সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: ভারতের মেঘালয় থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা ফুচকা-চিনি ছিনিয়ে নেওয়ার পর বিজিবি টহল দলের ওপর হামলা করে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ ৪৫ চোরাকারবারির নামে মামলা দায়ের করেছে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি)।
৪ মে শনিবার রাতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন ২৮ বিজিবির সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের তাহিরপুরের লাউরগড় বিওপির বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার।
মামলায় আসামিরা হলেন- উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সদস্য শিমুলতলা গ্রামের বাসিন্দা পেশাদার চোরাকারবারি সাহিবুর মিয়া ওরফে সাহিবুর মেম্বার, একই ইউনিয়নের মাণিগাঁও গ্রামের পাভেল হোসেন, সীমান্ত টিলা বারেকটিলার লিটন মিয়া, বুটকন মিয়া, ইয়াছিন মিয়া, শফিকুল ইসলাম, আলী হোসেন, সীমান্ত গ্রাম বড়গোপ টিলার তোতা মিয়া, বুলবুল মিয়া, আবুল কালাম, জাহাঙ্গীর, কাজল, মাহারাম টিলার ফখর উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, সোলাইমানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জন।
রোববার বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্র জানায়, শনিবার রাতে ৪০ থেকে ৪৫ জন চোরাকারবারি সংঘবদ্ধ হয়ে ভারতের মেঘালয় থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে ফুচকা-চিনির চালান নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশের পর ২৮ বিজিবির লাউরগড় বিওপির বিজিবি টহল দলের সদস্যরা এসব আটক করেন।
এরপর চোরাকারবারিরা সংঘবদ্ধ হয়ে হাঁসুয়া, ধারালো দা, লাঠিসোটা নিয়ে বিজিবি টহল দলের সদস্যদের হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে হামলা করে জব্দকৃত চোরাচালানের ফুচকা-চিনির অধিকাংশ বস্তা ছিনিয়ে নেয়। চোরাকারবারিদের হামলায় বিজিবির ২ সিপাহী ও নায়েক আহত হন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজিবি নায়েক এসএমজি থেকে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেন। এরপর চোরাকারবারিরা বিজিবির ওই নায়েককে আহত করে এসএমজি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।
তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাফিজুল ইসলাম জানান, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available