নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সাতটি অঞ্চলে দুপুর ১টার মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
৪ জুলাই শুক্রবার আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর এলাকায় বজ্রমেঘ তৈরি হচ্ছে এবং বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। সতর্কবার্তায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
একই দিন আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে আগামী শনিবার (৫ জুলাই) থেকে দেশের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। যা টানা চারদিন মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের মাস হলো জুন। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় জুলাই মাসে। কিন্তু সেই হিসাবে এবার জুন মাসে তেমন বৃষ্টি হয়নি দেশে। তবে এ বছর মে মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সাধারণত জুন মাসে রাজধানীতে গড়ে ৩২১.৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। কিন্তু এ বছরের জুন মাসে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ১৮০ মিলিমিটার। স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টি কম হয়েছে প্রায় ৪৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available