• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২০শে আষাঢ় ১৪৩২ দুপুর ০২:০৫:৪২ (04-Jul-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২০শে আষাঢ় ১৪৩২ দুপুর ০২:০৫:৪২ (04-Jul-2025)
  • - ৩৩° সে:

অপরাধ

১৪১ শিক্ষকের কাছে ৯ লাখ টাকা ঘুস নিয়েছেন ৩ শিক্ষক

২ জুলাই ২০২৫ সকাল ০৮:৩৬:১০

১৪১ শিক্ষকের কাছে ৯ লাখ টাকা ঘুস নিয়েছেন ৩ শিক্ষক

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪১ জন শিক্ষকের বকেয়া বিল দিতে ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা ঘুস নেওয়া হয়েছে। উপজেলা ও জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে দেওয়ার কথা বলে এ অর্থ নেন বড়বাড়ি গোয়ালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আব্দুল কাইয়ুম, ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. চঞ্চল মাহমুদ ও মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান। বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। ঘটনাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

জানা যায়, সদর উপজেলার ৭৩ জন জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ শিক্ষকের মধ্যে বেতন সমতাকরণ বকেয়া বিল, ডিপিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্কেলে বেতন পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত ২৭ জনের বিল এবং প্রধান শিক্ষকের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য ১৪১ জনের কাছ থেকে অর্থ উত্তোলন করেন অভিযুক্ত এ তিন শিক্ষক। এ ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা অফিস ঘিরে রয়েছে আইয়ুব আলীসহ আরও কয়েকজন শিক্ষকের সিন্ডিকেট।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন সহকারী শিক্ষিকা মোছা. সুইটি বেগম বলেন, ডিপিএড এর বকেয়া বিলের জন্য চঞ্চল স্যারকে কয়েক দফায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা দীর্ঘদিন আগে দিয়েছি। এখনো বিলের কোন ব্যবস্থা হয়নি। সহকারী শিক্ষক সনম ফারহানা দিয়েছেন ২ হাজার ৫০০ টাকা। সহকারী শিক্ষিকা মোছা. হালিমা খাতুন টাকা দিয়েছেন আব্দুল কাউয়ুমকে। মারুফা ইয়াসমিন বলেন, কাউয়ুম স্যারকে দফায় দফায় সাত হাজার টাকা দিছি। নারগীস আক্তার দিয়েছেন ২ হাজার টাকা, ফাতিমা আক্তার ২ হাজার টাকা। এভাবে ১৪১ শিক্ষকের কাছে ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা উত্তোলন করা হলেও নিজেদের বিল না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

উৎকোচ আদায়ের বিষয়টি ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. চঞ্চল মাহমুদ ও মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান স্বীকার করে বলেন, ফটোকপি ও এদিক সেদিক যাওয়া-আসাতে খরচ হয়েছে। তবে আব্দুল কাউয়ুমকে মুঠোফোনে কল দিলে সাংবাদিকের পরিচয় পেয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে কলটি কেটে দেন তিনি।

পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মোমিনুল হক বলেন, যে কাজের জন্য অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে সেখানে কোনো অর্থের প্রয়োজন নেই। আমি শুধু কাগজে স্বাক্ষর করেছি। কে অর্থ উত্তোলন করেছে, কেন করেছে কিছুই জানি না।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ



৩৫ ভাষায় শোনা যাবে মক্কার জুমার খুতবা
৪ জুলাই ২০২৫ দুপুর ১২:১৩:৫৬