নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: প্রতিবেশীর প্রেমের ফাঁদে পড়ে সংসার ভাঙলো প্রবাসী ফিরোজার। প্রেমিকের আশ্বাসে প্রথম সংসার ত্যাগ করেন ফিরোজা। দ্বিতীয়বার ঘর বাঁধেন প্রবাসী প্রেমিক মোর্শেদ আলমের সঙ্গে। দ্বিতীয় সংসারটিও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। নতুন করে ঘর বাঁধার পর কিছু দিন যেতে না যেতেই মোর্শেদ তাকে ডিভোর্স দেয়। শেষ হয়ে যায় তাদের দাম্পত্যজীবন। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের কালিউতা গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, ফিরোজা ও মোর্শেদের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মোর্শেদ বেকার হওয়ায় ফিরোজার পরিবার সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। পরে পরিবারের পছন্দে ফিরোজার অন্যত্র বিয়ে হয়। তবুও গোপনে চলতে থাকে তাদের প্রেম। একপর্যায়ে মোর্শেদের প্রেমের প্রলোভনে পড়ে ফিরোজা তার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেন। এরপর দুজনেই পাড়ি জমান বিদেশে। ফিরোজা সৌদি আরব আর মোর্শেদ যান মালদ্বীপে।
প্রবাস থেকে দেশে ফিরে প্রবাসজীবনের কষ্টার্জিত অর্থে ফিরোজা একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। আর জমি ও অন্যান্য সম্পত্তি রাখা হয় মোর্শেদের নামে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তিন বছর হলো তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। কিছুদিন শান্তিপূর্ণভাবে চললেও বাবার বাড়ির সাথে স্বামীর বাড়ির একটি পুরনো জমি-সংক্রান্ত মামলা নিয়ে দাম্পত্যকলহ শুরু হয় ফিরোজার। অভিযোগ রয়েছে, এ নিয়ে মোর্শেদ ফিরোজাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন এবং একপর্যায়ে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেন।
ফিরোজা বেগম বলেন, ‘প্রথম স্বামীর কাবিনের টাকা দিয়ে মোর্শেদকে বিদেশ পাঠাই। মায়ের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ও আসবাবপত্র ক্রয় করি। সবই করেছি মোর্শেদের জন্য। কিন্তু আজ মোর্শেদ আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।’
বর্তমানে পরিবার ও সমাজ থেকে অবহেলিত হয়ে দুঃসহ এক জীবন পার করছেন ফিরোজা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available