• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২ রাত ১০:২০:৪২ (13-May-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২ রাত ১০:২০:৪২ (13-May-2025)
  • - ৩৩° সে:

অপরাধ

রাস্তার মমতাজের মাফিয়া হয়ে উঠার গল্প

১৩ মে ২০২৫ বিকাল ০৫:৫৭:৪৪

রাস্তার মমতাজের মাফিয়া হয়ে উঠার গল্প

বিশেষ প্রতিবেদক: মমতাজ বেগম। সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। সাবেক সংসদ সদস্য। গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসাবে হেরে যান স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে। তবে নির্বাচনে পরাজিত হলেও ৫ আগষ্টে ফ্যাসিষ্ট সরকার পতনের কয়েক ঘন্টা আগেও দুই উপজেলায় একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে রেখেছিলেন মমতাজ। কেউ বিরোধিতা করলেই নিজস্ব বাহিনী দিয়ে অত্যাচার নির্যাতন করতেন এমন অভিযোগও আছে। সরকারি অফিস, হাটবাজার, হাসপাতাল, ক্লিনিক, বাসস্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড, মসজিদ- মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ সবই মমতাজের অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কেউ চাঁদা তোলতেন, কেউ আবার বালু ও ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। নদী ও আবাসন ব্যবসাও ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। এই কাজে আইনি ও প্রশাসনিক সহায়তা করতেন মমতাজ বেগম নিজেই। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ সবই মমতাজের হাতে। সব কমিটিতেই নিজের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের আধিক্য। স্থানীয়রা জানান, মমতাজ তার সৎ ছেলে আবু নাঈম বাশারকে পৌরসভার মেয়র বানিয়েছেন। মমতাজ নিজেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার আপন ভাগিনা শহিদ একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক। সহ-সভাপতিও তার নিজের লোক। উপজেলা ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি মমতাজের ছোট মেয়ে রাইসা রোজ ও নিজ ইউনিয়ন জয়মণ্টপ ছাত্রলীগের সভাপতি তার বড় ভাই এবারত হোসেনের ছেলে ফিরোজ কবির। তার এক সৎ বোন ইউপি সদস্য। সহযোগী সংগঠনের কমিটিগুলো নিয়ন্ত্রণ করতেন মমতাজের পিএস জুয়েল ফকির, এপিএস সজল ও ওবায়দুর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মমতাজকে নিয়ন্ত্রণ করতেন তার ভাগিনা সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহিদ ওরফে ভিপি শহিদ। এই শহিদের নেতৃত্বে একটি হেলমেট বাহিনী ছিল। উপজেলার মানুষ সেই বাহিনীর নাম দিয়েছেন ‘ভিপি বাহিনী’। এই বাহিনীর নেতৃত্ব দিতেন শহিদের ভাগ্নে ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম বিজয়। ২০ থেকে ২৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে এই বাহিনীর সদস্যরা জয়মণ্টপ থেকে উপজেলা পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়ানো ছিল কাজ। এই বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় মমতাজ বেগমকে নিয়মিত প্রটোকল দিতেন। ‘ভিপি বাহিনী’ পৌরসভার বিভিন্ন  দোকানপাট, হাটবাজার, ইন্টারনেট, ক্যাবল, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ভ্রাম্যমাণ হকারদের জিম্মি করে চাঁদা আদায় করত। কেউ চাঁদা না দিলে মারধর ও অত্যাচার নিয়মিত ঘটনা। মমতাজের সহায়তায় চাঁদাবাজি, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন ভিপি শহিদ। পৌর সদরে করেছেন ৭ তলা বাড়ি। নিজের ও স্ত্রীর নামে সদরে প্রায় ৭০ শতাংশ জমি কিনেছেন। অথচ ৮ বছর আগেও এই শহিদের সংসার চলতো না।

সিংগাইর ও হরিরামপুর সরজমিন ঘুরে মমতাজ বেগম সম্পর্কে নানা তথ্য মিলেছে। জ্ঞাত, অজ্ঞাত নানা সম্পত্তি ও দখল, জবরদখলের তথ্য দিয়েছেন স্থানীয়রা।

মমতাজের যত সম্পদ: সিংগাইর জয়মণ্টপ বাসস্ট্যান্ড থেকে ২ কিলোমিটার দূরে  হেমায়েতপুর-সিংগাইর- মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে পূর্ব ভাকুম মমতাজের নিজ গ্রাম। এখানে প্রায় ১৩০০ শতাংশ জমির উপর মমতাজ বেগমের বিরাট বাংলো বাড়ি আছে। ২০০৮ সালেও তার পৈতৃক জমি ছিল মাত্র ৪৮ শতাংশ। পরে সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি হওয়ার পরেই তিনি বাড়ির জমি বর্ধিত করতে থাকেন। চাপ দিয়ে আশপাশের জমি মালিকদের সব জমি কিনে নেন। এখন তার বাড়ির জমি ১৩ একর ছাড়িয়েছে। জমির মধ্যে মহাসড়কঘেঁষা ‘মধুর আড্ডা’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট ও বৈঠকখানা করেছেন মমতাজ। এখানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাউল শিল্পী আসলে তাদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন মমতাজ বেগম। এই ১৩ একর জমির মধ্যে মধু ও উজালা কোল্ড স্টোরেজ, মধুর মেলা, দোতলা বাড়ি, বাউল কমপ্লেক্স ও চার তলা ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করেছেন মমতাজ। স্থানীয়রা জানান, স্থাপনাসহ এই বাড়ি ও জমির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৩ সালে মমতাজ বেগমের ঢাকায় কোনো বাড়ি ছিল না। ব্যবসা বলতে ছিল ৫ শতাংশ জমিতে ছোট পরিসরে টিনশেডের ছাপড়ার মধু উজালা কোল্ড স্টোরেজ নামে আলু হিমায়িতগার। ব্যাংকে সঞ্চয় ছিল ৩০ লাখ টাকা। বর্তমানে তার উত্তরা, মহাখালীতে দুটি ৬ তলা বাড়ি আছে। বাড়ি আছে কানাডাতেও। ব্যবসা, বাড়ি-গাড়ি, জমিসহ তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা। তার ৪টি গাড়ি রয়েছে। এরমধ্যে ল্যান্ড ক্রজার ভি-৮ ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৭-৩৮৭৭। ল্যান্ড ক্রজার ঢাকা মেট্রো-ঘ, ১২-১৪৭৮। টয়োটা হাইয়েস ঢাকা মেট্রো-চ, ১৫-৬১০৯। ফান কার্গো ঢাকা মেট্রো-খ, ১২-৫২৫২। তবে এমপি হওয়ার আগে ২০০৭ সালে তার কোনো ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল না। এখন তিনি দেড় কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন। পরিবারের সদস্যদের জন্যও আলাদা আলাদা গাড়ি রয়েছে। শুধুমাত্র গত পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ২৮ গুণ। কমেছে ঋণের পরিমাণ। ২০১৮ সালে তার বাৎসরিক আয় ছিল ৩৮ লাখ ৮৪ হাজার ২৭৬ টাকা। বর্তমানে তার আয় ৪৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৮ টাকা। সংসদ সদস্য ভাতা ও আনুষঙ্গিক পারিতোষিক বাবদ তিনি বছরে আয় করেছেন ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। তার মধু উজালা কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের ৩ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার আছে।

