শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ডামুড্যায় এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ১ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ৭ জুন বুধবার দুপুর ২ টায় শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার এ রায় দেন।মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তের নাম বাবু চৌকিদার (২৫)। সে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার বড় নওগাঁ গ্রামের তাজুল চৌকিদারের ছেলে। যাবজ্জীবন দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন ডামুড্যা উপজেলার বড় নওগাঁ গ্রামের আজগর আলী খানের ছেলে জুয়েল খান (১৯), মৃত বাচ্চু সরদারের ছেলে ফারুক সরদার (২২) ও চর ভয়রা গ্রামের বাদশাহ মিয়া সরদারের ছেলে তানভীর হোসেন শামীম (২২)।মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর ডামুড্যা উপজেলার কুলকুড়ি গ্রামের ওই কিশোরী বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পরদিন সকালে বাড়ির পাশের খালে তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় একই বছরের ২৩ অক্টোবর ডামুড্যা থানায় নিহত কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে।মামলার বাদী বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছেন, আমরা তাতে খুশি। আমরা চাই এই রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক। রায় দ্রুত কার্যকর হলে আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে। আর প্রত্যেক ধর্ষণের ঘটনায় এরকম রায় হলে আমাদের সমাজে ধর্ষণের ঘটনা কমে যাবে।তবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তানভীর আহমেদ শামীমের মা বলেন, আমার ছেলে স্বীকারোক্তি দেয়নি। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো, সেখানে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহ আলম বলেন, এ রায়ে আসলে আমার মক্কেল ন্যায়বিচার পায়নি। আমরা এ মামলার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করি, আমরা সঠিক বিচার পাবো।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফিরোজ আহমেদ বলেন, এর আগে আসামিরা আদালতে ধর্ষণের বর্ণনা দিয়ে নিজেদের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত পর্যবেক্ষণ শেষে আজ এ রায় দিয়েছেন এবং আমরা রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। এ রকম যথাযথ শাস্তি প্রয়োগ হলে ধর্ষণের মতো ঘটনা কমে আসবে।
ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে প্রতিভা সাইন্স ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের দায়ে সরকারী এম এ রেজা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সাবিকুল আহমেদ পিউশকে (১৮) পনের হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া পরবর্তীতে আর ওই ছাত্রীকে কোনো রকমের হয়রানি করবেন না এ মর্মে তার কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে।৭ জুন বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন এ দণ্ডাদেশ দেন। পিউশ উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের সত্যপুর গ্রামের মৃত মাস্টার সহিদ মুন্সির ছেলে।বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রতিভা সাইন্স ল্যাবরেটরি স্কুলের জিতু নামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ভেদরগঞ্জ হেড কোয়াটার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে ইভটিজিংয়ের দায়ে ওই কলেজ ছাত্রকে জরিমানা ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রংপুর ব্যুরো: রংপুর মহানগরীতে ১৫০ ভরি ওজনের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ ফয়সাল হোসেন (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। জব্দকৃত স্বর্ণের বারের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।৭ জুন বুধবার সকাল পৌনে ৯ টার দিকে মহানগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডে যাত্রীবাহী শ্যামলী পরিবহন থেকে ওই যুবককে আটক করা হয়। বিশেষ কৌশলে স্বর্ণের বারগুলো কোমরে বেধে রেখে ছিলেন ওই যাত্রী।আটক ফয়সাল হোসেন মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরের দেওভোগ মৃধাবাড়ি এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর রংপুর জেলার পরিদর্শক আসলাম আলী মন্ডল জানান, ইয়াবার চালান রংপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় শ্যামলী পরিবহনে ফয়সাল নামের এক যাত্রীর কোমর থেকে স্বর্ণের ১৫টি বার জব্দ করা হয়।ওই যাত্রীর পরিহিত প্যান্টের বেল্টের নিচ থেকে বিশেষ কায়দায় স্কচটেপ মোড়ানো ছিল স্বর্ণগুলো। ফয়সাল স্বর্ণের বার ঢাকা থেকে নিয়ে রংপুরে আসছিলেন।মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক আলী আসলাম হোসেন জানান, আটক ফয়সালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে তাকে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হবে।
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে অভিযান চালিয়ে লাখ টাকার হেরোইনসহ ফিরোজা বেগম নামে এক নারী মাদক কারবারিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।আটক ফিরোজা বেগম উপজেলার ধল্লা উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত নান্নু মিয়ার স্ত্রী।৬ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।তিনি জানান, ‘গতকাল রাত ৮ টার দিকে সিংগাইরের দক্ষিণ ধল্লা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১০ গ্রাম হেরোইনসহ ফিরোজা বেগমকে আটক করা হয়। উদ্ধার হেরোইনের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ লাখ টাকা।এ ঘটনায় সিংগাইর থানায় মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে ৩ কেজি গাঁজাসহ সাজিবুল হক (৩০) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে।৫ জুন সোমবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের টুকের বাজার এলাকার পূবালী ব্যাংকের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।আটক যুবক সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর গ্রামের রায়েফ আলীর ছেলে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার কর্মকর্তা শ্যামল বণিক।তিনি জানান, আটক সাজিবুল হককে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
রাশেদ চৌধুরী, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের শিবালয়ে অভিযান চালিয়ে ২০ গ্রাম হেরোইনসহ মো. সেলিম নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।৬ জুন সোমবার বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলার টেপড়া বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মো. সেলিম ঘিওর উপজেলার শ্রীবাড়ি গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে।আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বিকাল ৫ টার দিকে সেলিমকে হেরোইনসহ উপজেলার টেপড়া বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মাদক মামলা চলমান রয়েছে।উদ্ধার মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা। এ ঘটনায় শিবালয় থানায় মাদক আইনে পৃথক একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
উত্তর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এক নারীসহ মানব পাচারকারী চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৪ জুন রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলা সদরের ঝড়কা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা হয়েছে।আসামিরা হলেন- পৌরসভার চান্দশী গ্রামের আতাব আলীর ছেলে সোহেল মিয়া (৩২) ও আবু সাইদের ছেলে গোলাপ মিয়া (৩০), বীরঘাটাইল গ্রামের শাহজাহান সরকারের ছেলে সজিব মিয়া (৩৫) এবং দেউপাড়া ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের জিটু মিয়ার স্ত্রী শিল্পী আক্তার (৩৬)।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করার অপরাধে সক্রিয় মানব পাচারকারী চক্রের ওই চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উপজেলার ঝড়কা বাজারের দক্ষিণ পাশে শিল্পী আক্তারের ভাড়া বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায় দুটি মোটরসাইকেল যোগে কয়েকজন লোকজন চলে যাচ্ছেন। তাদেরকে থামতে বললে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে অঞ্জনা নামে এক নারীসহ চারজনকে আটক করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে অঞ্জনা জানান, শিল্পী আক্তার তার পরিচিত। তিন বছর আগে একই কম্পানিতে চাকরির সুবাদে তাদের পরিচয় হয়। প্রতিনিয়ত তাদের মোবাইলে যোগাযোগ ছিল। নতুন চাকরি দেয়ার কথা বলে ফোন করে রোববার শিল্পী তাকে ঘাটাইলে ঝড়কা এলাকায় তার বাসায় আসতে বলেন। ওইদিন বিকেলে তিনি ঢাকা থেকে ঝড়কা আসেন।তিনি আরও জানান, রোববার দিবাগত রাতে অঞ্জনাকে পতিতাবৃত্তিসহ অসামাজিক কাজে লিপ্ত কারার জন্য সোহেল মিয়া, গোলাপ মিয়া ও সজিব মিয়ার হাতে তুলে দেন শিল্পী। অঞ্জনাকে অসামাজিক কাজ করতে তারা চাপ প্রয়োগ করেন।টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থকে ভাগ্য বিড়ম্বনা অসহায় মেয়েদের কৌশলে ফুসলিয়ে এনে তাদের দিয়ে পতিতাবৃত্তি করান তারা। আসামিরা মেয়েদের বিভিন্ন প্রলোভনে নিয়ে এসে পতিতাবৃত্তি করাতে বাধ্য করেন। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে আসামিরা একটি মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য।ঘাটাইল থানার ওসি মুহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, এ ঘটানায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
