• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১লা মাঘ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৫০:০৮ (14-Jan-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১লা মাঘ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৫০:০৮ (14-Jan-2025)
  • - ৩৩° সে:

সমতলে কমলা চাষে ভাগ্য বদলিয়েছে ইমরান হোসেন উজ্জ্বলের

জয়পুরহাট প্রতিনিধি: ধান,গম ও আলু চাষ করে যেখানে লোকসান হতো, সেখানে কমলা চাষ করে সফল জয়পুরহাটের ইমরান হোসেন উজ্জ্বল। বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ করে সবার নজর কেড়েছেন তিনি।গাছে ঝুলছে কাঁচা পাকা কমলা, কিছু গাছে এসেছে ফুল। নয়নাভিরাম এ দৃশ্য চোখে পড়বে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার ভিকনি গ্রামের কৃষক ইমরান হোসেন উজ্জ্বলের বাগানে।২০২০ সালে ১ বিঘা জমিতে বারি-২ জাতের ৫০টি কমলা চারা লাগান তিনি। এখন তার বাগানে ১৭০টি কমলা গাছে ফল ধরেছে। এ বছর সব খরচ বাদে ৮ লাখ টাকা লাভের আশা তার।  আগে আর সবার মতো জমিতে চাষ করতেন ধান, আলু কিংবা গম। কিন্তু সেখানে লাভের অঙ্কটা চোখে দেখতে পেতেন না সেভাবে। কমলা চাষ করে এখন আরও ভালো  লাভের আশা করছেন ইমরান হোসেন উজ্জ্বল। শুধু ফল উৎপাদন নয়, আধুনিক পদ্ধতিতে প্রায় ১০ হাজার কমলা চারা তৈরি করেছেন তিনি। তার সাফল্যে উৎসাহী অনেক কৃষকের কাছে সেই চারাও বিক্রি  করছেন।ইমরান হোসেন উজ্জ্বল বলেন, হঠাৎ একদিন অনলাইনে কৃষিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ঢুকে কমলাবাগান দেখি। এরপর থেকে কমলাবাগান কীভাবে শুরু করব, সেই ধারণা নেই। বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত জমিতে কয়েকটি কমলার গাছ রোপণ করি। চারার জাত ভালো ছিল না। কিছুদিন পর লাগানো কমলার গাছগুলো নষ্ট হয়ে যায়। শুরুতেই কমলা বাগানে লোকসান গুনতে হয়েছে দেড় লাখ টাকা। তবে হাল ছাড়িনি। চার বছর পর এবার সুফল পাচ্ছি। তবে কমলা বাগানের সুবাদে ভিকনি গ্রাম এখন কমলার গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।তিনি বলেন, পরে একজন পরিচিত কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওই কৃষি কর্মকর্তা বারি-২ জাতের কমলার চারা রোপণের পরামর্শ দেন। ১৭০টি বারি-২ জাতের কমলার চারা রোপণ করি। প্রতিটি চারা ৬০০ টাকা করে কিনেছিলাম।  কমলা বাগানে কোনো শ্রমিক নেয়নি। এরপর তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দুজনে কমলা বাগানের পরিচর্যা শুরু করি। ২০২২ সালে গাছগুলোতে প্রথম কমলা ধরে। সেই সময় প্রতিটি গাছে গড়ে ২৫-৩০ কেজি কামলা ধরেছিল। এবার তৃতীয়বারের মতো কমলা ধরেছে। গাছগুলোর বয়স বেশি হওয়ায় কমলার ফলন বেশি হয়েছে। আবার কমলার গায়ের রং টকটকে হয়েছে। প্রতিটি গাছে ৪০ থেকে ৪২ কেজি কমলা হয়েছে। ২৫০ টাকা কেজি দরে  কমলা বিক্রি শুরু হয়েছে।ইমরানের স্ত্রী সুমী আক্তার বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী নিজেরাই কমলা বাগানের পরিচর্যা করি। এ বছর তৃতীয়বারের মতো বাগানে কমলা ধরেছে। বাগানে এসে গাছে গাছে কামলা দেখে প্রাণ জুড়ায়, তখন অতীতের কষ্ট ভুলে যাই।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, ভিকনী গ্রামের ইমরান হোসেন উজ্জ্বল ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে নিজ বাড়িতে এসে কমলার বাগান করেছেন। আগের তুলনায় কমলার ফলন অনেক বেশি হয়েছে। খরচও কম পড়েছে। কমলাগুলো কিছুদিনের মধ্যে পরিপক্ব হবে। এটি উপজেলার প্রথম কমলার বাগান। ইমরান কমলা চাষে বাজিমাত করেছেন। ইমরান যে জমিতে কমলার বাগান করেছেন, সেটি এক ফসলি জমি। এখান থেকে প্রচলিত চাষাবাদ করে বছরে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। সেই জমিতে ইমরান বছরে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা আয় করছেন। ইমরান কমলা চাষিদের মডেল।

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান