চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় হোটেল বয়কে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলো মালিকপক্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের একটি হোটেলে চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় এক বয়কে পিঠিয়ে জখম করা হয়েছে। চন্দ্রগঞ্জ থানার ১০নং চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজার এলাকার শ্রমিক হোটেল নামের একটি হোটেলে গত সোমবার এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার মুজাহিদুল ইসলাম চন্দ্রগঞ্জ থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা করেছেন।মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ।মামলায় মো. ফয়সাল, মো. জসিম উদ্দিন, মো. ফারুক ও মো. ফাহিম নামে চারজনকে আসামী করা হয়েছে।হামলার শিকার মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি আসামীদের শ্রমিক হোটেল নামক প্রতিষ্ঠানে বয় হিসাবে কাজে যোগদান করি। তারা আমাকে ঠিকমত বেতন না দিয়ে আমার ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন করতো। দৈনিক ১২ ঘন্টা কাজ করার কথা থাকলেও আমাকে দৈনিক ১৬/১৭ ঘন্টা কাজ করাত। আমি বেতন চাইলে তারা বিভিন্ন সময় আমাকে মারধর করে এবং মেরে খালে ভাসিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়।তিনি আরও বলেন, তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আমি সম্প্রতি কাজ ছেড়ে দেই। গত সোমবার সকালে ওই হোটেলে নাস্তা করতে গেলে মো. ফয়সাল ও মো. জসিম উদ্দিন অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এলোপাথাড়ি চড়-থাপ্পড় মারে। এরপর মো. ফয়সাল স্টিলের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং আমার পকেটে থাকা ত্রিশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর মো. জসিম উদ্দিন এলোপাথাড়ি কিলঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং আমার সাথে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়।তখন আমার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে।এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চন্দ্রগঞ্জ যুবলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির সাজানো অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যুবলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক রিংকুর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। গত বুধবার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে এ প্রতিবাদ সভা করা হয়।এ বিষয়ে হামলার শিকার মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ওপর হামলার ঘটনাটি আমি যুবলীগ নেতা রিংকুকে জানাই। রিংকু এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোটেলের মালিক ফরহাদ গালমন্দ করে। গালমন্দ সহ্য করতে না পেরে তিনি হোটেল মালিককে চড় দেয়। আমাকে মারধরের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই রিংকু মামার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির নাটক সাজিয়েছে।