নেত্রকোণা প্রতিনিধি: নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি শ্রী রমেন্দ্র চন্দ্র সরকারকে (৬৫) গ্রেফতার করা হয়েছে।৩ জুন শনিবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার ঘাগড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রমেন্দ্র চন্দ্র সরকার ঘাগড়া গ্রামের মৃত রমেশচন্দ্র সরকারে ছেলে।পূর্বধলা থানা সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে পূর্বধলা থানার ঘাগড়া এলাকার এক কিশোরীকে (১৮) একই এলাকার শ্রী রমেশচন্দ্র সরকারের ছেলে শ্রী রমেন্দ্র চন্দ্র সরকার ধর্ষণ করে। পরে ভিকটিমের চাচা বাদী হয়ে একই বছর ২০০২ সালের ১২ জুন পূর্বধলা থানায় একটি ধর্ষণ মামলার দায়ের করেন।মামলার তদন্তকারী অফিসার তৎকালীন এসআই রফিকুল ইসলাম তদন্ত শেষে একই বছরের ১২ সেপ্টেম্বরে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে নেত্রকোণা নারী ও শিশু আদালত ২০১৬ সালের ১৮ মে শ্রী রমেন্দ্র চন্দ্র সরকারকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন।পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৪ জুন রোববার তাকে হাজতে প্রেরণ করা হবে।
সাইফুল ইসলাম সায়েফ, মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি থেকে নাছির উদ্দিন প্রকাশ ওরফে নাছির ডাকাত (৩৩) কে গ্রেফতার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ। নাছির ডাকাত মাতারবাড়ি ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্ৰামের আবু ছৈয়দের পুত্র।১ জুন বৃহস্পতিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাতারবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেনের নেতৃত্ব পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাতারবাড়ি রাঙ্গাখালী মইন্যার ঘোনা নামক এলাকার খামার বাড়ি থেকে নাছিরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে দুইটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও একটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়।এ বিষয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী জানান, গ্রেফতার নাছির এতই দুর্ধর্ষ ছিল যে তার ভয়ে এলাকার লোকজন ভীত ছিল। লোকমুখে একটি কথা শোনা যায় যে সে প্রায় সময় বলত ‘দিনটি পুলিশের, রাতটি আমার’।তিনি আরও জানান, নাছির ডাকাতের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, পুলিশ আক্রান্ত মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলা আদালতে বিচারাধীন।
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রায় দেড় কোটি মূল্যের ৪৭৪০০ পিস ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো গ-৪৯-৩৩৪১) জব্দ করে পুলিশ।গ্রেফতাররা হলো- সায়েদ ইসতিয়াক আহাম্মদ (৩৮), দৌলত আজিম ভূঁইয়া সুমন (৪১), মিম আক্তার খুশী (১৯) ও প্রাইভেটকারের চালক মো. মুজিবুল হক (৩২)।১ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন।সংবাদ সম্মেলনে শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন চট্টগ্রাম থেকে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেটের চালান নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত ভোর রাত আড়াইটার দিকে একদল পুলিশ মেঘনা টোল প্লাজা সংলগ্ন পুলিশ চেকপোস্টে অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকারকে থামানোর জন্য সংকেত দিলে গাড়ির ভিতরে যাত্রীবেশে বসে থাকা তিন মাদক ব্যবসায়ী সায়েদ ইসতিয়াক আহাম্মদ, দৌলত আজিম ভূঁইয়া সুমন ও মিম আক্তার খুশী বের হয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ সদস্যরা ধাওয়া করে পলায়নরত ওই তিন ব্যক্তি ও গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে এক কোটি বিয়াল্লিশ লক্ষ বিশ হাজার টাকা মূল্যের ৪৭৪০০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের রামপালে ২০ পিস ইয়াবাসহ ডিলার টিপুসহ ২ জনকে আটক করেছে রামপাল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।আটকরা হলো- উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের শাহিদ সরদারের পুত্র মো. টিপু সরদার ওরফে ব্লাক টিপু (৪০) ও বাগেরহাট সদরের খেগড়াঘাট গ্রামের মৃত আবুল কাসেমের পুত্র শেখ ফয়সাল (২৫)।জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮ টায় উপজেলার ভাগা সুন্দরবন মহিলা কলেজের গেটের সামনে পাকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ব্লাক টিপু ও তার সহযোগী ফয়সাল ইয়াবা বিক্রি করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসআই খন্দকার মবিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ তাদের আটক করেন। এ সময় তাদের শরীর তল্লাশি করে ২০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপাল থানার ওসি এস. এম আশরাফুল আলম জানান, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কোন মাদক কারবারি এলাকায় থাকতে পারবে না। আটকদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে র্যাবের এক সদস্য গুরুতর জখম হয়েছেন। এ ঘটনায় র্যাবের ছোড়া গুলিতে হামলাকারী সাঈদ আনোয়ার সু্ইট (২৭) গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে আটক করে আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩০ মে মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪ টায় হাড়াভাঙ্গা গ্রামের বাগানপাড়ার মাঠ নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।আহত র্যাবের উপ-পরিদর্শক উত্তম কুমার র্যাব-১২ সিপিসি মেহেরপুর ক্যাম্পে কর্মরত এবং আহত হামলাকারী সাঈদ আনোয়ার সু্ইট হাড়াভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। সে দেড় বছর আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছে।স্থানীয়রা জানান, বিকেল পৌনে ৪ টায় র্যাব-১২, সিপিসি মেহেরপুর ক্যাম্পের একটি টিম উপ-পরিদর্শক উত্তম কুমারের নেতৃত্বে বাগানপাড়া এলাকার ভিটের মাঠে অভিযান চালায়। এ সময় হামলাকারী সাঈদ একটি ধারালো হাসুয়া (কাঁচি) দিয়ে উপ-পরিদর্শক উত্তম কুমারের মাথায় ও পিঠে উপর্যুপুরি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে অন্য র্যাব সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে সাঈদ আনোয়ারের উপর গুলি চালায়। তার দুপায়ে এবং হাতে মোট ৪ টি গুলিবিদ্ধ হয়। পরে আহত অবস্থায় সাঈদকে গ্রেফতার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম হুসাইন বলেন, ঘটনার সময় র্যাবের পক্ষ থেকে কমপক্ষে ৯ রাউন্ড গুলি করা হয়েছে বলে আমি শুনেছি। সুইটের দুই পায়ে ও হাতে ৪টি গুলি লেগেছে।র্যাব-১২ এর সিপিসি মেহেরপুর ক্যাম্প কমান্ডার ও সিনিয়র এএসপি গোলাম ফারুক জানায়, ফেনসিডিলের একটি চালান বেচাকেনা চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে র্যাব-১২ এর একটি টিম অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় সাঈদ। এসময় উপ-পরিদর্শক উত্তম কুমার গুরতর আহত হয়। পরে র্যাব আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লে সাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় তাকে ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়।গুলিবিদ্ধ সাঈদ আনোয়ার সুইট এবং র্যাবের উপ-পরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার দুজনকেই কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের গোয়ইনঘাটে ১৪ মাস বয়সী এক শিশুকে অপহরণের পর ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে শাহ জাহান নামের ওই শিশুকে উদ্ধার করেছে। এছাড়া অপহরণে সহযোগিতার অভিযোগে মমতা বেগম (৪৫) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।৩০ মে মঙ্গলবার সকালে সিলেটের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শেখ মো. সেলিম প্রেস বিফ্রিং করে এসব তথ্য জানিয়েছেন।শেখ মো. সেলিম জানান, ২৭ মে সকালে উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়নের উপরগ্রামের মো. ফয়জুদ্দিনের ছেলে শাহ জাহান নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে ফয়জুদ্দিন গোয়াইনঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। এরপর পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধারে তৎপর হয়। গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের একটি দল হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করে ঐ শিশুকে উদ্ধার করে। নবীগঞ্জ উপজেলার সর্দারপুর গ্রামের মমতা বেগম (৪৫) নামের এক মহিলার বাড়ি থেকে শিশু উদ্ধার করা হয়। এসময় ঐ মহিলাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।