আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্কটল্যান্ড সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে নাটকীয়ভাবে ১০ থেকে ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, বেঁধে দেওয়া এই সময়ের মধ্যে যুদ্ধ শেষ না হলে রাশিয়াকে নতুন করে কঠিন ‘নিষেধাজ্ঞার’ মুখে পড়তে হবে। খবর এএফপির।
২৮ জুলাই সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে খুব বেশি আগ্রহী নন। পাশাপাশি তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বিষয়ে স্বর নরম করে বলেছেন, সেখানে ‘সত্যিকার অনাহার’ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
দক্ষিণ গ্লাসগোর টার্নবেরি গলফ কোর্সে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের পাশে বসে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি ইউক্রেনের বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্রমাগত হামলার কারণে রুশ নেতা পুতিনের বিষয়ে ‘খুবই হতাশ’। এ সময় তিনি তার আগের বেঁধে দেওয়া ৫০ দিনের সময়সীমা কমিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনকে ১০ থেকে ১২ দিনের সময় বেঁধে দেন এবং বলেন, এই সময় গণনা খুব শিগগিরই শুরু হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি মনে করেছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন খুব দ্রুত সব সমস্যার সমাধান করবেন, তবে এখন আর অপেক্ষা করার কোনো কারণ নেই। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সত্যি ভেবেছিলাম এটি (ইউক্রেন যুদ্ধ) শেষ হতে যাচ্ছে। কিন্ত যতবার আমি ভাবি এটি শেষ হয়ে যাচ্ছে, ততবারই পুতিন মানুষ হত্যা করে। (তাই) আমি আর তার সঙ্গে কথা বলতে মোটেও আগ্রহী নই।’
এদিকে, ট্রাম্পের এসব কথার পর ইউক্রেন খুব দ্রুততার সঙ্গে তার প্রশংসা করেছে এবং তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিশেষ সহকারী আন্দ্রি ইয়েরমার্ক বলেছেন, ‘যখন যুক্তরাষ্ট্র শক্তি নিয়ে নেতৃত্ব দেয়, তখন অন্যেরা দুইবার ভাবে।’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধপীড়িত গাজায় যুক্তরাষ্ট্র ‘ফুড সেন্টার’ বা খাবার সরবরাহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করবে বলেও ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু ভালো শক্তিবর্ধক খাবার সেখানে পাঠাব, (যার মাধ্যমে) আমরা অনেক মানুষকে বাঁচাতে পারব। আমি বিশেষ করে শিশুদের কথা বলতে চাইছি–এটা আসলেই ক্ষুধার্ত থাকার ব্যাপার।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available