পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন
নিজস্ব প্রতিবেদক : যুক্তরাষ্ট্র ও চীন; উভয় দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশ সুসম্পর্ক রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
১০ জানুয়ারি মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
একইসঙ্গে উভয় দেশের সাথে সুসম্পর্ক রজায় রাখা প্রসঙ্গে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। আমরা অন্য কারও ধানে মই দেই না। তাদের সমস্যা থাকতে পারে। এটা তাদের হেডেক। আমরা তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাই। কী কারণে তাদের অসুবিধা, সেটা আমাদের হেডেক না। এটা তাদের হেডেক। আমরা সুসম্পর্ক রাখতে চাই এবং আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়; এ নীতিতে বিশ্বাস করি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারসাম্য নীতির কারণে বাংলাদেশের দিকে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর নজর বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক সুযোগ-সুবিধা আছে। কেউ এগুলো হাতছাড়া করতে চান না। সেজন্য আসছেন। আর আমরাও চাই, অধিক যোগাযোগ।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। সেই সম্পর্ককে আমরা আরও দৃঢ় করতে চাই।
সোমবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন গ্যাংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই বৈঠক প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, উন্নয়ন সহযোগী চীন বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাসড়কে সম্পৃক্ত থাকতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ যেভাবে চলছে, এর উন্নয়ন অভাবনীয়। চীন এসবের সহযোগী হিসেবে কাজ করতে চায়। চীনের মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যোগান ব্যাহত হচ্ছে, আর্থিক লেনদেনে সমস্যা হচ্ছে ও নতুন নতুন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী দায়িত্ব দায়িত্ব নেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে ঢাকা সফর করলেন। এটি আমাদের জন্য ভালো খবর।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available