• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ১৪ই চৈত্র ১৪৩০ ভোর ০৪:২৩:০৪ (29-Mar-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ১৪ই চৈত্র ১৪৩০ ভোর ০৪:২৩:০৪ (29-Mar-2024)
  • - ৩৩° সে:

অপরাধ

মধুপুরে কিশোরীকে অপহরণের পর দু’দফায় সংঘবন্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ৪

৭ মে ২০২৩ দুপুর ০২:৪০:৫৫

মধুপুরে কিশোরীকে অপহরণের পর দু’দফায় সংঘবন্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ৪

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মধুপুরে এক কিশোরীকে প্রেমিকের সন্ধান দেয়ার নামে অপহরণ করে দু’দফায় সংঘবন্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ভিকটিমের থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৪ ঘন্টার মধ্যে মধুপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সংঘবন্ধ দলের ৪ সদস্যকে আটক করেছে।

আটকরা হলো- টাঙ্গাইলের মধুপুরের কাইলাকুড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৮), বাঘাডোবা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে সজিব (২৮), জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর গ্রামের আঃ ছামাদের ছেলে মামুন (২৬) ও রশিদপুর ভাটিপাড়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩০)।

পুলিশ জানায়, ৫ মে শুক্রবার জামালপুরের রশিদপুর থেকে এক কিশোরীকে (১৬) তার প্রেমিক নাজমুলের কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে টাঙ্গাইলের মধুপুরের কাইলাকুড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৮) ও বাঘাডোবা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে সজিব (২৮) প্রতারণাপূর্বক অপহরণ করে। হাফিজুর রহমান ও সজিব ওই কিশোরীর প্রেমিকের সম্পর্কে চাচাত ভাই। প্রেমিক নাজমুল (২০) একই ইউনিয়নের বাঘাডোবা গ্রামের মোস্তফার ছেলে।

ওই দুই যুবক প্রতারণা করে ওইদিন বিকেল ৫ টার সময় মধুপুরের চাঁদপুর রাবার বাগান এলাকার কালারপাহাড়ে গহীন অরণ্যে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে আবার রশিদপুর চৌরাস্থায় ছেড়ে দেয়।

একই দিন ঐ ভিকটিম অটোযোগে জামালপুরের দিকপাইত যাওয়ার সময় অটো স্ট্যান্ডের লাইনম্যান (মাস্টার) রশিদপুর গ্রামের আঃ ছামাদের ছেলে মামুন (২৬) ভিকটিমকে সহায়তা করার নামে ওই রাতেই আনুমানিক সাড়ে আটার সময় সর্দার বাড়ী গ্রামের খালপাড়ে ধানক্ষেতে নিয়ে রশিদপুর ভাটিপাড়া গ্রামের রুহল আমিনের ছেলে হাফিজুল ইসলামকে (৩০) সঙ্গে নিয়ে ভিকটিমকে পুনরায় দলবদ্ধ ধর্ষণ করে আবার রশিদপুর চৌরাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ভিকটিমের প্রেমিক তাকে খুঁজতে এসে রশিদপুর চৌরাস্তায় অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় চেয়ারম্যানের স্মরণাপন্ন হন। চেয়ারম্যান বিষয়টি মধুপুর থানাকে জানায়। থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাজহারুল আমিন তাৎক্ষণিক পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে অফিসার ফোর্স ঘটনাস্থলে প্রেরণ করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেন। ভিকটিম মধুপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দিলে অফিসার ইনচার্জ মামলা দায়ের করা হয়।

পরে মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় আসামীদের মামলা দায়েরের ৪ ঘন্টার মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। শনিবার আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। আসামি সজিব আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে পুলিশ জানায়।

ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য টাংগাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিম বর্তমানে ওই হাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ জানায়, ভিকটিমের বাড়ী সাতক্ষীরা জেলায়। সে শেরপুরে চাকুরি করে।

মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহারুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় ৪ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। ভিকটিম ডাক্তারি পরীক্ষার শেষে চিৎকিসাধীন রয়েছেন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ









নোয়াখালীতে এক পুকুরে ধরা পড়ল ১০০ ইলিশ
২৮ মার্চ ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:০৯:২০

নওগাঁয় অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
২৮ মার্চ ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:০১:৪৫