ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সনদপত্র তুলতে এসে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হয়েছেন নিষিদ্ধ শাখা ছাত্রলীগের কৃষিশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সায়মুম খান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি অফিসারদের সহায়তায় থানায় সোপর্দ করা হয়।
১২ মে সোমবার রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে বান্ধবীসহ আড্ডারত অবস্থায় আটক হন সায়মুম খান।
জানা যায়, গত ২০২৪ সালে ৫ জুন সায়মুম ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের খাইরুল ইসলাম সৌরভকে বেয়াদবি করার অভিযোগে ছাদে নিয়ে নিচে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন ছাত্রলীগের এই নেতা। পরে ভুক্তভোগী তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বরাবর অভিযোগ দায়ের করলেও বিচার পাননি।
১২ মে সোমবার সন্ধ্যার পর ছাত্রলীগের ওই নেতা মেইন গেটে আছে জেনে ভুক্তভোগী সৌরভসহ অন্যরা হাতেনাতে ধরে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি অফিসারদের সহায়তায় তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়।
ভুক্তভোগী সৌরভের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, '২০২৪ সালের ৫ জুন সন্ধ্যা ৭টা ১৩মিনিটে তাকে কল দিয়ে কথাবার্তার অজুহাতে শহীদ আনাস হলের (তৎকালীন শেখ রাসেল হল) ছাদে নিয়ে যায়। পরে জেরা করার এক পর্যায়ে মারধর করে ও ছাদ থেকে ফেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে সে সিঁড়ি দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ধাক্কা দিয়ে সিঁডিতে ফেলে দেয়। ফলে ভুক্তভোগী সৌরভ হাত-পায়ে আঘাত প্রাপ্ত হন এবং রক্তক্ষরণ হয়।’
অভিযুক্ত সায়মুম বলেন, 'আমি সনদপত্র তুলতে এসেছি। ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশ করিনি। বাইরে বসে ছিলাম হঠাৎ করে এমন আক্রমণ। আমি সঠিক জানি না তারা কেনো এমন করেছে।'
ভুক্তভোগী সৌরভ বলেন, ‘ওর গার্লফ্রেন্ড আমার বিভাগে পড়ে। আমার বান্ধবী। তার সাথে একদিন আমি ঘুরে ছিলাম। যার কারণে সে আমাকে ডেকে নিছে, তার পরে ছাদে নিয়ে গিয়ে আমাকে ভীষণভাবে মারধর করেছে, ছাদ থেকে ফেলে দিতে নিছিল, আমি অনেক কষ্ট তখন পালিয়ে আসছি।’
এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ওই ছেলেকে আমাদের হাতে সোপর্দ করে। আমরা জানতে পেরেছি সে (সায়মুম খান) নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতা। ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে জড়িত দেখিয়ে মঙ্গলবার তাকে কোর্টে চালান করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজামান বলেন, ‘যেহেতু সে ছাত্রলীগের পোস্টধারী নেতা। সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগেই অবগত রেখেছে যে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কোনো নেতা যদি বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available