তিনি জানান, অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী জাফর প্রকৃত পরিচয় গোপন করে শিশু শাহ জাহানকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী জাফর নিজেকে অসহায় ও অনাথ পরিচয় দিয়ে ফয়জুদ্দিনের বাসায় অবস্থান নেয়। প্রায় ২০ দিন বাড়িতে অবস্থান করে বিশ্বস্ততা অর্জন করে গত ২৭ মে সুযোগ বুঝে ঐ শিশুকে অপহরণ করে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে নিয়ে গ্রেফতার মমতা বেগমের কাছে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে পালিয়ে যায়।পলাতক আসামি জাফরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে সিলেট জেলা পুলিশ।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বিয়ের প্রলোভনে এক যুবতীকে ৩ বছরধরে ধর্ষণ করে তার ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইলের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরকম একটি ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের পন্তাবাড়ী এলাকায়।অভিযোগে জানা যায়, ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মৃত হযরত আলীর ছেলে জাকারিয়া ইসলামের (৩২) সাথে পার্শ্ববর্তী এক যুবতীর ৩ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সময় ওই যুবক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে গিয়ে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে। সম্পতি ঐ অভিযুক্ত জাকারিয়া আলম ভুক্তভোগী যুবতিকে বিয়ে না করে অন্যত্র বিয়ে করে। পরে ঐ যুবতিরও অন্যত্র বিয়ে হলে তাদের দুজনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু যুবতীর স্বামী তাদের এ অবৈধ মেলামেশার বিষয়টি জানতে পেরে যুবতীকে তালাক দেয়। এ সুযোগে জাকারিয়া ঐ যুকতীকে আবারো অনৈতিক মেলামেশার জন্য চাপ দিতে থাকে। এতে রাজি না হওয়ায় পূর্বে তাদের মেলামেশার ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে। এক পর্যায়ে জাকারিয়া ও তার বন্ধুরা ঐ যুবতীর কাছে টাকা দাবি করে এবং ধর্ষনের হুমাকি দিতে থাকে। এতে রাজি না হওয়ায় জাকারিয়া ঐ যুবতীর একটি ব্যক্তিগত ভিডিও ও অশ্লীল কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।এ ঘটনায় ২৯ মে সোমবার নাগেশ্বরী থানায় জাকারিয়া হোসেন ও তার বন্ধু শফিকুল ইসলাম (২৫) কে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই যুবতী।ভুক্তভোগী যুবতী এশিয়ান টিভি অনলাইনকে বলেন, আমার সাথে এতদিন সম্পর্ক করে আমাকে সে ব্যবহার করেছে, জাকারিয়ার আরও বন্ধুদেরকে দিয়েও আমার সাথে খারাপ কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে। আমাকে তারা বাজারের মেয়ের মতো বানাতে চাচ্ছে। আমার কী সম্মান নাই? আমি এ জন্য ২৯ মে সোমবার সকাল ১১ টায় থানায় গিয়ে ওসি স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়ে এসেছি। পরে থানা থেকে ২ জন পুলিশ এসে তদন্ত করে গেছে। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।এ ঘটনায় কথা বলতে জাকারিয়ার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ সময় কথা হয় তার বড় ভাই আব্দুল মোতালেব সাথে। তিনি বলেন, জাকারিয়া বাড়িতে নেই, এক আত্মীয়ের বাড়ি লালমনিরহাটে গেছে। এ ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে সঠিক জানা নেই। আমি সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনসহ মেয়ের বাড়িতে গিয়ে ঘটনা শুনব কী হয়েছে। এসময় জাকারিয়াকে একাধিকবার ফোন করা হলেও সে ফোন রিসিভ করেননি।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান মুকুল বলেন, এই মেয়ের এর আগে ২ বার বিয়ে হয়েছে। ঐ ছেলেও বিয়ে করেছে, তার সংসার আছে। এর মধ্যে একটা ঝামেলা করে বসছে, বুঝতেই পারছেন। দেখি উভয়কে নিয়ে বসে সামাজিকভাবে কোন সমাধান দেয়া যায় কিনা।নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের কানাইঘাটে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ৯ মাসের শিশু সন্তানের সামনে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর ২৯ মে সোমবার দিনভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতাররা হলো- কানাইঘাট উপজেলার নন্দিরাই গ্রামের আলাউদ্দিনের পুত্র দুদু মিয়া (৩৬), বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের পুত্র হেলাল আহমদ (৩৮), বড়দেশ সরদারী পাড়া গ্রামের বিলাল আহমদের পুত্র ফরহাদ (৩৫), বীরদল আগফৌদ গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র আব্দুল করিম ও বীরদল ছোটফৌদ গ্রামের হবিব আলীর পুত্র জুবের আহমদ (২৪)।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ জানায়, গণধর্ষণের সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছে হেলাল আহমদ ও ফরহাদ আহমদ। গ্রেফতার অন্য আসামিরা ধর্ষণে সহায়তা ও ধর্ষিতাকে ফুসলিয়ে অপহরণের সাথে জড়িত।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম দস্তগীর আহমেদ।পুলিশ জানায়, ভিকটিমের বাড়ী কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নে। আনুমানিক ২০ দিন পূর্বে গ্রেফতার আসামি দুদু মিয়ার সাথে কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিকটিমের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে দুদু মিয়ার সাথে ওই নারীর প্রায়ই ফোনে কথাবার্তা হতো। ভিকটিমের ৯ মাসের শিশু কন্যা অসুস্থ হলে দুদু মিয়া তাকে পার্শ্ববর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার ফুটিজুরি গ্রামের এক কবিরাজের কাছে নিয়া যেতে বলে। পরবর্তীতে মেয়ের চিকিৎসার নাম করে রোববার বিকাল ৩টার দিকে দুদু মিয়া ভিকটিমকে তার বাড়ী থেকে নিয়ে যায়। কিন্তু কবিরাজের কাছে না নিয়ে কৌশলে ফুসলিয়ে দুদু মিয়া কানাইঘাটের বীরদল বাজার এলাকায় ওই নারীকে নিয়ে ঘুরতে থাকে। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বীরদল বাজারে থাকা লোকজনের সন্দেহ হয়। এতে দুদু মিয়ার ফোনে তার সহযোগী আব্দুল করিম বীরদল বাজারে চলে আসতে বলে এবং তারা ওই নারীকে কৌশলে মোটরসাইকেল যোগে বীরদল খালোমুরা বাজারে নিয়ে যায়। এতে স্থানীয় কিছু লোকজনের সন্দেহ হলে তাদের আটক করেন।পরে রাত ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন কানাইঘাট বাজারে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার জন্য জুবের আহমদের রিক্সায় তুলে দেওয়া হয়। এসময় ভিকটিমের পিছু নেয় দুদু মিয়া ও আব্দুল করিম। একপর্যায় পুরানফৌদ কবরস্থানের সামনে ভিকটিমের রিক্সা আসা মাত্রই হেলাল আহমদ ও ফরহাদ আহমদ রিক্সার গতিরোধ করে এবং তাকে পুরানফৌদ গ্রামের পিপি হাবিব আলীর নির্জন পুকুরঘাটে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে তারা হেলাল ও ফরহাদ ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে ভিকটিমের প্রচুর রক্তপাত হয়। তখন গণধর্ষণের সাথে জড়িতরা পালিয়ে গেলে ধর্ষিতার আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।পরে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে স্থানীয়দের সহায়তায় সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণের সাথে জড়িতসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে।বর্তমানে গণধর্ষিতাকে পুলিশ হেফাজতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি গোলাম দস্তগীর।
সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের গোলাপগঞ্জে অবৈধভাবে টিলার মাটি কাটায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২৯ মে সোমবার সকালে উপজেলার ধারাবহর টেকনিক্যাল স্কুল সংলগ্ন টিলায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার অভিজিৎ চৌধুরী। অভিযানে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার একদল পুলিশ সহযোগিতা করে।অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধ ভাবে টিলার মাটি কাটায় এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে।
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে হেলাচিয়া গ্রামে ধান কাটতে এসে অপর কৃষি শ্রমিকের হাতে খুন হন আজিদ প্রামাণিক। এ হত্যাকাণ্ডের ১৫ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত সোহেল রানাকে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার কেশবপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।২৯ মে সোমবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান।গ্রেফতার মো. সোহেল রানা রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহত আজিদ প্রামানিক নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার লালোর গ্রামের বাসিন্দা।জানা যায়, গত ২৩ মে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থেকে হরিরামপুর উপজেলার হেলাচিয়া গ্রামের লাভলু মিয়া তার খেতে ধান কাটাসহ অন্যান্য কাজের জন্য দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরিতে সোহেল রানা ও আজিদ প্রামানিককে বাড়ি নিয়ে যান। তাদের দু’জনের পরিচয় ওই মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকাতেই। ২৮ মে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার চালা ইউনিয়নের নারীকাটি গ্রামে লাভলু মিয়ার ধানী জমিতে তারা ধানের খড় শুকানোর জন্য যায়। কিছু সময় কাজ করার পর গাঁজা সেবন করা নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ পর্যায়ে আজিদ সোহেল রানাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেয়। তখন সোহেল উত্তেজিত হয়ে তার হাতে থাকা কারাইল (ধানের খড় শুকানোর জন্য বাঁশের তৈরি লাঠি) দিয়ে আজিদকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর সোহেল ঘটনাস্থল থেকে নিজ এলাকায় আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার ভোর ৪ টার দিকে গ্রামের বাড়ি থেকে সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে ডিবি।হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য জানান, ‘এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হরিরামপুর থানায় নিহতের বাবা আব্দুল কাদের প্রামানিক বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতার সোহেল রানাকে ফোজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি: আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে মো. রাজু আহম্মেদ (৩২) নামে ১ যুবকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)। এ সময় তার কাছ থেকে মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও ১৫ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।২৯ মে সোমবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব-৪ এর সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান। এর আগে, সোমবার ভোর রাতে আশুলিয়া থানার ইউনিক বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক মো. রাজু আহম্মেদ টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা। তিনি পেশাদার মাদক কারবারি বলে জানিয়েছে র্যাব।র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান এশিয়ান অনলাইনকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ গাঁজা সংগ্রহ করে ঢাকা জেলার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইসহ নিকটবর্তী বিভিন্ন এলাকার ডিলার ও খুচরা মাদক বিক্রেতাদের নিকট বিক্রি করে আসছিলো। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: ৫ বছর পরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের আলোচিত বিউটি খাতুন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অন্তঃসত্ত্বা বিউটি বিয়ের চাপ দেয়া তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হত্যার সাথে জড়িত স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।২৯ মে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান সিরাজগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তেব্যে পুলিশ সুপার বলেন, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ব্রাক্ষণগ্রামের সাচ্চু মিয়ার মেয়ে বিউটি খাতুনের বিয়ে হয় ২০১৪ সালে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পারিবারিকভাবে সমঝোতার মাধ্যমে বিউটি তার স্বামী তালাক দেয়। এরপর থেকে বিউটি তার বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলো।বাড়িতে থাকাকালীন বিউটি খাতুনের বাড়ির পাশ্ববর্তী প্রতিবেশি আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ওমর ফারুকের সঙ্গে কথা বলতো এবং মাঝে মধ্যে ওমর ফারুক বিউটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিতো। এমতবস্থায় বিউটির বাবা সাচ্চু মিয়া প্রতিবেশি স্বপন ব্যাপারীকে জানায় যে, ওমর ফারুক তার মেয়েকে ডিস্টার্ব করে, একটু শাসন করে দিতে হবে। স্বপন ব্যাপারী এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় সে ওমর ফারুককে ডেকে এনে শাসন করে।এরমধ্যে স্বপন ব্যাপারী বিউটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে থেকে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। দুই মাসের সম্পর্কে বিউটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেলে স্বপনকে বিয়ে জন্য চাপ দেয় বিউটি। কিন্তু স্বপন বিবাহিত হওয়ায় বিউটিকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। স্বপন ব্যাপারী কী করবে তা ভেবে না পেয়ে প্রতিবেশি ওমর ফারুককে ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে।পরে স্বপন বিউটিকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং বিউটির ছোট খালাকে টাকার প্রস্তাব দিয়ে বিউটিকে হত্যার প্রস্তাব দেয়। ২০১৮ সালের ১৩ মে রাতে স্বপন লোকজন নিয়ে বিউটির বাড়ির পাশে মিলিত হয়। তারা বিউটির ঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত বিউটির হাত, পা ও মাথা চেপে ধরে বালিশ চাপা দিয়ে বিউটিকে হত্যা করে কৌশলে পালিয়ে যায়।এঘটনায় বিউটির বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিউটির বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্ত চলাকালে ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সেনা সদস্য শামছুল হক তালুকদার হিরা (৬০) ও তার স্ত্রী নাজমা খাতুন (৪৫) কে কুপিয়ে আহত করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে ডাকাতদল। ২৮ মে রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায় উপজেলার বাহাদিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এ সময় ডাকাতদল ঘরের আলমিরাতে থাকা ১১ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে শামছুল হকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।স্থানীয়রা জানায়, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য, স্ত্রী ও তার বৃদ্ধ মা বাড়িতে বসবাস করেন। তাদের দুই ছেলের একজন লন্ডন প্রবাসি এবং একজন ঢাকায় একটি মাদরাসায় পড়াশুনা করে। রোববার গভীর রাতে বিল্ডিংয়ের বারান্দার গ্রিল কেটে ডাকাতদলের সদস্যরা ঘরে প্রবেশ করে। পরে ডাকাতির সময় শব্দ হওয়ায় ওই সেনা সদস্যের ঘুম ভাঙে। এসময় ডাকাতির কাজে বাঁধা দেয়ায় তাকে এলোপাথারিভাবে কোপায় ডাকাতরা। তার স্ত্রী বাঁধা দিতে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে ঘরের স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে ডাকতরা পালিয়ে যায়।এদিকে উপজেলায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার কারণে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা। সম্প্রতি উপজেলার মাটিকাটা বাজারে একরাতে ৪ টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া প্রতিদিনই কোন কোন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটলেও ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এতে গুরুত্বর আহত সেনা সদস্যকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বায়ুদূষণের সূচক অনুসারে পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত নগরীর তালিকায় প্রতিনিয়তই শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। জানুয়ারি মাসে প্রায় প্রতিদিন ঢাকার বায়ুমান ছিলো বিপজ্জনক পর্যায়ে। বায়ুদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর কিছু অভিযান পরিচালনা করলেও তা অপ্রতুল। ফলে নগরবাসীর স্বাস্থ্য এখন হুমকির মুখে।বায়ুমান যে পর্যায়ে উপনীত হয়েছে, তাতে সবাইকে ঘরের ভেতর থাকা উচিত। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখা উচিত। যা কোনভাবেই সম্ভব হবে না এই ব্যস্তনগরী ঢাকাতে। এই অবস্থায় ঘর থেকে বের হওয়ার কারণে হাঁপানি, নানা ধরনের শ্বাসতন্ত্রীয় রোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ।এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় পরিবেশবাদী সাতটি সংগঠনের নেতারা গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ঢাকার মধ্যে মাটি বহনকারী ট্রাকগুলো ঢেকে মালামাল বহন করা ও নির্মাণ স্থান ঢেকে কাজ করা এবং মেগা প্রজেক্টের নির্মাণ ও কার্পেটিং কাজ আইন-কানুন মেনে করা।রাজধানীর প্রবেশমুখসহ বিভিন্ন সড়কে সব এলাকায় নিয়মিত পানি ছিটানো ও রাস্তার ওপর থাকা গাছে জমে থাকা ধুলা-ময়লা পরিষ্কার করা। পানির ঘাটতি তৈরি হলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে পানি সরবরাহ করতে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দেওয়া আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের দাবি করা হয়েছে। যেসব গড়ি কালো ধোঁয়া ছাড়ে সেগুলো জব্দ করা ও সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির ইকোনমিক লাইফ নির্ধারণ এবং গাড়ি পুরোনো হলে সেগুলো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ। রপরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া টায়ায় পোড়ানো এবং ব্যাটারি ডিসাইকিপিং না করা। মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখা এবং সেগুলো সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে অপসারণ করা।এর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ঢাকাকে দূষণমুক্ত করতে সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।