গাজীপুরের (শ্রীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন ধান খেতের আইলে ধানের আঁটি রাখাকে কেন্দ্র করে ধারালো ছুরির আঘাতে নাড়ী ভুঁড়ি বের হওয়া নাজমুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ হামলার ঘটনায় আরও দুইজন গুরুতর আহত হন।
গত পহেলা মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার যোগীরসীট গ্রামের গুজার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধানের আঁটি আইলে রাখা নিয়ে দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে তিন জনের মধ্যে গুরুতর আহত নাজমুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ দিন পর ৯ মে শুক্রবার রাতে মারা যান।
আহতরা হলেন,উপজেলার যোগীরসীট গ্রামের মৃত রুসমত আলীর ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৬০) ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম (৪৫)।
নিহতের স্ত্রী খাদিজা আক্তার বলেন, আমার গর্ভে সাত মাসের সন্তান, আমার সন্তান তার বাবার মুখ দেখতে পারিনি, আমি খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
স্থানীয়রা জানান, কাটা ধান আইলে রাখাকে কেন্দ্র করে মোসলেম উদ্দিন ও ফারুকের মধ্যে প্রথমে তর্ক হয়। একপর্যায়ে মোসলেম ফারুককে চড় মারলে ফারুকের ভাতিজা আল আমিন এসে মোসলেমকে ঘুষি মারেন। স্থানীয়রা তখন বিষয়টি সামাল দেন। তবে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আল আমিন তার চাচাতো ভাই রাকিবকে নিয়ে আবার মোসলেম উদ্দিন ও তার ছেলে নাজমুল আহসানকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে নাজমুলের পেট থেকে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। তিন জনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমুলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনা (পহেলা মে) নাজমুলের চাচা বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে মামা দায়ের করেন।
নিহত নাজমুলের মরদেহ শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তার বাড়িতে আনা হয়, নাজমুলের পারিবারিক কবরস্থানে রাত ৯টায় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক থাকলেও তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available