়ি চালাতে পারছি না। গরমের কারণে আয় অনেক কমে গেছে। আগে দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করা যেত। এখন প্রচণ্ড গরমের কারণে সারা দিনে ২০০ টাকা আয় করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। রাস্তায় যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম ।মোংলা কলেজ মোড় এলাকার ঘর নির্মাণ শ্রমিক নাসিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়েছে, আমাদের বাচ্চা নিয়ে খুবই সমস্যায় আছি। ঘরের মধ্যে থাকা যায় না। আমার দুই সন্তান গত কয়েকদিন থেকে জ্বর-সর্দি ও কাশিতে ভুগছে। জানি না কবে বৃষ্টির দেখা মিলবে। খাবার পানির খুবই অভাব এখানে। গরমকালে পানির জন্য হাহাকার পড়ে যায়। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যে, যৎসামান্য পানি দেয় তাতে চারজনের পরিবারে পানির সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। ফলে গরমে জীবন যায় যায় অবস্থা।এ বিষয়ে মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হারুন অর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ ২০ এপ্রিল দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মোংলায় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও আগামী ২১ এপ্রিল তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে।তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটেছে। মোংলায় আগের মতো বড় বড় গাছ নেই, পুকুর ও খাল নেই। এসব কারণে বাতাসের সাথে আর্দ্রতা বহন করে না। সবকিছু শুস্ক হয়ে যাওয়ায় গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান