নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ কমওয়ার্ড: এক্সিলেন্স ইন ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশনের ১৩তম সংস্করণের। এতে ১৪৬টি বিজ্ঞাপনী প্রচারণাকে ২৬টি ক্যাটেগরিতে সম্মাননা প্রদান করা হয়। ১৯ অক্টোবর শনিবার রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে একটি জমকালো গালা আয়োজনের মাধ্যমে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।কমিউনিকেশনস এবং মার্কেটিং খাতে কর্মরত এবং অভিজ্ঞ প্রায় ৭০০ জনেরও অধিক অতিথির উপস্থিতিতে - ব্রোঞ্জ, সিলভার, গোল্ড এবং গ্র্যান্ড প্রিক্স এই চার বিভাগে সেরা বিজ্ঞাপনগুলোকে সম্মানিত করা হয়।এই বছর কমওয়ার্ডের জন্য ৭৯টি ক্রিয়েটিভ এজেন্সি থেকে ১৩৮০ টি মনোনয়ন জমা পড়ে । ১ জুন ২০২৩ হতে ৩১ মে ২০২৪ পর্যন্ত সময়কালে উন্মোচিত এবং প্রচারিত ক্যাম্পেইনগুলো নমিনেশনের জন্য বিবেচিত হয়। ২৪টি অভিজ্ঞ জুরি প্যানেল প্রাথমিকভাবে ১৪টি শর্টলিস্টিং জুরি এবং পরবর্তীতে ১০টি গ্র্যান্ড জুরিতে বিভক্ত হয়ে বাছাই প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন৷ বিজয়ী ক্যাম্পেইনগুলোর যথাযথ অবস্থান নিশ্চিত করতে ১০ জন জুরি সভাপতি অধিকতর যাচাই প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন। ১৩তম কমওয়ার্ডে ২১টি গোল্ডেন, ৫০টি সিলভার এবং ৭৫টি ব্রোঞ্জ সম্মাননা প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য যে, এই বছর কোনো গ্র্যান্ড প্রিক্স পদক প্রদান করা হয়নি। উল্লেখযোগ্য বিজয়ীদের মধ্যে ব্যাকপেইজ পিআর 'সিঙ্গার বাংলাদেশের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বুরাক ঔজচিভিত'র নাম উন্মোচিত' ক্যাম্পেইনের জন্য পিআর ক্যাটাগরিতে সেরার পুরস্কার জিতেছে। উদ্বোধনী বক্তৃতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এই বছর কমওয়ার্ড আমাদের সৃজনশীল যোগাযোগ শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রমাণ, এমনকি চ্যালেঞ্জ এবং বাধার মুখেও। প্রতিনিয়ত বিকশিত হচ্ছে এমন একটি পৃথিবীতে আমাদের শিল্পটি অসাধারণ সৃজনশীলতা দেখিয়েছে. এটি প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের সৃজনশীল বিজ্ঞাপনী প্রচারণা শুধু এগিয়ে যাচ্ছে না, বরং নেতৃত্ব দিচ্ছে।’কমওয়ার্ডের সহযোগিতায়, দ্বিতীয়বারের মতো বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান, এফসিবি বিটপি, এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনী শিল্পের অন্যতম অগ্রদূত, রেজা আলীর সম্মানে ‘রেজা আলী ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট অ্যাওয়ার্ড সম্মাননাটি প্রদান করে। মূলত, স্বাধীন এবং সৃজনশীল প্রচারণাকে উদযাপন করার লক্ষ্যেই এই সম্মাননাটি প্রদান করা হয়।এবারের গালা আয়োজনে বাংলাদেশে বিজ্ঞাপনী শিল্পের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং অ্যাডকম লিমিটেডের ফাউন্ডার এন্ড চেয়ারম্যান গীতিয়ারা সাফিয়া চৌধুরীকে বাংলাদেশের সৃজনশীল শিল্পে অবিস্মরণীয় অবদান রাখার জন্য আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। ১৩তম কমওয়ার্ডের আগে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগে “ডিজরাপ্টিং দ্য নর্ম: ফিউচার অফ ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং” থিমকে কেন্দ্র করে ১৩তম কমিউনিকেশন সামিট অনুষ্ঠিত হয়। দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞ ও ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশন শিল্পে কর্মরত শীর্ষস্থানীয় পেশাজীবী, নীতিনির্ধারক এবং ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উদ্ভাবনী ধারণার মাধ্যমে কীভাবে ভবিষ্যতের ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং-এর সুযোগগুলোকে কাজে লাগানো যায়, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।