• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২৪শে আশ্বিন ১৪৩১ রাত ০২:১৪:২২ (10-Oct-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২৪শে আশ্বিন ১৪৩১ রাত ০২:১৪:২২ (10-Oct-2024)
  • - ৩৩° সে:

নতুন বাংলাদেশে কেমন হবে আইটি খাত

শাহরিয়ার হাসান: একুশ শতকের উন্নতি মানেই যেন আইটি ইন্ডাস্ট্রির সঠিক প্রয়োগ। বিশ্ব এখন ডেটা নির্ভর, যেসব কোম্পানির কাছে সবচেয়ে বেশি ডেটা তারাই এখন সবচেয়ে ভ্যালুয়েবল কোম্পানিগুলোর একটি। যেমন মেটা, গুগল, এপল, এমাজন ইত্যাদি। জ্ঞান বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে অগ্রসর দেশগুলোই আছে উন্নতির চরম শিখরে। সিলিকন ভ্যালি থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন প্রযুক্তি কেন্দ্র সবখানে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও উন্নয়ন হচ্ছে। এই আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিই উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর উন্নয়নের মূল হাতিয়ার।ছাত্র-জনতার বিপ্লবে জন্ম নেয়া নতুন বাংলাদেশের জন্য আইটি সেক্টর অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জিং প্লাটফর্ম। উন্নত বিশ্বের সাথে যদি তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে আইটি সেক্টরের ডেভলপ করা যায় তাহলে গার্মেন্টস শিল্পের পাশাপাশি এই সেক্টরও অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তুলবে।১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হওয়ার পর থেকে আইটি সেক্টর খুবই সীমিত পরিসরে এগিয়েছে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ জনগোষ্ঠীর অভাবে। যেখানে অন্যান্য দেশের মতো আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোও তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? আমাদের আইটি খাতকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে এটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম মেরুদণ্ড হয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে আমাদের কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে?আগেই বলেছি, একটি নতুন দেশে তথ্য প্রযুক্তিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য নতুনভাবে আইটি সেক্টরকে ডেভলপ করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীর বিশ্ব অর্থনীতিতে টিকে থাকার জন্য জাতীয়ভাবে আইটি সেক্টরকে এগিয়ে নেয়া ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প আমাদের নেই। এক্ষেত্রে আমরা কিছু পদক্ষেপ হাতে নিতে পারি।প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনশক্তি বাড়াতে হবে: আইটি খাতে দক্ষ জনশক্তির যোগান বাড়াতে হবে। বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করতে হবে।প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি একদম প্রাইমারি স্কুল লেভেল থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। কম্পিউটারের ইন্টারনেট ব্যবহারের মৌলিক জ্ঞান শিশুকাল থেকে শেখানো উচিত। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় প্রোগ্রামিং, ডেটা সায়েন্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব বিবেচনায় পাঠ্যপুস্তকে বা আলাদা সাবজেক্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রযুক্তি ভিত্তিক কোর্স এবং সংশ্লিষ্ট গবেষণার সুযোগ বাড়ানো উচিত।এগুলোর পাশাপাশি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারগুলোকে আরো আধুনিক করে গড়ে তোলা এবং প্রযুক্তি খাতের চাহিদা অনুযায়ী কোর্স পরিচালনা করা উচিত। এর ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই শিক্ষার্থীরা দক্ষ ও যোগ্য ক্যান্ডিডেট হয়ে গড়ে উঠতে পারবে দেশের আইটি সেক্টরের জন্য।নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে হবে: উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে হলে আমাদেরকেও নিত্য নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করতে হবে। সফটওয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে বাংলাদেশ বেশ ভালো করছে। আমাদের দেশের তৈরি বিভিন্ন সফটওয়ার প্রোডাক্ট, ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন, অ্যাপস ইত্যাদির রয়েছে বিশ্বব্যাপী অনেক গ্রাহক। কিন্তু এসব সফটওয়ারের নির্মাতাদের নেই কোনো সরকারি উৎসাহ ও প্রণোদনা। ফলে নতুনরা এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে উৎসাহ পায় না। নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক স্টার্টআপকে উৎসাহিত করার জন্য সুদবিহীন ঋণ, সরকারি প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।বিশ্বে নিজেদের Ranking ধরে রাখতে হবে: প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ ইন্টারনেট ক্ষেত্রে এখনো অনেক পিছিয়ে। ওকলা স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্সের তথ্যমতে, মোবাইল ইন্টারনেট খাতে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ১০৮তম, যা পূর্বে ছিল ১০১তম। শুধু তাই নয়, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সূচকেও বাংলাদেশ র‍্যাংকিংয়ে এক ধাপ কমে গিয়ে ১০৯ তম হয়েছে। এই ধীরগতির ইন্টারনেট প্রযুক্তিখাতের বিকাশে বড় অন্তরায়।তাই প্রতিযোগিতামূলক ইন্টারনেট বিশ্বে বাংলাদেশকে নিজেদের র‍্যাংকিংয়ে উন্নতি করতে হবে। টার্গেট থাকতে হবে সেরা ২০ এর মধ্যে থাকার। এজন্য আমাদের গতানুগতিক ইন্টারনেট ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে উন্নত বিশ্বের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ স্টার লিংকের কথা বলা যেতে পারে।  স্টারলিংকের মতো উপগ্রহ ভিত্তিক ইন্টারনেট প্রযুক্তি বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য এটি একটি বিশাল সুযোগ। বাংলাদেশের অনেক দূরবর্তী ও গ্রামীণ এলাকায় এখন পর্যন্ত ভালো ইন্টারনেট সংযোগ নেই। স্টারলিংক এইসব এলাকায় উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হলে স্থানীয় উদ্যোক্তারা পণ্য ও সেবা বাজারজাত করতে পারবে। যদিও এটা অনেক ব্যয়বহুল, তবুও সরকার চাইলে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিটা আমাদের আইটি খাতকে উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করতে পারে।বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের স্বপ্ন তখনই পূর্ণতা পাবে যখন ইন্টারনেট ও আইটি সেবা শহরের গণ্ডি পেরিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছাবে। দেশের গ্রামীণ এবং পাহাড়ি অঞ্চলসহ পিছিয়ে থাকা জনপদগুলোতে সুলভ এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। এ লক্ষ্যে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বিদ্যুৎ ছাড়া টেকনোলজি বা ইন্টারনেটের সেবা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা সম্ভব নয়।প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য শুধুমাত্র ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছানোই যথেষ্ট নয়, তাদেরকে ইন্টারনেট ও আইটি ব্যবহারের সঠিক প্রশিক্ষণও প্রদান করতে হবে। এর জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে, যেখানে কম্পিউটার ব্যবহার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং অনলাইন সার্ভিসের ওপর হাতে-কলমে শিক্ষা দেওয়া হবে। এছাড়াও, প্রত্যন্ত এলাকায় ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হলে সেখানে থেকে সরকারি ও বেসরকারি ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করা সহজ হবে।আশা করা যায়, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলকে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে এলে দেশের আইটি খাত আরও সমৃদ্ধ হবে এবং দেশের অর্থনীতিতে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত হবে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে আইটি সেক্টরের অবদান যেন সর্বোচ্চ হয়, সেই লক্ষ্যেই আমাদের সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে মেইনটেইন করতে হবে: আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে দেশি পেমেন্ট মেথডের কোনো মূল্য নেই। আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে না থাকার ফলে, যারা বৈদেশিক মুদ্রার উপর নির্ভরশীল ব্যবসা করে তাদের বিদেশি মুদ্রা অর্জন ও ব্যবহারে বিভিন্ন ধরনের বাধা পোহাতে হয়। এতে করে রফতানি, আমদানি এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ কমে যায়।PayPal, Stripe ইত্যাদি হলো জনপ্রিয় কিছু আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে। এরমধ্যে ওয়ার্ল্ডের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো PayPal, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই PayPal এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লেনদেন হয়ে থাকে। ​পেপাল এবং স্ট্রাইপের মতো পেমেন্ট গেটওয়ে না থাকলে আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের থেকে পেমেন্ট নেওয়া কঠিন হয়ে যায়। এতে করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সহজেই বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশ করতে পারেন না, ফলে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।যারা ই-কমার্স বা ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসায় জড়িত, তাদের জন্য পেমেন্ট গ্রহণ করা অনেক জটিল হয়ে পড়ে। পেমেন্টের সুবিধা না থাকলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা স্থানীয় ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে কম আগ্রহী হয়। নতুন উদ্যোক্তারা বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ থেকে অনেকাংশে বঞ্চিত হয়। বাংলাদেশে PayPal নেই, তাই সরকারের উচিত এটা আমাদের দেশে এভেলেবল নিশ্চিত করা, যাতে বহির্বিশ্বের সাথে আমাদের আর্থিক লেনদেন স্মুথ হয়।স্কিল হোক উন্মুক্ত: যেকোনো দেশের আইটি খাতকে উন্নত করতে হলে স্কিল হতে হবে উন্মুক্ত। অর্থাৎ শুধু নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর দক্ষতা থাকলে চলবে না। যে কোন বিষয়ের দক্ষতার পাশাপাশি আইটি নলেজ ও থাকতে হবে। সরকারকে বাধ্যতামূলক করতে হবে যাতে একাডেমিক কারিকুলামে যেন বিভিন্ন স্কিল শেখা নিশিত হয়। যেমন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে স্টুডেন্টরা তাদের নির্দিষ্ট কারিকুলামের পাশাপাশি ডেটা সায়েন্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং ডিজিটাল মার্কেটিং, ই-কমার্স, ই বিজনেস ইত্যাদি শিখতে পারে। যাতে ভবিষ্যতে কম্পিটিটিভ জব মার্কেটে তার ক্যারিয়ার গড়তে বাধার মুখে পড়তে না হয়।  সংশ্লিষ্ট খাতে যোগ্য ও দক্ষ কর্মী নিয়োগ: সরকারি খাতে বিভিন্ন টেকনিক্যাল ও টেকনোলজিক্যাল কাজকর্ম সমাধান করতে বিভিন্ন এক্সপার্ট এজেন্সি হায়ার করতে হয়, ফলে সরকারি খরচ বেড়ে যায়। এরকম ক্ষেত্রে যদি সংশ্লিষ্ট খাতে দক্ষ ও যোগ্য ক্যান্ডিডেট নিয়োগ দেয়া যায় তবে সরকারি খরচ কমবে, পাশাপাশি দক্ষ জনগোষ্ঠীর জন্য বিপুল কর্মসংস্থান তৈরির নিশ্চয়তা দেয়া যাবে।প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং সার্টিফিকেশনের ব্যবস্থা করা: আইটি সেক্টরের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ট্রেনিং শেষে সার্টিফিকেশনের ব্যবস্থা করা উচিত, যাতে তাদের দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে সরকারি-বেসরকারি আইটি খাতে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে পারে।এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে কাজে লাগানো যেতে পারে। তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্কিলে, বিভিন্ন লেভেলে সার্টিফিকেশন প্রদান করে আসছে। এটাকে একটি স্বচ্ছ ও বাস্তবিক কাকিকুলামের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। একটি সেন্ট্রাল কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এই সার্টিফিকেশনের সরকারি স্বীকৃতি ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে হবে।  এর পাশাপাশি নিয়মিত ওয়ার্কশপ ও সেমিনারের আয়োজন করে প্রযুক্তি খাতের নতুন নতুন ট্রেন্ড সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা উচিত। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা সহজলভ্য করা উচিত।সরকারি সেবা খাতগুলোকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা: সরকারি সেবা খাতগুলোকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা একটি দেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সেবা খাতগুলোকে আরও কার্যকর, স্বচ্ছ এবং সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য করা সম্ভব হয়। জমি ব্যবস্থাপনা, কর ও ভ্যাট সেবা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা সেবা, নাগরিক সেবা (NID, পাসপোর্ট, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন), ব্যবসায় নিবন্ধন এবং লাইসেন্সিং ইত্যাদিকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা উচিত।সরকারি সেবা খাত ডিজিটালাইজেশন করে সাধারণ মানুষের জন্য সেবা সহজ, স্বচ্ছ এবং দ্রুতগতিতে প্রদান করা সম্ভব। এটি দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে এবং সত্যিকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে।ফ্রিল্যান্সারদের সরকারিভাবে স্বীকৃতি প্রদান:  দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং একটি দ্রুত বিকাশমান সেক্টর হিসেবে পরিচিত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিল্যান্সিং শুধু পার্টটাইম কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে ফুলটাইম পেশা হিসেবে গড়ে উঠেছে। দেশের হাজার হাজার তরুণ-তরুণী ফ্রিল্যান্সিংকে তাদের একমাত্র আয়ের উৎস হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ফ্রিল্যান্সিং একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে, ফলে বৈদেশিক মুদ্রার একটি বড় অংশ এ খাত থেকে আসে।তবে, এই খাতের দ্রুত বিকাশ সত্ত্বেও ফ্রিল্যান্সাররা নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সামাজিক ও আইনগত স্বীকৃতির অভাব। ফ্রিল্যান্সারদের আয় এবং পেশা এখনও অনেক ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত নয়, ফলে তারা ব্যাংক লোন, আর্থিক সুবিধা এবং অন্যান্য সামাজিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের সরকারিভাবে স্বীকৃতি প্রদান করা অত্যন্ত জরুরি।নতুন বাংলাদেশে আইটি খাত হবে দেশের উন্নয়নের মূল স্তম্ভ, যেখানে প্রতিটি নাগরিক এবং ব্যবসায়ী ডিজিটাল সুযোগের পূর্ণ ব্যবহার করতে পারবেন। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত এমন একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া, যা প্রযুক্তির সহায়তায় সবার জীবনমানে পরিবর্তন আনবে এবং দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।লেখক: ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিস্ট, উইডেভস।