মা-বোনদের সঙ্গে বিরোধ: মমতাজ বেগমের পিতা মধু বয়াতির প্রথম স্ত্রী এখনো জীবিত আছেন। তার রেহানা, জাহানারা ও শাহানা নামের ৩ কন্যা রয়েছে। মমতাজের মা উজালা বেগম মারা যাওয়ার পরে তাকে সৎ মা মনোয়ারা বেগমই লালন পালন করেন। তবে এমপি হওয়ার পরে তিনি সৎ মা ও বোনদের খোঁজখবর নেননি। এমনকি পিতার রেখে যাওয়া ৪৮ শতাংশ জমিও একাই দখলে রেখেছেন। এ নিয়ে সৎ মা ও বোনদের সঙ্গে বিরোধ চলছে। সৎ মা ও বোনদের মাত্র ৩ শতাংশ জমি দিয়েছেন। মমতাজ তার সৎ মায়ের খুপড়ি ঘরের সঙ্গে টিনের বাথরুম ও বোনের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের সঙ্গে পাকা বাথরুম দিয়ে রেখেছেন। বাউল মেলায় আগতরা এই বাথরুম ব্যবহার করেন। মমতাজের সৎ ৩ বোনের দুজন এখনো ভাড়া বাসায় থাকেন। মমতাজের সৎ মা মনোয়ারা বেগম বলেন, ওর (মমতাজ) মধ্যে কোনো মনুষ্যত্বই নেই। আমাদের বসবাসের বাড়িটা মমতাজ টয়লেট বাড়ি বানিয়ে রেখেছে। শত্রুও এমন করে না। আমাগো ঘরের সঙ্গে জিদ করে ৮টি বাথরুম দিয়ে রাখছে। যাতে দুর্গদ্ধে আমরা থাকতে না পারি। আমার স্বামীর ৪৮ শতাংশ জমির মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ আমাদের দিছে বাকিটা একাই দখল করছে। আল্লাহ ওর বিচার করবে।

১০ পার্সেন্ট ভাগিনা শহিদ: সিংগাইর সদরে সরকারি-বেসরকারি অফিস ছিল মমতাজের ভাগিনা শহিদের দখলে। এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য, সড়ক ও জনপদ, শিক্ষা প্রকৌশল, পানি উন্নয়ন বোর্ড, গণপূর্ত, বিআরটিএ, বিদ্যুৎ অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস, পল্লী উন্নয়ন অফিস, সাব- রেজিস্ট্রার অফিস, ভূমি অফিস, সমাজসেবা অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা, কৃষি, মৎস্য, প্রাণী ও খাদ্য বিষয়ক উপজেলা কৃষি অফিস, মৎস্য অফিস, উপজেলা খাদ্য, প্রাণিসম্পদ অফিস, ভূমি ও রাজস্ব বিষয়ক, উপজেলা ভূমি, উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক, উপজেলা সমাজসেবা অফিসের সব ধরনের কাজে শহিদকে ১০ শতাংশ চাঁদা দিতে হত বলে আলোচনা আছে। চাঁদা না দিলে কাজে আসত বাধা। তবে এসব অফিস থেকে টাকা তোলতেন জানাহারা বেগম। পরে সেই টাকা শহিদের কাছে জমা দিতেন। কোন খাতে কে চাঁদা আদায় করবে, সেটাও নির্ধারণ করে দেয়া ছিল। এলজিইডি দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর শিডিউল কিনতে পারলেও সেই দরপত্র কে জমা দেবে, সেটা শহিদ ঠিক করে দিতেন। কথা না শুনলে ভিপি বাহিনী পাঠিয়ে বাড়িতে হামলা করে দরপত্রের ক্রেতাকে তুলে আনা হত। উপজেলার সব ঠিকাদারি কাজ হয় সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে কমপক্ষে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত দরে। ২০১৫ সালের পর বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান একে একে দখল করে নেন তারা। প্রথমে দখল করেন উপজেলা বাস মালিক সমিতি। এরপর বাজার সমিতি, ক্রীড়া সংস্থা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বালু মহাল, বাজার কমিটি, মসজিদ কমিটি, এমনকি সিংগাইর পাইলট স্কুল ও সরকারি কলেজের পরিচালনা কমিটির পদও তারা দখল করেন। মমতাজ বেগমের রাজনৈতিক সহযোগীদের অনেকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। অধিকাংশের নামেই ডজনের উপরে মামলা রয়েছে। সরজমিন সিংগাইর ঘুরে তেমন কোনো উন্নয়নের চিত্র চোখে পড়েনি। এখনো উপজেলা সদরের রাস্তাঘাট ভাঙাচুরা। উপজেলার প্রতিটি সরকারি অফিসই জীর্ণশীর্ণ। উপজেলা কমপ্লেক্স, থানা ভবন, ভূমি অফিস, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সবগুলোই পুরাতন ভাঙাচুরা ভবন। এতে সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের কর্মকর্তারাও ভোগান্তিতে আছেন।

পদ বাণিজ্য:  দুই বছর আগে একই দিনে সিংগাইর উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি দেয় জেলা ছাত্রলীগ। মমতাজ বেগমের জবরদস্তি ও অভিপ্রায় অনুযায়ী তার পছন্দের ব্যক্তিদের নাম অনুমোদন করে কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। শাকিল আহমেদকে সভাপতি ও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। অভিযোগ আছে সাধারণ সম্পাদক পদের বিপরীতে মমতাজের এপিএস সজল মামুনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। সিংগাইর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান নজরুল। এই দুই নেতার কাছ থেকেও ৮ লাখ টাকা নিয়ে পদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। একই দিনে ১ বছরের জন্য সিংগাইর পৌর ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন করা হয়। সাইফুল ইসলামকে সভাপতি ও টিপু সুলতানকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটির অনুমোদন করা হয়। এই দুজন মমতাজের সৎ ছেলে পৌর মেয়র আবু নাঈমের অনুসারী। তাদের দুজনের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ আছে। সিংগাইর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করা হয়। কমিটির সদস্য সচিব  শাহিনুর রহমান শাহিন। এই পদের বিপরীতেও মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের অভিযোগ আছে।

চাঁদাবাজি: সিংগাইর উপজেলা খাদ্য গুদামের সামনের রাস্তার পাড় ধরে একটি অটোরিকশা ও সিএনজি স্ট্যান্ড আছে। সিএনজি প্রতি দৈনিক ৮০ টাকা চাঁদা নিতেন মমতাজের লোকজন। এই টাকা তোলতেন সালাম কমিশনারের ছেলে রকি আহমেদ। রকি মমতাজ বেগমকে লোকবল ও প্রটোকল দিতেন। এই স্পটে  প্রায় ১০০টি সিএনজি অটোরিকশা আছে। সিংগাইর পাইলট স্কুলের মাঠ দখল করে সাপ্তাহিক হাট বসানো হয়। প্রতি রোববার ও  বৃহস্পতিবার এই হাট বসে। হাটের প্রতি দোকান থেকে ৫০ টাকা চাঁদা তোলা হত। এই টাকা তোলতেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিন। হাটের কোণায় থানার সামনের রাস্তায় মাঠের প্রাচীর ঘেঁষে রাস্তার জমি দখল করে ৫ থেকে ৬টি ভ্রাম্যমাণ দোকান বসানো হয়েছে। প্রতিদিন দোকান প্রতি ১০০ টাকা চাঁদা নেয়া হত।

সিংগাইর শহীদ রফিক সেতুর নিচে ধলেশ্বরী নদীর পাড়ের জমি দখল করে নর্দান পাওয়ার প্ল্যান্টের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ আছে মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে। ৪ বছর আগে এই জমি উদ্ধারে মামলা করে নদী রক্ষা কমিশন। পরে জমি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পাওয়ার প্ল্যান্টের মালিকরা। ২০২২ সালে মমতাজ বেগম কানাডার টরেন্টোতে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বাড়ি নির্মাণ করেছেন। ওই বাড়িতে তার যাতায়াত রয়েছে বলে স্থানীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়া জেলা পরিষদের বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করে নিজের বাড়ির বাউন্ডারি নির্মাণের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

বিয়ে:  মমতাজের প্রথম স্বামী ছিলেন বাউল শিল্পী রশিদ বয়াতি। এরপর ২০০৭ সালে মানিকগঞ্জ পৌরসভা চেয়ারম্যান মো. রমজান আলীর সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। ২০১১ সালে তাকে তালাক দেন। পরে ২০১২ সালে মানিকগঞ্জ সদরের ‘মমতাজ চক্ষু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. মঈন হাসান চঞ্চলের সঙ্গে মমতাজ বেগমের তৃতীয় বিয়ে হয়। ৩ বছর ধরে মঈনের সঙ্গে বনিবনা  নেই। তাকে মারধর ও মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগ রয়েছে। 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ









কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
১৩ মে ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৫:২৭