কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের কালীগঞ্জের মৃৎ শিল্পিরা মাটি কিনে জিনিসপত্র তৈরি করেন। মাটি ও অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তৈজসপত্র তৈরিতে খরচ আগের চেয়ে অনেক বেশি পড়ে। খরচের তুলনায় লাভ হয় খুব কম। তাছাড়া বর্তমানে প্লাস্টিক ও স্টিল সামগ্রীর কারণে বাজারে মাটির জিনিসপত্রের চাহিদাও কমেছে। বাজারজাতে রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা। এ অবস্থায় মৃৎশিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে পূর্বের ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনতে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
৮ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের নাওয়ান গ্রামের মৃৎশিল্পীদের সাথে মতবিনিময় করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ। এ সময় তিনি মৃৎশিল্পীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ও সমস্যার কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন। পরে উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘দক্ষ যুব গড়বে দেশ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ এই স্লোগানে নাওয়ান গ্রামের মন্দিরের পাশে স্থানীয় নারী-পুরুষদের নিয়ে মৃৎশিল্প বিষয়ক ৭ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
এসময় উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. ইসমাইল ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ। সভায় অন্যান্যের মাঝে উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল হক, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার ইশরাত জাহান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানাজ আক্তার, বক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান আকন্দ ফারুক, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আফরোজা বেগম, উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম শাকিল উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্য মৃৎশিল্প হারিয়ে যাচ্ছে। কালীগঞ্জের সাংবাদিকদের প্রচেষ্টায় উপজেলা প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া মৃৎশিল্পকে পুনরায় উজ্জীবিত করতে সাত দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৃৎশিল্পের উপর ভরসা করে একটি গ্রামের মানুষের জীবন-জীবিকা চলছে। তাদের পূর্ব পুরুষদের পুরনো ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হলে এ শিল্পকে আবারও লোক সমাজে প্রচার করা ও আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাজারজাত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ থেকে দুটি মাটি মিক্সড করার মেশিন দেয়া হবে। আপনারা আবার নতুন উদ্যামে আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন মাটির জিনিসপত্র বানাতে পারবেন। উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সল্পসুদে ঋণ প্রদানসহ এই পেশাকে টিকিয়ে রাখতে সরকারিভাবে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available