• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১২ই শ্রাবণ ১৪৩১ বিকাল ০৪:৫৪:৩২ (27-Jul-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১২ই শ্রাবণ ১৪৩১ বিকাল ০৪:৫৪:৩২ (27-Jul-2024)
  • - ৩৩° সে:

স্ত্রীর যৌতুক মামলায় কারাগারে শিক্ষক

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার পালোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামানকে (৩৭) যৌতুক মামলায় এক বছরে সাজার রায় প্রদান করেন রাজশাহী আপিল বিভাগের অতিরিক্ত-২ এর ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম আজাদ।৯-৬-২০২১ ইং নাজমুন নাহার লাভলী বাদি হয়ে তার স্বামী মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, আমলি আদালত ও বোয়ালিয়া মডেল থানা রাজশাহীতে মামলার দায়ের করেন।দীর্ঘ সময় মামলা শেষে রাজশাহীর নিম্ন আদালত এম.এম-৪ এর বিচার ফয়সালায় ওই শিক্ষককে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে । মনিরুজ্জামান পুনরায় আপিল করলে ১৪-৬-২০২৪ তারিখে নিম্ন আদালতে রায় বহাল রাখে রাজশাহী আপিল বিভাগের অতিরিক্ত-২ এর বিচারক আবুল কালাম আজাদ।আসামি মনিরুজ্জামানকে ৪৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলে তিনি ৫০ দিনের মাথায় বুধবার ১০-৭-২০২৪ দুপুরের রাজশাহী কোর্টে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ওই শিক্ষক মনিরুজ্জামান ইসলাম পুঠিয়া উপজেলার পালোপাড়া গ্রামের মৃত. আ. সামাদের ছেলে।উল্লেখ্য, নাজমুন নাহার লাভলী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক । মনিরুজ্জামান ২২,৪/২০২০ তারিখে ইসলামি শরিয়তের বিধানমতে রেজিস্ট্রি কাবিনমূলে বিবাহ করে ওই শিক্ষিকাকে। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী রূপে সংসার করাকালে আমার স্বামী যৌতুক বাবদ ৬ লক্ষ টাকার দাবিতে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।এরপর ২,৬,২০২১ তারিখ রাত্রি ৮টায় মনিরুজ্জামানকে আমার বাবার বাসায় ডাকা হলে তিনি আসে। কথাবার্তার এক সময় আমার পিতা- মাতাকে যৌতুক বাবদ ৬ লক্ষ টাকা না দিলে তার মেয়েকে ভাত- কাপড় দেবে না বলে জানিয়ে চলে যায়। তারপর থেকে আমার সাথে আর কোন যোগাযোগ রাখে না। এর পরে আমি বোয়ালিয়া মডেল থানা, রাজশাহীতে একটি মামলা মামলার দায়ের করি।আসামির বড় ভাই শামসুজ্জামান বলেন, আমার ভাইয়ের বর্তমান অবস্থা আমার জানা নেই। তবে আমি কিছুদিন আগ পর্যন্ত জানি যে আমার ভাই সংসার জীবন একটু ঝামেলার মধ্যে আছে। মামলায় গ্রেফতার হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।এ বিষয়ে পালোপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, সে মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে এসে আমার থেকে ছুটি নিয়ে গেছে। এই মুহূর্তে সে কি অবস্থায় বা এখন কোথায় আছে এটা আমার জানা নেই।পুঠিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোখলেসুর রহমান জানান, এ বিষয়ে আমরা অবগত ছিলাম না, তবে আমরা এইমাত্র এই বিষয়ে জানতে পারলাম। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান