• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১২ই শ্রাবণ ১৪৩১ সকাল ১১:২৩:৪৪ (27-Jul-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১২ই শ্রাবণ ১৪৩১ সকাল ১১:২৩:৪৪ (27-Jul-2024)
  • - ৩৩° সে:

নোয়াখালীতে জবাই করে বৃদ্ধ হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আব্দুল খালেক ওরফে খাজা মিয়াকে (৮০) জবাই করে হত্যার তেরো দিন পর ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সাথে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করে।১৪ জুলাই রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন।গ্রেফতাররা হলো- উপজেলার চররশিদ গ্রামের মন্তাজ মিয়ার বাড়ির মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে আইয়ুব আনছারী (২৯), পশ্চিম চরজব্বর গ্রামের শফিক উল্যার ছেলে আব্দুল হাকিম (২৩) ও একই গ্রামের রেজাউল হক চৌধুরীর ছেলে মো. রাজু (২২)।নিহত আবদুল খালেক প্রকাশে খাজা মিয়া উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর রশিদ গ্রামের খালেক মিয়ার বাড়ির মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি ৫ সন্তানের জনক ছিলেন।প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, বৃদ্ধ খাজা মিয়ার হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার দুই দিন আগে তার ছোট ছেলে আব্দুলাহর মোবাইলে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে এবং তার বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পুলিশ ওই মোবাইল নম্বরের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আসামি আইয়ুব আনছারীকে সনাক্ত করে। পরে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।জিজ্ঞাসাবাদে আইয়ুব আনছারী এই হত্যাকাণ্ডে তার সহযোগী হিসেবে আব্দুল হাকিমের নাম প্রকাশ করে। পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আব্দুল হাকিমকে উপজেলার কাঞ্চন বাজার এলাকা থেকে আটক করে। এরপর পুলিশ দুই আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত আইয়ুবকে ৪ দিন ও আব্দুল হাকিমের ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে।পুলিশ জানায়, রিমান্ডে থাকা সন্দিগ্ধ আসামি আব্দুল হাকিম পুলিশের কাছে আরও একজনের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য দেয়। তার ভাষ্যমতে অপর আসামি মো. রাজুকে আটক করে। এরপর রাজুকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রাজু পুরো ঘটনা পুলিশের কাছে স্বীকার করে।নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আইয়ুব আনছারী খড়ের স্তূপের পিছন থেকে বের হয়ে ভিকটিমকে আক্রমণ করে। আইযুব আনছারী ডান হাত দিয়ে ভিকটিমের সামনে থেকে গলা চাপ দিয়ে ধরে এবং বাম হাত দিয়ে ভিকটিমের পিঠে ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতের ফলে ভিকটিমের হাতে থাকা বেতের লাঠিটি পড়ে গেলে ভিকটিম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর উপর্যুপরি আক্রমণ করে ও জবাই করে তাকে সকলে মিলে হত্যা করে। অভিযানিক দল পুলিশ রিমান্ডে থাকা আইয়ুব আনছারীর দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে। আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান