• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১৯শে কার্তিক ১৪৩২ রাত ১১:৪৬:২৩ (03-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:

অসময়ে বৃষ্টিতে নওগাঁয় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, বিপাকে চাষিরা

নওগাঁ প্রতিনিধি: অসময়ে বৃষ্টিতে নওগাঁয় আগাম জাতের শাক-সবজি ও আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফসল নষ্ট হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা।জেলা বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, জেলায় গত ৩দিনে গড় ৫০ দশমিক ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরমধ্যে শনিবার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮৬ মিলিমিটার।মান্দা উপজেলা সাটইল গ্রামের কৃষক রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে জমিতে পেঁয়াজ ও রসুন রোপণ করা হয়েছে। এরমধ্যে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জমিতে হাঁটু পানি জমে গেছে। কিছু পেঁয়াজ ভেসে উঠেছে। এ গ্রামের মাঠে অধিকাংশ কৃষকের রসুন, পেঁয়াজ, আলু, সরিষা ও ধানের অবস্থা খুবই খারাপ।’হাপানিয়া গ্রামের কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করেছি। আর কয়েকদিন পর কাটার কথা। এরমধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে পানি জমে ধান শুয়ে পড়েছে। পানিতে ধান ভাসছে। যেখানে বিঘাপ্রতি ২৫-২৬ মণ ফলন হওয়ার কথা সেখানে ১৮-২০ মন ফলন হতে পারে।’লক্ষণপুর গ্রামের কৃষক দুলাল হোসেন বলেন, ‘গত ১৫ দিন আগে ২ কাঠা জমিতে লাল শাক রোপণ করেছি। এরমধ্যে ৩ দিনের বৃষ্টিতে শাকগুলো মাটিতে হেলে পড়েছে। পচন ধরেছে। গাছ যদি ভালো হয় ৩০০-৫০০ টাকার মতো বিক্রি হবে। বৃষ্টি না হলে আড়াই হাজার টাকার মতো বিক্রি হতো।’জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় আমন ধান চাষ হয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার হেক্টর জমিতে। আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে ২ হাজার হেক্টর জমিতে। এছাড়া আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ হাজার হেক্টর জমিতে।ফসলের ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি জানিয়ে নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হোমায়রা মন্ডল বলেন, ‘সবেমাত্র আগাম জাতের আলু, পেঁয়াজ ও রসুন রোপণ করা শুরু হয়েছে। এতে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।’তিনি আরও জানান, ‘বৃষ্টি হওয়ায় ধানের ক্ষতিকর পোকা মারা যাওয়ায় বৃষ্টি আশীর্বাদ।’