হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারীর বিরুদ্ধে গাছ লুট করার অভিযোগ
হিজলা প্রতিনিধি: হিজলা উপজেলায় স্বাস্থ্যে কমপ্লেক্স চত্বরের গাছ কিছুদিন পরপর কেটে নেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা কোনও নিয়ম-নীতি না মেনে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ মার্চ মঙ্গলবার চত্বরে চারটি মেহগিনি, দুইটি চাম্বল ও কয়েকটি শিশু গাছ কর্তন করে রাখা হয়েছে।গাছ কাটায় নিয়োজিত শ্রমিকরা জানিয়েছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ গাছ গুলো কাটা হচ্ছে।গাছের ডালপাল গুলো ইটভাটায় বিক্রি করা হবে। গাছের মুল অংশ পরে বন্টন হবে।সরোজমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় বিশালাকৃতির ৪ টি মেহগনি ২ টি চাম্বুল ও কয়েকটি শিশু গাছ শ্রমিকরা কর্তন করে এক স্থাসে স্তুপ করে রাখা হয়েছে।হাসপাতাল সংলগ্ন চায়ের দোকানী মো. মুজাম্মেল জানায়, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কিছুদির পূর্বে কয়েকটি বাবলা গাছ কেটে নিয়ে গেছে।হাসপাতালের সামনের ফামের্সী ব্যবসায়ী জাহাঙ্গির কাজী বলেন, দুইটি চাম্বুল গাছ বন্যায় ভেঙ্গে পড়েছিলো। ওই গাছ দুইটি হাসপাতালের মসজিদের উন্নয়ন কাজে দেয়ার সিদ্বান্ত হয়। কিন্তু বর্তমানে কে গাছ কেটেছে আমার জানা নেই।স্থানীয় জানিয়েছে, এক সময় হাসপাতাল চত্বরে প্রচুর গাছ ছিলো। বিভিন্ন সময় সিংহভাগ গাছ কেটে নেয়া হয়েছে।হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মো. মাজেদুল হক কাউছার বলেন, বিষয়টি এমপিকে জানানো হয়েছে। পরে নিলামে বিক্রি করা হবে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে গাছ কাটতে বন বিভাগের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তারেক হাওলাদার বলেন, আমার দপ্তর থেকে হাসপাতাল অনেক দূর। তবে সেখানে গাছ কাটার বিষয়টি শুনেছি। আমি সরোজমিনে দেখতে যাব।এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তাকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।