২টি কিনোট সেশন, ১টি লিডারস ডায়লগ, ৪টি প্যানেল ডিসকাশন ও ২টি ইনসাইট সেশন নিয়ে সাজানো সামিটে বারবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে সৃজনশীল ধারণার বিস্তৃতি, ব্র্যান্ডিংয়ের স্বচ্ছতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি।কমিউনিকেশন সামিট ২০২৪ এ কিনোট বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফিরদৌস ইউসুফ, হেড অফ ক্রিয়েটিভ, ফরসম্যান এবং বোডেনফর্স সিঙ্গাপুর এবং মইজ খান, ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, এডেলম্যান।সামিটের অন্যতম আকর্ষণ লিডারস ডায়লগে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনী শিল্পের এযাবৎ কালের যাত্রা নিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার আলোকে কথা বলেন গীতিয়ারা সাফিয়া চৌধুরী, ফাউন্ডার এন্ড চেয়ারম্যান, অ্যাডকম লিমিটেড এবং মুনির আহমেদ খান ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ক্রিয়েটিভ চিফ, ইউনিট্রেন্ড লিমিটেড। সেশনটি পরিচালনা করেন আশরাফ বিন তাজ, জেনারেল সেক্রেটারি, এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশন (এএমএফ); কো ফাউন্ডার এন্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর, আইডিসি বাংলাদেশ পিএলসি।পরবর্তী প্যানেল ডিসকাশনগুলোতে আলোচিত হয় সময়োপযোগী বিভিন্ন বিষয় যেমন, সংকটকালে সৃজনশীলতা: অনিশ্চিত সময়ে ব্র্যান্ডগুলো কীভাবে কার্যকরীভাবে যোগাযোগ করতে পারে, উদ্দেশ্যভিত্তিক মার্কেটিং: কীভাবে সামাজিক পরিবর্তনের জন্য ব্র্যান্ড তৈরি করা যায় এবং ব্যবসায়িক মূল্য বাড়ানো যায় ইত্যাদি।১৩তম কমিউনিকেশন সামিটে আরও উপস্থিত ছিলেন নাজিম ফারহান চৌধুরী, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, অ্যাডকম লিমিটেড; যেখানে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ফারহা নাজ জামান, মার্কেটিং ডিরেক্টর, গ্রামীণফোন লিমিটেড; অরূপ আই, এজেন্সি হেড এন্ড চিফ ক্রিয়েটিভ স্ট্র্যাটেজিস্ট, মাইটি; সাইফুল আজম চৌধুরী মুকুল, এক্সিকিউটিভ ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশ; শারজিল করিম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইন্টারস্পিড অ্যাডভারটাইজিং লি.; এবং মো. শাদমান সাদিকীন, মার্কেটিং ডিরেক্টর - হোম কেয়ার হেড, ডিজিটাল হাব, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড; দ্রাবির আলম, সিওও ও ডিরেক্টর, এক্স - ইন্টিগ্রেটেড মার্কেটিং এজেন্সি; জাকিয়া জেরিন, সিনিয়র ম্যানেজার, মার্কেটিং কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনজিউমার এনগেজমেন্ট, নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড; সালাহউদ্দিন শাহেদ, সিইও, এফসিবি বিটোপি সহ অন্যান্যরা।কমিউনিকেশন সামিট ও কমওয়ার্ড ২০২৪- এর সহযোগিতায় ছিল মিনিসো বাংলাদেশ(শুধু সামিট)। স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার - বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম (বিসিএফ), ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভার্টাইজিং অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ, রোরিং লায়ন্স; নলেজ পার্টনার - মার্কেটিং সোসাইটি অফ বাংলাদেশ (এমএসবি); টেকনোলজি পার্টনার – আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড; হসপিটালিটি পার্টনার – লা মেরিডিয়ান ঢাকা; পিআর পার্টনার – ব্যাকপেজ পিআর। কমিউনিকেশন সামিট ও কমওয়ার্ড বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের একটি উদ্যোগ।
২০ অক্টোবর ২০২৪ বিকাল ০৫:৫৬:১৩আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এলিরান মিজরাহি ইসরায়েলের একজন সেনাসদস্য ছিলেন। তিনি চার সন্তানের বাবা । গত বছর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় লড়াই করতে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। যুদ্ধ এখনো চলছে। এরই মাঝে গাজা থেকে ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনা হয় আহত এলিরানকে। তবে তত দিনে একজন ভিন্ন মানুষে পরিণত হয়েছিলেন তিনি।গাজায় যুদ্ধ করতে গিয়ে এলিরান যা দেখেছিলেন, তাতে মানসিকভাবে বড় আঘাত পান। সেখান থেকে ফেরার পর চরম অবসাদে ভুগছিলেন। এর ফল মোটেও ভালো হয়নি। পুনরায় গাজায় পাঠানোর আগে আত্মহত্যা করেন তিনি। এলিরানের মা জেনি মিজরাহি বলেন, সে গাজা ছেড়েছিল, তবে গাজা তাকে ছাড়েনি। সেই অবসাদেই আমার ছেলে মারা গেল।এলিরান যে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন, চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় তাঁর একটি নাম রয়েছে। একে বলা হয়, পোস্টট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি)। গাজা থেকে ফেরার পর ইসরায়েলের হাজার হাজার সেনা পিটিএসডিসহ নানা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তবে তাঁদের কতজন আত্মহত্যা করেছেন, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।গাজা যুদ্ধের সময় যত গড়িয়েছে, ততই আকাশচুম্বী হয়েছে লাশের সংখ্যা। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত হন ১ হাজার ২০০ জন। এরপর থেকে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় তছনছ হয়েছে পুরো গাজা। সেখানে এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ৪২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এরই মধ্যে আবার লেবাননে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।সেনাবাহিনীর কারণে, এই যুদ্ধের কারণে, আমার ভাই আর আমাদের মাঝে নেই। সে হয় যুদ্ধে গুলিতে বা আরপিজির (রকেট প্রপেলড গ্রেনেড) আঘাতে মারা যায়নি, তবে অদৃশ্য এক গুলি তার জীবন কেড়ে নিয়েছে বলছিলেন নিহতের পরিবারের একজন সদস্য।গাজায় চার মাস ছিলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একজন চিকিৎসক। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে তিনি সিএনএনকে বলেন, গাজার পর এখন অনেক সেনাকে লেবাননে পাঠানো হতে পারে এই ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। ইসরায়েলি বাহিনীর বহু সেনাসদস্য এখন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকারকে বিশ্বাস করেন না।গাজায় সচরাচর বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয় না ইসরায়েল সরকার। যাঁরা এ সুযোগ পাচ্ছেন, তাঁদেরও ইসরায়েলি বাহিনীর পাহারা ও নজরদারির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। ফলে ইসরায়েলের হামলায় গাজার ফিলিস্তিনিদের কতটা দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে বা সেখানে ইসরায়েলি সেনারা কেমন অভিজ্ঞতার মধ্যে রয়েছেন, সে চিত্রটা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।গাজায় লড়াই করা ইসরায়েলি সেনারা সিএনএনকে জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে তাঁরা যে ভয়াবহতা দেখেছেন, তা বাইরের মানুষ সত্যিকার অর্থে কল্পনাও করতে পারবেন না। এই বক্তব্য থেকে উপত্যকাটিতে চলমান নৃশংসতা সম্পর্কে একটা আঁচ পাওয়া যায়। সমালোচকদের ভাষায় নেতানিয়াহু এই নৃশংসতার নাম দিয়েছেন চিরকালের যুদ্ধ।এলিরানকে গাজায় মোতায়েন করা হয়েছিল গত বছরের ৮ অক্টোবর। তাঁর কাজ ছিল ডি–৯ মডেলের একটি বুলডোজার চালানো। ৬২ হাজার কেজি ওজনের এই যানটি গুলি ও বোমা হামলার মুখেও টিকে থাকতে পারে। হামাসের হামলার পর নিজ আগ্রহে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন এলিরান। এর আগে তিনি কাজ করতেন দেশটির একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে।গাজায় ১৮৬ দিন ছিলেন এলিরান। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর বুলডোজারে হামলা চালানো হয়। এতে হাঁটুতে আঘাত পান তিনি। তারপর চিকিৎসার জন্য গাজা থেকে ইসরায়েলে ফিরিয়ে নেওয়া হয় তাঁকে। এপ্রিলে তাঁকে পিটিএসডির চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়। প্রতি সপ্তাহেই থেরাপি নিচ্ছিলেন। তবে এই চিকিৎসা তাঁর জীবনে কোনো কাজে আসেনি।আত্মহত্যা করা এই ইসরায়েলি সেনার মা বলছিলেন, সে অনেককে মারা যেতে দেখেছে। হয়তো কাউকে হত্যাও করেছে। তবে সন্তানদের এসব করার শিক্ষা আমরা দিই না। তাই যখন সে এমন কিছু করেছিল, তখন হয়তো বড় একটা ধাক্কা খেয়েছিল।গুই জাকেন। এলিরানের এই বন্ধু গাজায় তাঁর সঙ্গে বুলডোজার চালাতেন। তিনি এখন মাংস খেতে পারেন না। খাওয়ার সময় গাজায় বুলডোজারের ভেতর থেকে দেখা নানা দৃশ্যের কথা তাঁর মনে পড়ে। ঘুমাতে গেলে একপ্রকার সংগ্রাম করতে হয়। কারণ, তাঁর কানে সব সময় বাজে বিস্ফোরণের শব্দ।গাজায় যেসব মরদেহ দেখেছেন, সেগুলোকে এখন ‘মাংসের’ মতো মনে হয় গুই জাকেনের কাছে। তিনি বলেন, ‘আপনি যখন বুলডোজারের বাইরে তাঁদের (ফিলিস্তিনি) ও আমাদের (ইসরায়েলি সেনা) প্রচুর রক্ত ও মাংস পড়ে থাকতে দেখবেন, তখন তা সত্যিকার অর্থে আপনার খাবারের ওপর প্রভাব ফেলবে।ইসরায়েলের এক সেনা বলেন, ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে, গাজার বেসামরিক লোকজন খারাপ। কারণ, তারা হামাসকে সাহায্য করে। তাদের গোলাবারুদ লুকিয়ে রাখে।ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ভাষ্যমতে, গাজায় বেসামরিক মানুষের মৃত্যু কমাতে তারা সম্ভাব্য সবকিছু করছে। কোনো হামলার আগে বেসামরিক লোকজনকে সতর্ক করতে খুদে বার্তা পাঠানো হচ্ছে ও ফোন করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় আকাশ থেকে সতর্কবার্তা লেখা খুদে বার্তাও পাঠানো হচ্ছে। এরপরও গাজায় বিপুল পরিমাণ বেসামরিক লোকজন নিহত হচ্ছেন। এমনকি নিজেদের ঘোষণা করা ‘নিরাপদ অঞ্চলেও’ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।লন্ডনের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আহরণ বার্গম্যান। ১৯৮২ সালে লেবানন যুদ্ধের সময়সহ মোট ছয় বছর তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর হয়ে কাজ করেছেন। তাঁর মতে, ইসরায়েল এখন পর্যন্ত যত যুদ্ধ করেছে, তার চেয়ে এবারের যুদ্ধ ভিন্ন। বার্গম্যান বলেন, এবারের যুদ্ধ শহর এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে চলছে। সেনাদের বহু মানুষের মধ্যে লড়তে হচ্ছে। তাঁদের অধিকাংশই বেসামরিক।সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ইসরায়েলি সেনাদের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ ছিল আত্মহত্যা। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ইসরায়েলে ফেরার পর অনেক সেনা সাধারণ জীবনযাপন করতে পারছে না বলে মনে করেন আহরণ বার্গম্যান। কারণ, শহুরে এলাকায় এই যুদ্ধে বহু নারী ও শিশু নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গাজায় শিশুদের নিহত হতে দেখার পর কীভাবে আপনি আপনার সন্তানদের ঘুম পাড়াবেন?গাজা থেকে ফেরার পর শুধু এলিরানই নন, ইসরায়েলের আরও অনেক সেনা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনীর তথ্যের বরাতে দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম হারেৎজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১১ মে পর্যন্ত ১০ জন ইসরায়েলি সেনা আত্মহত্যা করেছেন।
২২ অক্টোবর ২০২৪ সকাল ০৯:০৭:১৫নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৩’র জুরি বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (চলচ্চিত্র) সভাপতি করে মোট ১৩ জন সদস্যকে নিয়ে গঠিত হয়েছে এই জুরি বোর্ড। ১৫ সেপ্টেম্বর রোববার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।এতে সভাপতি হিসেবে আছেন অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র), তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সদস্য হিসেবে আছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক।জুরি বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন, সংগীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ, অভিনেত্রী অপি করিম, অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন, চিত্রগ্রাহক বরকত হোসেন, গায়িকা নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি।এ ছাড়াও সদস্য হিসেবে জুরি বোর্ডে আরও রয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের সভাপতি এস এম ইমরান হোসেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাংবাদিক ওয়াহিদ সুজন।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৩:১৯:৫৩বিনোদন ডেস্ক: জনপ্রিয় বলিউড তারকা গোবিন্দ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ১ অক্টোবর মঙ্গলবার নিজের রিভলভার থেকে তার পায়ে গুলি লাগে। ব্যাপক রক্তক্ষরণ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৬০ বছর বয়সী এ অভিনেতাকে। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান টামইস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।গোবিন্দর ম্যানেজার শশী শিং গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে ব্যক্তিগত পিস্তলটি তিনি তুলে রাখতে যান। তখন হাত থেকে মাটিতে পড়ে গিয়ে গুলি চলে। তার পায়ে গুলি লেগেছে। চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করতে সক্ষম হয়েছেন।ভোর পৌনে ৫টায় এ অঘটন ঘটে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, গোবিন্দ নিজের কাছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলভার রাখেন। কলকাতায় রওনা দেওয়ার আগে দেখতে গিয়ে হাত থেকে পড়ে যায় সেটি। গুলি ছুটে এসে লাগে পায়ে। যন্ত্রণায় লুটিয়ে পড়েন গোবিন্দ। তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানানো হয়নি।
১ অক্টোবর ২০২৪ দুপুর ০২:৪৪:৫৫নিজস্ব প্রতিবেদক: পাঁচ বছর পর মঞ্চনাটকে ফিরছেন হলিউডের অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট ব্লানচেট। আন্তন চেখভের ‘দ্য সিগাল’-এর আর্কাদিনা চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি।লন্ডনের বার্বিক্যান থিয়েটারে ছয় সপ্তাহ ধরে চলবে এ মঞ্চায়ন। শুরু হবে আগামী বছর ফেব্রুারিতে। পরিচালক থমাস অস্টারমিয়ার বিবিসিকে এ তথ্য জানান।এবারই মঞ্চনাটকে প্রথম নন এই অভিনেত্রী। এর আগে ২০১২ সালে কেট ব্লানচেটকে দেখা গিয়েছিল ‘বিগ অ্যান্ড স্মল’ নামের একটি মঞ্চনাটকে।পরে ২০১৯ সালে লন্ডনে ‘হোয়েন উই হ্যাভ সাফিশিয়েন্টলি টর্চাড ইচ আদার’ নামে। কোভিডের আগে লন্ডনের জাতীয় থিয়েটারে মঞ্চায়ন হয় এটি। পরে আর কোনও মঞ্চনাটকে দেখা যায়নি কেটকে।
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৩:০৩:০০নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে ৯০ এর দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।১৯ অক্টোবর শনিবার নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, ৪ থেকে ৫ দিন আগে মনি কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।পুলিশ জানায়, শিল্পী মনি কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রামপুরার বিটিভি ভবনের পেছনের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।এ প্রসঙ্গে রামপুরা থানার এস আই খান আবদুর রহমান বলেন, ‘মনি কিশোরের ফ্ল্যাটের দরজা ভেতরের দিক থেকে আটকানো ছিল। কদিন তার বাসা থেকে কোনো সাড়া শব্দ পায়নি প্রতিবেশীরা। এক সময় গন্ধ পেয়ে পাশের ফ্ল্যাটের লোকজন জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।’উল্লেখ্য, নব্বই দশকের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর ‘কী ছিলে আমার’, ‘আমি মরে গেলে’, ‘ফুল ঝরে তারা ঝরে’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’ ও ‘আমি ঘরের খোঁজে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি নতুন গান প্রকাশ থেকে দূরে ছিলেন।
২০ অক্টোবর ২০২৪ সকাল ০৭:৪৫:২৫(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT