এশিয়ান টিভি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর তদন্ত কমিটি গঠন
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: একটি কল রেকর্ড ফাস। সেই ঘটনায় এশিয়ান টিভির অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ঘটনার তদন্তে গঠন করেছে তদন্ত কমিটি।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরে ব্যাপক অনিয়ম, বিল বেশি দেখিয়ে টাকা ভাগাভাগির ঘটনায় একাধিক কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাব নামক ফেইসবুক পেইজ থেকে এই কল রেকর্ড প্রকাশ করা হয়।পরবর্তীতে এশিয়ান টিভির অনলাইনে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সর্বশেষ ২২মার্চ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন কমিটির মিটিং শেষে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মিটিংয়ে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব,ট্রেজারার বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মোবারক হোসেন, প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান, পরিবহন প্রশাসক হাশেম রেজাসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক মো. হাশেম রেজা বলেন, ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ট্রেজারার স্যার, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, আমি এবং অর্থ ও হিসাব দপ্তরের এক কর্মকর্তা রয়েছেন। প্রেসক্লাবের প্রকাশিত অডিও রেকর্ড, সংবাদ ও বিল তৈরির ক্ষেত্রে আর্থিক অসামঞ্জস্যতা আমলে নিয়ে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সভাপতি কে.এম. ইয়ামিনুল হাসান আলিফ বলেন, আমাদের হাতে একাধিক কল রেকর্ড আসে। পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অনুসন্ধান করে বেশকিছু তথ্য পাই। এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করি। আশা করি দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে যারাই জড়িত রয়েছে, তাদের বিচার হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড একিউএম মাহবুব বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতিকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।প্রসঙ্গত, গত ৬ই মার্চ বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের ফেসবুক পেইজে এ সম্পর্কিত একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। সেখানে দেখা যায়, পরিবহন দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী খন্দকার রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি মুঠোফোনে এক পরিবহন কর্মচারীকে বিল বাড়িয়ে টাকা ভাগাভাগির নির্দেশ দেয়। গাড়ি মেরামতে অতিরিক্ত বিল করতে বলেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে পরিবহন দপ্তর থেকে বদলি করে প্রকৌশল দপ্তরে বদলি করা হয়। যদিও সে সময় এক মাস পরেও তিনি নতুন দপ্তরে যোগদান করেন নি। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।