• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৫১:৪৫ (03-Dec-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৫১:৪৫ (03-Dec-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

মানিকগঞ্জে চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় ১১ দোকান উচ্ছেদের অভিযোগ

৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:০০:২৭

মানিকগঞ্জে চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় ১১ দোকান উচ্ছেদের অভিযোগ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌর টার্মিনাল সংলগ্ন ১১টি দোকান ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকারের আপন ভাগ্নে মো. বিলাস ও অনুসারি শ্রমিক লীগের জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম নবুর বিরুদ্ধে উঠেছে এই অভিযোগ। আব্দুস সালাম নবু জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মো. বিলাশ এবং নবু দাবি করেছেন পৌরসভার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের আশপাশে যানজট মুক্ত রাখতে এবং লোকাল যানবাহন রাখার জন্য অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকার ঘর সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌর বাস টার্মিনালের পশ্চিম পাশে ভেঙে দেওয়া পৌর হকার্স মার্কেটের পরিত্যক্ত জমিতে অস্থায়ীভাবে বেশ কিছু দোকান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে ভাতের হোটেল, চায়ের দোকান, পানের দোকান, ইসলামী বইয়ের দোকান ও জুতার দোকান বেশি রয়েছে। এসব নিম্ন আয়ের ব্যবসায়ীদের কেউকেউ ৫ থেকে ১০ বছরের অধিক সময় ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। গত চারদিন আগে নবু ও বিলাসের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন যুবক ভাতের হোটেল মালিক খোরশেদ, মানু, মিঠু, আরিফ, ইউসুফ, সেলিম,
প্রবির দাস, সুরাতি, দিপ্তসহ ভ্রম্যমাণ ব্যবসায়ীদের কাছে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু ব্যবসার অবস্থা ভালো না থাকায় তারা টাকা দিতে পারেননি বলে পুলিশের ভয় দেখিয়ে তারা নিজেরাই উপস্থিত থেকে ভাসমান ব্যবসায়ীদের দোকান ঘর ভেঙে সরিয়ে দেন।

ভুক্তভোগী আরিফ বলেন, মহাসড়ক বর্ধিত হওয়ার কারণে এখানে হকার্স মার্কেট উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ হওয়া সেই মার্কেটে আমার দু’টি দোকান ছিল। দু’টি দোকান উচ্ছেদ হওয়ায় আমি পথে বসে গেছিলাম। পরে হকার্স মার্কেটের খালি জায়গায় আমি চায়ের দোকান বসিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছি। কিন্তু আজ বুধবার বাবুল সরকারের লোকজন এসে আমার ছোট্ট দোকানটি ভেঙে সরিয়ে দিয়েছে। আমি এখন কীভাবে সংসার চালাবো বলতে পারছি না।

আরেক ভুক্তভোগী খোদেজা খাতুন বলেন, আমি ৮ বছর ধরে এখানে ভাতের দোকান করছি। এতদিন কেউ কিছু বলেনি। আজ বুধবার সকালে নবু পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে এসে যাত্রীবাহী লোকাল গাড়ি রাখার কথা বলে দোকান সরিয়ে নিতে বলেন। নিজেরা না সরিয়ে নিলে তারা ভেঙে ফেলার হুমকি দেন। পরে তারাহুরো করে দোকান ঘর সরিয়ে নিয়েছি।

ভুক্তভোগী খোরশেদ আলী বলেন, গত চারদিন আগে নবু এসে আমাদের মত ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের কাছে দোকান অনুযায়ী ২ থেকে ৫ হাজার করে চাঁদা দাবি করেন। সেই টাকা দিতে না পারায় আমাদের দোকান ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। আর আমরা যেখানে দোকান করছি, সেটা হকার্স মার্কেটের জায়গা ছিল, এটি পৌর বাস টার্মিনালের জমি না।

বিলাস সাংবাদিকদের বলেন, আমি গতকাল (মঙ্গলবার) ঘটনাস্থলে থাকলেও আজ (বুধবার) উপস্থিত ছিলাম না। জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আমার মামা বাবুল সরকার বলেছেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশ টার্মিনালের আশপাশ যানজট মুক্ত রাখতে অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা দোকান সরিয়ে ফেলতে হবে। দোকার ঘর ভেঙে ফেলুক সমস্যা নাই। আপনারা বিকেলে এসে বাবুল সরকারের সঙ্গে কথা বলেন।

বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ৮/১০ অনুসারী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন শ্রমিক লীগ মানিকগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম নবু। এ সময় তার কাছে ভাসমান ব্যবসায়ীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো দোকান ঘর সরিয়ে দেই নাই। তারা অবৈধভাবে টার্মিনালের জায়গা দখল নিয়ে ব্যবসা করছেন। আমি কারো কাছে কোনো টাকা চাই নাই। যদি এমন অভিযোগ থাকে তাহলে যাদের কাছে চেয়েছি তারা প্রমাণ নিয়ে থানায় গিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিক।

চাঁদা চেয়ে না পেয়ে দোকান ভেঙে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, এখানে বাইরের কেউ ব্যবসা করে না, আমাদের লোকাল লোকজন করে। ভাসমান এসব ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা চেয়েছে এটার কোনো প্রমাণ পেলে আমরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।

পৌর টার্মিনালের ইজারাদার কোরাইশী এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী এম এ ইরাদ কোরাইশী ইমন বলেন, আমি শুনেছি টার্মিনালের আশপাশে যানজট মুক্ত রাখতে এবং লোকাল যাত্রীবাহী যানবাহন রাখতে ভাসমান দোকানগুলো সরানো হয়েছে। তবে দোকান সরানোর ভয় দেখিয়ে কেউ যদি ভাসমান ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করে, তা আমি সমর্থন করি না। পৌর টার্মিনালের জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকার সাংবাদিকদের বলেন, চাঁদা দাবির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। টার্মিনালের প্রবেশ পথ যানজট মুক্ত রাখতে অস্থায়ী দোকানগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, বিষয়টি জানার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা এই কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ

কক্সবাজারে অস্ত্রসহ আটক ২
৩ ডিসেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:৫০:৫৯







শ্রীপুরে দুই ভাইয়ের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি
৩ ডিসেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৪:৫৬:২৩