• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ১০:৪৫:২৩ (27-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ১০:৪৫:২৩ (27-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

খানাখন্দে ভরা খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কে বাড়ছে জনদুর্ভোগ

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির সঙ্গে পানছড়ি উপজেলার একমাত্র সংযোগ সড়কটি খানাখন্দে বেহাল হয়ে পড়েছে। দরপত্র অনুযায়ী কার্যাদেশ পাওয়ার নির্ধারিত সময় পার হলেও সড়কের সংস্কারের কাজ শেষ হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো হলেও কাজের ধীরগতিতে ক্ষোভ বাড়ছে পানছড়িবাসীর মধ্যে।নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। কাজের ধীরগতিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওপর অসন্তুষ্ট খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগও।খাগড়াছড়ি সদরের সঙ্গে পানছড়ি উপজেলাবাসীর যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। এই সড়ক দিয়ে পানছড়ি উপজেলা ছাড়াও মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ও তবলছড়ি ইউনিয়নের বহু মানুষ চলাচল করেন।এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন  ৮০০ থেকে ৯০০ পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করে। বর্তমানে সড়কের অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত যেন অনেকটা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বেশির ভাগ অংশ চলাচলের অনুপযোগী। পানছড়ি সড়কের মডেল উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকা, লতিবান, নালকাটা ও কলেজগেট নামক স্থানে সড়কের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ।অনেক জায়গায় ইট, পিচের অস্তিত্ব পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। খাগড়াছড়ি থেকে পানছড়ি পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কমপক্ষে ২০ কিলোমিটার সড়কই বেহাল।সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারীরা  জানান, পাথর, রড ও ইটবাহী ভারী ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কের অবস্থা বেশি খারাপ হয়েছে। প্রতিদিনই পাথরবোঝাই ভারী ট্রাক আটকে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি মোটরসাইকেল চলাচল করার মতোও পরিস্থিতি নেই এখন। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে দুই উপজেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা।সড়ক বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মোটরসাইকেল আরোহী শাহ জাহান জানান, এত দিনেও কেন সড়ক বিভাগ সড়কের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করেনি? তারা নিয়মিতভাবে মেরামতের কাজ করলে সড়কের এমন হাল হওয়ার কথা নয়। রোগী নিয়ে এই সড়কে চলাচল করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।জানা যায়, খাগড়াছড়ি-পানছড়ি ২৫ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ২০২৩ সালে দরপত্র আহবান করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার মেরামত ও সড়ক মজবুতকরণ কাজটি পায় আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন নামে জেলার বাইরের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে বাস্তবায়ন করছেন এমদাদ পাটওয়ারী নামের এক সহযোগী ঠিকাদার। গত বছরের জুনে কার্যাদেশ পেয়ে ৩০ ডিসেম্বরের নির্ধারিত সময়েও কাজ শেষ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও তিন মাস কাজের মেয়াদ বাড়িয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।ঠিকাদার সহযোগী এমদাদ পাটওয়ারী বলেন, ‘প্রথমত বৃষ্টির কারণে সময়মতো কাজ শেষ করা যায়নি। এ ছাড়া টেকনিক্যাল কিছু সমস্যায় বেইস প্লান্ট বসাতে পারিনি। তাই নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে মার্চের মধ্যেই পুরো কাজ শেষ হবে।’খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজে সন্তুষ্ট নই। তাদের অনুরোধে কাজের মেয়াদ তিন মাস সময় বাড়ানো হলেও কাজের ধীরগতির জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ব্যত্যয় ঘটলে দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান