আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেছেন, ‘এই জাতি কারও চাপের সামনে মাথা নত করবে না। ইরান চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে যেমন দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে, তেমনি চাপিয়ে দেওয়া শান্তির বিরুদ্ধেও অটল থাকবে।’
১৮ জুন বুধবার তাসনিম সংবাদ সংস্থাকে তিনি এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতির প্রসঙ্গ টেনে ইরানের সর্বোচ্চ এই ধর্মীয় নেতা আরও বলেন, ‘যারা ইরান ও তার ইতিহাস জানে, তারা জানে যে ইরানিরা হুমকির ভাষায় সাড়া দেয় না। আমেরিকানদের বুঝতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো সামরিক হস্তক্ষেপ নিঃসন্দেহে অপূরণীয় পরিণতি বয়ে আনবে।’
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরানের আকাশ এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। তবে ইরানের আকাশ আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে নাকি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে, তা স্পষ্ট করে জানাননি ট্রাম্প।
ট্রুথ সোশ্যালের পোস্টে ট্রাম্প লেখেন,‘ইরানের কাছে আকাশসীমা তদারকি করার ভালো ট্র্যাকার এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম ছিল। এবং এসব ছিল প্রচুর পরিমাণে। কিন্তু আমেরিকার তৈরি এ সংক্রান্ত সরঞ্জামের সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এ সংক্রান্ত ভালো পুরাতন জিনিসপত্র আমেরিকার চেয়ে ভালো আর কেউ দিতে পারবে না।’
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে আমেরিকা যুক্ত নয় বলে বারবার বলে আসছেন ট্রাম্প। কিন্তু এবার এমন এক মন্তব্য করলেন, যাতে স্পষ্ট হয় যে–আমেরিকা এই সংঘাতে সরাসরি জড়িত। তবে পোস্টে বিস্তারিত কোনো তথ্য উল্লেখ করেননি তিনি।
এরপর তিনি আরও একটি পোস্ট করেন ট্রুথ সোশ্যালে। সেখানে লেখেন, ‘আমরা ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে (আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি) মারব না। অন্তত এই মুহূর্তে না। তবে আমরা জানি তিনি কোথায় লুকিয়ে আছেন।’
ট্রাম্প লেখেন, ‘তিনি সহজ লক্ষ্যবস্তু। কিন্তু সেখানে তিনি নিরাপদ। আমরা তাকে বের করে (হত্যা!) করব না, অন্তত এই মুহূর্তে নয়। কিন্তু আমরা বেসামরিক নাগরিক বা আমেরিকান সৈন্যদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে দিতে চাই না। আমাদের ধৈর্যের বাধ ক্রমশ ভেঙে যাচ্ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available