ডোমারে নারীর মরদেহ উদ্ধার, মৃত্যুর কারণ জানেন না স্বজনেরা
নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী ডোমারের ফোয়ারা সুলতানা (৫৩) নামের এক নারীর মরদেহ রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে মরদেহ উদ্ধার হলেও স্বজনেরা তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানেন না।২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার গোমনাতী পাঙ্গা সড়কের স্কুলপাড়ার সড়কের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃত ফোয়ারা সুলতানা ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের উত্তর গোসাইগঞ্জ এলাকার মৃত রহমত আলীর স্ত্রী।মৃত মহিলার ছেলে জাফর ইকবাল জানান, ‘চাকরির সুবাধে বউ বাচ্চা নিয়ে আমি জলঢাকায় থাকি। আমার মা একাই বাড়িতে থাকেন। মা মাঝে মধ্যে আমার ওখানে যাতায়াত করতেন। লোক মারফত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মায়ের মরদেহ দেখতে পাই। কীভাবে মারা গেছে তা জানি না।’ওই মহিলার মেয়ে শ্যামলী আক্তার জানান, ‘আমার মায়ের সাথে দুদিন আগে কথা হয়েছিলো। মায়ের শারীরিক কোনো সমস্যা ছিলো না। নিজ বাড়ি চিলাহাটি থেকে পাঙ্গার এইদিকে কার সাথে এবং কীভাবে এলো এটা আমরা কেউ জানি না। মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে ছুটে এসেছি।’নাজমুল ইসলাম কাজল নামের স্থানীয় একজন জানান, ‘বেলা ২টার দিকে এক ব্যক্তি এক্সসিডেন্ট হয়েছে দাবি করে পানির জন্য চিৎকার করে। এলাকাবাসী তার চিৎকার শুনে পানি নিয়ে এসে দেখতে পায় একজন নারী অচেতন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছে। তাৎক্ষণিক উপস্থিত লোকজন ওই লোকের কথা অনুসারে চিকিৎসার জন্য ওই নারীকে ভ্যানে তুলে দেন। ভ্যানটি হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পানির জন্য চিৎকার করা ওই লোকটি তার বাইকসহ নিহত মহিলার কিছু জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। কিছুদূর যাওয়ার পর মহিলাটির সাথে কেউ না থাকায় ভ্যানচালক মহিলাটিকে পূর্বের স্থানে নামিয়ে দিয়ে চলে যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হন।’ডোমার থানা দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই কাজল কুমার রায় মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’