• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ সকাল ১০:২২:১৭ (30-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বুধবার ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ সকাল ১০:২২:১৭ (30-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:

এবার বেইজিংয়েও পালিত হলো বাংলা নববর্ষ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: এবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়েও পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ। ১৪ এপ্রিল সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বেইজিংয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পাঞ্জাবি রেস্টুরেন্টে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বেইজিং প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি চীনা নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠান উপলক্ষে পাঞ্জাবি রেস্টুরেন্টের হলরুমটি সুন্দরভাবে সাজানো হয় এবং আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী বাংলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। ইলিশ মাছ, মিষ্টান্নসহ পান্তা ভাত পরিবেশন করা হয় আগত অতিথিদের।খাবার পরিবেশনার পাশাপাশি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যা পরিচালনা করেন প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। আমন্ত্রিত অতিথিরা বর্ষবরণের গান, লোকসংগীত ও বাংলার পল্লীগান উপভোগ করেন।এছাড়া বাংলাদেশ-চায়না ইয়ুথ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পেকিং ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের প্রফেসর ঝাং শিং এবং সিএমজি বাংলা বিভাগের পরিচালক ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা এবং স্মারক উপহার প্রদান করা হয়। অতিথিদের হাতে উপহার স্মারক তুলে দেন বিসিওয়াইএসএ-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার সামছুল হক, প্রেসিডেন্ট জান্নাতুল আরিফ, জেনারেল সেক্রেটারি ডা. মো. মনিরুজ্জামান শিহাব, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি নয়ন কুমার চৌধুরী এবং ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসাডর আতাউর রহমান সবুজ।অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক পাঞ্জাবি রেস্টুরেন্টের উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার সামছুল হক বলেন, “দেশ থেকে আমরা অনেক দূরে থাকলেও দেশের উৎসবগুলো খুব মিস করি। সেই অনুভব থেকেই নিয়মিতভাবে আমরা এমন আয়োজন করি, যাতে প্রবাসী বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী ও কমিউনিটির সদস্যরা দেশের সংস্কৃতি উপভোগ করতে পারেন। একই সাথে এটি আমাদের দেশের সংস্কৃতি বিদেশিদের কাছে তুলে ধরারও একটি মাধ্যম।”সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের অতিথিদের অংশগ্রহণ ও উপভোগ করতে দেখা যায়। এমনই একজন অংশগ্রহণকারী তুর্কমেনিস্তানের নাগরিককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নববর্ষের খাবার ছিল অসাধারণ। আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেছি।”দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন, স্মৃতিচারণ করেন দেশের নানা দিক নিয়ে। খাবার, ফটোসেশন, গল্প-আড্ডার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থাকে।আয়োজকদের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানানো হয়।