সিলেটের সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার ইতিহাস চিরস্মরণীয়: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণ করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, বাংলা সাহিত্যকে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের অনেক জ্ঞানী-গুণী মানুষ সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁদের অবদানকে স্মরণ করা ও আগামী প্রজন্মের কাছে তাঁদের সৃষ্টিকর্ম পৌছে দেয়া আমাদের দায়িত্ব।বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। আমরা বাংলা সাহিত্যের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে এগিয়ে যেতে চাই। তৃণমূল পর্যায়ে সাহিত্য চর্চার বিকাশে সরকারের উদ্যোগকে আমরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।৩ জুন শনিবার বিকেলে সিলেট নগরীর রিকাবিবাজারে কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে বিভাগীয় সাহিত্য মেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ। আরও বক্তব্য রাখেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত।বিভাগীয় সাহিত্য মেলার প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মানবিক অনুষদের ডিন, অধ্যাপক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ। এসময় আলোচনা করেন বিশিষ্ট কবি ও গবেষক ড. মোস্তাক আহমাদ দীন ও বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতি গবেষক ও প্রাবন্ধিক সুমন কুমার দাশ।এছাড়া বিভাগের ৪ জেলার কবি, সাহিত্যিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শুরু হয় ৪ জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রোববার সকাল সাড়ে দশটায় শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান।