• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৭শে আশ্বিন ১৪৩২ রাত ১০:৫৩:১১ (12-Oct-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

জুলাই সনদ না হলে ইতিহাসের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হবে

এম এফ ইসলাম মিলন: বিজয় কার, সুফল কার হাতে? জুলাই অভ্যুত্থান ছাত্র-যুবকদের রক্ত ও ত্যাগে অর্জিত এক বিরল বিজয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো- রাজপথের সেই লড়াইয়ের সুফল ভোগ করছে রাজনৈতিক দলগুলো। যোদ্ধারা আত্মত্যাগ করেছে, অথচ দলগুলো ক্ষমতার সমীকরণে ব্যস্ত।কেন জরুরি জুলাই সনদ? জুলাই যোদ্ধাদের আন্দোলন ছিল গণআকাঙ্ক্ষার বিস্ফোরণ। এই আন্দোলনকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা মানেই জনগণের লড়াইকে দমন করা। তাই জরুরি জুলাই সনদ, যেখানে যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দেওয়া হবে, রাজনৈতিক দায়মুক্তি নিশ্চিত করা হবে এবং সংস্কারের রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হবে।বিশ্লেষকরা মনে করেন, জুলাই সনদ শুধু দায়মুক্তি নয়; বরং ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের নিরাপত্তা সনদও বটে।অভ্যুত্থান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে প্রাণহানি ঘটেছে। প্রচলিত আইনে এটি অপরাধ হলেও, বাস্তবতা ভিন্ন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তো সংঘর্ষ হয়েছিল, সেটি কি অপরাধ?রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, 'ইতিহাসের প্রতিটি বড় পরিবর্তনেই রক্ত ঝরে। কিন্তু তা অপরাধ নয়, বরং ন্যায়ের পথে লড়াই।'বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই যোদ্ধাদের চেতনা ধারণ না করে নিজেদের কৌশলে ব্যস্ত। যেমন, বিএনপি নির্বাচনী বিজয়ের আশায়, আওয়ামী লীগ টিকে থাকার সমীকরণে এবং জামায়াত ও অন্যরা 'সংস্কার' শব্দের আড়ালে কালক্ষেপণ করছে।কিন্তু ছাত্র-জনতার কণ্ঠস্বর কার্যত অনুপস্থিত বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের কণ্ঠ থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে। জুলাই যোদ্ধারা বিজয় এনে দিয়েছিল, অথচ এখনো তারা অনিশ্চয়তার মধ্যে বন্দি। তাদের দায়মুক্তি ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতি না দিলে ইতিহাসের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।তাই আজকের দাবি একটাই, 'জুলাই সনদ হতেই হবে, জুলাই যোদ্ধাদের দায়মুক্তি দিতেই হবে।'লেখক: ব্যবসায়ী ও কলামিস্ট।