ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি: মরণঘাতী ক্যান্সারে আক্রান্ত ঢাকা কলেজের কর্মচারী সেলিম মিয়ার পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের ঢাকা কলোজ শাখা।
১৩ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজ ছাত্রশিবিরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে বাস চালক সেলিম মিয়ার হাতে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা তুলে দেয় ।
জানা যায়, সেলিম মিয়া ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী বহনকারী বিজয় ৭১ ( উত্তরা রুট) বাসের ড্রাইভার। গত ৩ - ৪ মাস যাবৎ তিনি মরণঘাতী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে আছে। এ সময়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ করেছে। চিকিৎসা করার জন্য কলেজ প্রশাসন বিভিন্ন সময় আর্থিকভাবে সাহায্য করেছে।
অসুস্থ সেলিম মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, দীর্ঘ দিন যাবৎ অসুস্থতায় ভুগতেছি শুরুর দিকে কয়েক মাস সঠিক ভাবে বুঝতে পারি নি আসলে কি রোগ হয়েছে। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে রোগ ধরা পড়ে আর জানতে পারি মরণঘাতী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছি। এ পর্যন্ত ৩ টি কেমোথেরাপি দিয়েছি আরও কয়টা থেরাপি দিতে হবে সঠিক জানি না। একেকটা থেরাপি দিতে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকার মতো লাগে, আমি সঠিক জানি না কতদিন এই ভাবে চিকিৎসা চালাতে পারব। সকলের কাছে অনুরোধ করছি নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী চিকিৎসার জন্য আমাকে সহায়তা করুন।
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আব্দুর রহমান আফনান বলেন, " ইসলামী ছাত্রশিবির তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে এই সকল সমাজসেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এইসব কার্যক্রম করতে গিয়ে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, " বিগত আওয়াম লীগের আমলে যাদের পাশে আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম তাদেরকেও বিভিন্নভাবে হেনস্তার স্বীকার হতে হয়েছে। বিশেষভাবে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস মসজিদের খাদেম আমাদের কাছ থেকে কুরবানির পশুর গোস্ত নেওয়ার কারণে তাকে চাকুরিচ্যুত করার পাঁয়তারা করা হয় এবং তিন মাসের বেতন কর্তন করা হয়। এই সকল বাধা উপেক্ষা করে মহান আল্লাহর একান্ত মেহেরবানিতে ইসলামী ছাত্রশিবির তার কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ। "
ঢাকা কলেজ ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি আরও বলেন, "আমাদের ক্যাম্পাসের উত্তরা রুটের গাড়ীর ড্রাইভার সেলিম মামা মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত। আমরা ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা কলেজ শাখার পক্ষ থেকে তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য এগিয়ে আসি। ক্যাম্পাস আমাদের একটা পরিবারের মতো এবং এই পরিবারের কেউ বিপদে পড়লে তার পাশে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করি। প্রাথমিকভাবে আমরা তাকে একটা অংশ আর্থিক সহযোগিতা করি এবং আগামীতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করি। এই যুদ্ধ সেলিম মামার একার নয়। এটা আমাদের সকলের। তাই আমি কলেজ প্রশাসন থেকে শুরু করে সকল ছাত্রসংগঠন এবং শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিনীতভাবে আরজ করছি। "
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available