• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১২ই শ্রাবণ ১৪৩১ সকাল ১১:৩৫:৫৯ (27-Jul-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১২ই শ্রাবণ ১৪৩১ সকাল ১১:৩৫:৫৯ (27-Jul-2024)
  • - ৩৩° সে:

মতলব উত্তরে বেড়ছে লোডশেডিং

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় তীব্র গরমের সঙ্গে হঠাৎ পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। দিন রাত মিলে ১২-১৩ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি লাইন মেরামত ও গাছের ডাল কাটার অজুহাতে প্রায় দিনই সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত টানা বিদ্যুৎ থাকছে না।তারপরও রাতের বেলায় বেশি লোডশেডিং হওয়ায় শিশু, শিক্ষার্থী ও বয়োজ্যেষ্ঠরা চরম বিপাকে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পোলট্রি ব্যবসায়ী, মৎস্য চাষী, অটোরিকশা ও রিকশাভ্যান চালকসহ বিভিন্ন কারখানার মালিকরা। এতে গ্রাহকদের ভোগান্তি বেড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।জানা গেছে, বিদ্যুৎহীন অবস্থায় প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। ঘেমে জ্বর-কাশিসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। এছাড়া আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আউশ ও রোপা আমনের ক্ষেতে সেচ দিতে সংকটে পড়েছেন কৃষক।পৌরসভার জোড়খালী গ্রামের আবু সাঈদ উজ্জ্বল বলেন, সারা দিনে কতবার বিদ্যুৎ যায়, তার হিসেব নেই! তার ওপর শুধু রাতেই ৫-৭ বার লোডশেডিং হচ্ছে। কখনও কখনও রাতে একটানা দুই আড়াই ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। গরমে শিশুরাসহ কেউই ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না।মিলারচর গ্রামের গৃহবধূ আফসানা বেগম বলেন, তীব্র গরমে ছোট দুইটা বাচ্চা নিয়ে খুব বিপাকে আছি। রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় ঘেমে দুজনেই ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।উপজেলার বালুচর গ্রামের মো. সোহাগ বলেন, আমি অটোরিকশা চালাই। সারা রাত লাইন দিয়ে রেখেও লোডশেডিংয়ের কারণে রিকশা ঠিকমতো চার্জ হয় না। এতে দিনের বেলায় গাড়ি চালাতে না পেরে আয় কমে গেছে।এইচএসসি পরীক্ষার্থী সুজন সরকার বলেন, তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় পড়তেই পারছি না। বিশেষ করে লেখাপড়ার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।এ ব্যাপারে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. সামসুদ্দীন জানান, ‘স্বাভবিক সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল দিনে ১৪ মেগাওয়াট ও রাতে ১৮ মেগাওয়াট। ‘তীব্র গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে দিনে ১৬ মেগাওয়াট ও রাতে ২১ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে। আবার রাত ১২টার পর বিদ্যুৎ পাচ্ছি মাত্র ৯ মেগাওয়াট। আমরা চাহিদানুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। যার ফলে গ্রাহকদেরকে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিতে পারছি না।’

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান