রংপুর ব্যুরো: ভারত এতই খারাপ যে তারা পানিকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। পানি কখনও মারনাস্ত্র হতে পারে না। পৃথিবীর কোথাও কোন রাষ্ট্র পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেনি। সেটা ভারত করিয়ে দেখিয়েছে। ভারত কখনও আমাদের তিস্তাসহ ৫৪ টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা দেয়নি। এবার আমরা তিস্তাসহ সকল অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করে ছাড়বো।
৪ মে রোববার বিকেলে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত তিস্তার ন্যায্য হিস্যার দাবিতে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে গণ পদযাত্রার অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক বিএনপি রংপুর বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান দুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণপদযাত্রা ও সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামসহ রংপুরের আট জেলার বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ভারত সরকার শুধু তিস্তা নয় সারা বাংলাদেশের ৫৪টি নদ-নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা অনেক আগেই তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি আদায় করতে পারতাম, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় না আসতো।
বিগত স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনা তিস্তাসহ অন্যান্য নদী গুলোর পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য কখনো ভারতের কাছে একটি দাবিও জানাননি। শেখ হাসিনা সব সময় ভারতকে খুশি করে চলেছেন। স্বৈরাচার সরকার থাকলে অভিন্ন নদীসহ তিস্তা নদীর কোন সংস্কার তারা কখনও করত না।
তিনি বলেন, ভারত তিস্তার পানি বন্ধ করেছে, ফারাক্কার পানি বন্ধ করে দিয়েছে। তারা অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি তারা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা পানিকে মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। সারা বিশ্ব ভারতের এই কার্যকলাপ দেখেছে।
তিনি বলেন, এই আন্দোলন কখনও থামবে না কারণ আমরা একটি সরকারের অপেক্ষায় আছি যে সরকার আমাদের কথা বুঝতে পারবে। দেশের মানুষের ভাষাকে বুঝতে পারবে। মানুষের দাবি দাওয়া পূরণ করতে পারবে। কিছুদিন আগে যে সরকার ছিল তারা কখনও এই দাবি-দাওয়া পূরণ করেনি এবং তারা দাবি দেওয়া পূরণ করার সক্ষমতা রাখত না।
তিনি আরও বলেন, ভারতের কাছে আমাদের অনেক দেনা পাওনা আছে। আমাদের ট্রানজিট আছে, আমাদের পোর্ট আছে। প্রয়োজনে আমরা হিসাব কিতাব করবো। প্রয়োজনে আমাদের তিস্তার পানি চাই, দিতেই হবে ফারাক্কার পানি, চাই দিতেই হবে। যেখানে যেখানে আমাদের পানির অভিন্ন নদী রয়েছে সেখানে আমাদের পানি দিতে হবে। আমাদের এই অহিংস দাবি সারা বিশ্বের কাছে এই মিডিয়ার মাধ্যমে পৌঁছে যাবে। সারা বিশ্ববাসী জানতে পারবে এই ভারত কতটা নিষ্ঠুর, তারা কতটা খারাপ।
তিস্তা পাড়ের মানুষের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে তিনি আরও জানান, তিস্তা পাড়ের মানুষ আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে যে আন্দোলন করে মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছে আমি সেজন্য আপনাদের সাধুবাদ জানাই।
আলোচনা সভা শেষে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাচাও’ স্লোগানে একটি গণ পদযাত্রা প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি নেতৃত্বে শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে রংপুর জেলা স্কুলের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় তিস্তা পাড়ের মানুষসহ আট জেলার কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available