• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২১শে আষাঢ় ১৪৩২ দুপুর ০১:৪৬:২৮ (05-Jul-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২১শে আষাঢ় ১৪৩২ দুপুর ০১:৪৬:২৮ (05-Jul-2025)
  • - ৩৩° সে:

ক্যাম্পাস

তোমার কি কোনো ‘সেক্সুয়াল ডিজায়ার’ নেই: ছাত্রীকে ইবি শিক্ষকের প্রশ্ন

২ জুলাই ২০২৫ সকাল ০৯:১১:৫৬

তোমার কি কোনো ‘সেক্সুয়াল ডিজায়ার’ নেই: ছাত্রীকে ইবি শিক্ষকের প্রশ্ন

ইবি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক নারী হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী হেনস্তার অন্তত ১৯ টা অভিযোগ বিডিনিউজ টুয়েন্টি ডটকমের হাতে এসেছে।

বিভাগে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বলেন, “বায়োটেক এয়োসিয়েশনের সাপ্তাহিক মিটিং শেষে তিনি আমাকে বাদে বাকি সবাইকে চলে যেতে বলেন তার চেম্বার থেকে। তারপর আমাকে একা পেয়ে অনেকগুলো প্রশ্ন করেন- যেমন, তোমরা এখনও একসাথে থাকোনা কেনো? তোমবা একান্ত সময় কাটাতে কোথায় যাও? তোমার কি কোনো sexual desire নেই? asexual desire মানে আমাকে বুঝিয়ে বলতে থাকেন। এরপর তোমার বাসা লাগবে? শেখপাডায় অনেক ভালোবাসা আছে একরুমের। তুমি বাসা পেলে আমাকেও একদিন দাওয়াত দাও তোমার রুমে।”

গত ২২ জুন বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগে এসব কথা বলেন বিভাগটির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রী। পরে ২৩ জুন অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা। পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঐ শিক্ষককে বিভাগের কার্যক্রম থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

অন্য অভিযোগ পত্র এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্যার আমাকে ইমোতে ভিডিও কল দেন। আমি কল রিসিভ না করায় পরে অডিও কল দেন। তখন তিনি বলেন, অনেকদিন তোমাদের দেখি না, তোমরা মোটা হয়েছো না চিকন হয়েছো দেখার জন্য ভিডিও কল দিচ্ছি। তারপর উনি বলেন, তোমার কি কথা বলার লোক আছে?’ আমি বলি না নেই। তখন তিনি বলেন, এখন বলছো কেউ নেই, কিছুদিন পর তো দেখবো ক্যাম্পাসে কোনো ছেলের হাত ধরে ঘুরছো।’

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপে কুরুচিপূর্ণ মেসেজ প্রদান, ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে দেওয়া, রুমে ডেকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন নিয়ে আপত্তিকর জিজ্ঞাসা, ক্লাসে সবার সামনে আজেবাজে ইঙ্গিত করা, ছাত্রীদের ভিডিও কল দেওয়া, কল না ধরলে রেজাল্ট খারাপ করানোর হুমকি, বিবাহিত ছাত্রীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, নিজের আন্ডারে প্রজেক্ট করতে পছন্দের ছাত্রীদের বাধ্য করা ও ছাত্রীদের বডি শেমিং করাসহ নানাভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ করেন বিভাগটির বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কোনো শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করিনি। হয়তো আমার কথা তারা ভুলভাবে নিয়েছে। কখন কী বলছি এখন বলতে পারছি না। তবে এটি পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক মনে করছি।’

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. একেএম নাজমুল হুদা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দেয়। গত ২৯ তারিখ আমরা একাডেমিক কমিটির সভায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত আপাতত তিনি বিভাগের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন। পরে তদন্ত কমিটি হবে, কখন কোন সেকশন পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা দেখে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।’

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