বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধার দল : দুলু
নাটোর প্রতিনিধি: বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী এবং নাটোর-২ আসনে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল মুক্তিযোদ্ধার দল। আমরা এই আদর্শকে ধারণ করি, লালন করি। মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাক-হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল, গণহত্যা চালিয়েছিল। তখন একজন দেশ প্রেমিক সেনা অফিসার এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি বলেছিলেন আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর সাথে। বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে কোর্ট মার্শালে জিয়াউর রহমানের ফাসি হতো এই বিদ্রোহ ঘোষণার কারণে নিশ্চিত ফাসি জেনেও তিনি দেশ মাতৃকার জন্য বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন এবং স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।১০ ডিসেম্বর বুধবার সকালে শহরের আলাইপুরের ধানের শীষের প্রার্থী প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরোও বলেন, ইতিহাস থেকে আমরা জেনেছি যখন কোন দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয় তখন সেই দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের নেতা সে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে থাকেন। কিন্তু দূর্ভাগ্য ছিল বাংলাদেশে মানুষের। কোন রাজনৈতিক দলের নেতা সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই। বাংলাদেশের মানুষ সেদিন নেতৃত্বের শূণ্যতায় ভুগছিলেন। জিয়াউর রহমান অপেক্ষায় ছিলেন হয়তো কেউ স্বাধীনতার ঘোষণা দিবে। কিন্তু যখন কোন রাজনৈতিক দলের নেতারা স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন না। তখন জিয়াউর রহমান উপলবদ্ধি করলেন যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিই তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবে না। যদি বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ না হয় তাহলে স্বাধীনতার যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হতে পারবো না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন।স্বপ্ন দেখিয়েই খান্ত হয়নি তিনি রণাঙ্গনে যুদ্ধের নেতৃত্বে দেওয়ার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সেজন্য কোটি কোটি মানুষের আবেগের নাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নাটোর জেলা শাখার সভাপতি আতিকুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম, ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ হোসেন, হাবিবুল ইসলাম আকন্দ হেলাল, আবুল কালাম আজাদ, সেকেন্দার আলী রোজ, জমশেদ আলী, গোলাম রসুল, নঈম উদ্দিন, জেলা বিএনপির আহবায়ক রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, সদস্য সচিব নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন প্রমূখ।