লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরে উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন মুগের জাত বিনামুগ-৫, বিনামুগ-৮, বিনামুগ-৯ এবং বিনামুগ-১০ এর সাথে বারি মুগ-৬ এর প্রায়োগিক পরীক্ষণ মূল্যায়ন ও চাষাবাদ সম্প্রসারণ নিয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯ মে সোমবার বিকালে সদর উপজেলার হয়বতপুর এলাকায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী যুক্ত ছিলেন বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ।
এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হাবিবুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদার, উপপ্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, বিনা উপকেন্দ্র ঈশ্বরদীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ইকবাল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নীলিমা জাহান, উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আমিষের চাহিদা মেটাতে এবং কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে বিনার এসব উচ্চফলনশীল ও স্বল্পমেয়াদি জাত চাষা করলে মুগ উৎপাদনে নতুন মাত্রা যোগ হবে। পরীক্ষণ প্লটে দেখা যায় বিনামুগ-৮ এর ফলন সবচেয়ে ভালো হয়েছে। মাঠ দিবসে উপস্থিত কৃষকদের উৎসাহিত করতে প্রদর্শনী প্লটে চাষ করা মুগের ফলন, পড ও বীজের গুণগত মান সরেজমিনে দেখানো হয়।
অংশগ্রহণকারী কৃষকেরা বিনামুগ-৮ এর অফিক ফলন দেখে আগামী মৌসুমে এ জাত চাষের প্রতি অধিক আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিনামুগ চাষী মো. আব্দুল কাদের এবং মো. গোলাম রব্বানী বলেন, তাঁরা বিনার এই প্রকল্পের মাধ্যমে মুগের বীজসহ অন্যান্য যাবতীয় উপকরণ পেয়ে চাষা করেছেন; জাতগুলির মাঝে বিনামুগ-৮ এর বাম্পার ফলনে তাঁরা খুবই খুশি এবং জাতটির প্রায় ৮৫% ফল একসাথে পরিপক্ব হওয়ায় উৎপাদন খরচও তাঁদের কম হয়েছে।
তাঁরা আশা করছেন বিঘা প্রতি তাদের ১৫/২০ হাজার টাকা মুনাফা হবে। বিনার এসব উচ্চফলনশীল জাত চাষাবাদের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধিসহ পুষ্টি নিরাপত্তায় যুগান্তকারী ভুমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা মতামত ব্যক্ত করেছেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available