ফেনীতে বাসা থেকে গৃহকর্মীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
ছৈয়দ কামাল, ফেনী থেকে: ফেনী পৌরসভার সাবেক ৬ নং পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুকের ভাই,গোলাম কিবরিয়া বকুলের ফলেশ্বরস্থ চার তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় তার বাসা থেকে ষাটোর্ধ্ব গৃহপরিচারিকা বৃদ্ধা মাসুদা বেগমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।মাসুদা বেগম ফেনী সদর উপজেলাধীন ধর্মপুর ইউনিয়ন্থ পিঠাপাশারী গ্রামের মৃত সিরাজুল হকের স্ত্রী।জানা গেছে, বৃদ্ধা মাসুদা গত ৮ বছর যাবত বকুলের ভবনটিতে দ্বিতীয় তলায় বকুলের ও তৃতীয় তলায় তার ভাই ঝন্টুর বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। ঘটনার চারদিন পূর্বে ভবনের মালিক বকুল বৃদ্ধা মাসুদাকে তার বাসায় একা রেখে, স্বপরিবার ঢাকায় চলে যান। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে বৃদ্ধা মাসুদার একটি চিৎকার শুনতে পান তৃতীয় তলায় থাকা বকুলের ছোট ভাই ঝন্টুর স্ত্রী সোনিয়া। তিনি দ্বিতীয় তলায় নেমে এসে দরজায় দাঁড়িয়ে বৃদ্ধা মাসুদার নাম ধরে বেশ কয়েকবার ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোন সাড়া শব্দ পাচ্ছিলো না। একপর্যায়ে সোনিয়া বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করলে দেখেন দরজাটি ভেতর থেকে লক করা। বাসায় ডাকাত প্রবেশ করেছে ভেবে সোনিয়া কয়েক সিঁডি উপরে উঠতেই দেখেন হঠাৎ দরজাটি খুলে একটি লোক দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। সাথে সাথে সোনিয়া আবার নেমে এসে দরজায় দাঁড়িয়ে ভিতরের দিকে তাকাতেই দেখেন সোফার নিচে বৃদ্ধা মাসুদার রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে আছে। এই দৃশ্যটি দেখে সোনিয়া তাৎক্ষণিক বিষয়টি তার ভাসুর সাবেক কাউন্সিলর ফারুককে ফোন করে জানান।সাবেক কাউন্সিলর ফারুক ঘটনাটি জানার পর ফেনী মডেল থানায় ফোন করেন। সংবাদটি পাওয়ার সাথে সাথে ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ পুলিশের একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থল ফলেশ্বর এসে পৌঁছান। ঘটনাস্থলে এসে চারতলা ভবনটির দ্বিতীয় তলায় প্রথম কক্ষে বৃদ্ধা মাসুদার গলাকাটা লাশটি দেখেন। এরপর তিনি বিষয়টি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে জানান। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে র্যাব, সিআইডি, ডিবি ও পিবিআইয়ের যৌথ টিম। ঘটনাস্থলে আসা যৌথ বাহিনী ভবনটির সিসিটিভি ফুটেজ ও খুনের আলামত সংগ্রহ করেন এবং গৃহপরিচারিকা বৃদ্ধা মাসুদা বেগমের মরদেহটি উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।খুনের ঘটনার বিষয় ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ জানান, ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া অজ্ঞাত ব্যক্তিটিকে শনাক্তকরণে পুলিশসহ যৌথ বাহিনী কাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে।