বাংলাদেশের ব্যবসায়িক খাত বৈচিত্র্যময়: সুমন চৌধুরী
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ব্যবসায়িক খাত বৈচিত্র্যময়। এখানে বিভিন্ন শিল্পে সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আরআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফেকচারস অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. সুমন চৌধুরী।১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কমনওয়েলথ ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের ‘সিকিউরিং গ্লোবাল সাপ্লাই চোইন’ শীর্ষক এক বাণিজ্যিক অধিবেশনে তিনি একথা বলেন।অধিবেশনে অতিথি হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন, কমনওয়েলথ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড এবং জি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জিল্লুর হোসেন এমবিইসহ সকল বিদেশি ডেলিকেটস উপস্থিত ছিলেন।ড. সুমন চৌধুরী বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলন সফল করার জন্য যারা এগিয়ে এসেছেন, তাদের সকলকে আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। কমনওয়েলথের সদস্য দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে ও দেশে-বিদেশে বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধিতে এই শীর্ষ সম্মেলনে চেষ্টা করা হয়েছে।তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়িক খাত বৈচিত্র্যময় এবং বিভিন্ন শিল্পে সুযোগ রয়েছে। অধিকন্তু মানব উন্নয়নের ফলাফল অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে।আরআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, আমি বাংলাদেশের ইস্পাত শিল্পের যাত্রা সম্পর্কে শেয়ার করতে চাই, যা ১৯৫২ সালে শুরু হয়েছিল। তারপর ১৯৯০ সালের পরে বাংলাদেশে অবকাঠামো, নির্মাণ কাজ দ্রুত বাড়তে থাকলে ইস্পাতের চাহিদাও একই হারে বৃদ্ধি পায়। যার ফলে দেশের অনেক বড় বড় ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি দেশের উন্নয়ন মাথাপিছু ইস্পাত ব্যবহার দ্বারা পরিমাপ করা হয়। বাংলাদেশে বর্তমান গড় মাথাপিছু ইস্পাত ব্যবহার ৪৮ কেজি।তিনি আরও বলেন, আমি আলোচনায় সিডব্লিউইআইসি চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ডসহ কমনওয়েলথ দেশগুলোর ডেলিগেটসদের সাথে বাংলাদেশ ইস্পাত উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতা বছরে প্রায় ১৫ মিলিয়ন টন এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এটি সর্বমোট ২০ মিলিয়ন টন হবে।