নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বৈশ্বিক চিকিৎসা সেবায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হবে।
২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রথম অ্যালামনাই পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, এই আয়োজন খ্যাতিমান চিকিৎসকদের মিলনমেলা। এটা শুধু পুনর্মিলনী নয়; বরং নবীন প্রবীণদের মিলনমেলা। অ্যালামনাইয়ের এ ধরণের আয়োজন হল ‘মিটিং উইথ ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ডস’।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠন করে সার্বিকভাবে দেশের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করেন। প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এসময় তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন ধরনের বিশেষায়িত হাসপাতাল জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল, মানসিক হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটসহ বিভিন্ন ধরনের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বিশেষায়িত চিকিৎসার উপর গুরুত্ব প্রদান করেছে। দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের দুরারোগ্য রোগ কিডনি, নিউরো, লিভার ট্রান্সপ্লান্ট ও ওপেন হার্ট সার্জারীসহ জটিল ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে।
তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বিশেষায়িত চিকিৎসার মাধ্যমে জনসেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এর ফলে প্রতিবছর প্রায় ৩৫০কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। সরকার বিগত ১৪ বছরে ৬০০ এর বেশি বিশেষায়িত হাসপাতাল, ১৮০০০ কমিউনিটি ক্লিনিক, কমিউনিটি ক্লিনিকে ধাত্রী সেবা ও টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করেছে। পোলিও ও ধনুষ্টঙ্কার নির্মূলে বাংলাদেশ সরকারের সাফল্য সারাবিশ্বে প্রশংসিত। বিগত ১৪ বছরে ১৪০০০ হাজার চিকিৎসক ও ২২০০০ নার্স নিয়োগের মাধ্যমে জনগণের দোড়গোড়ায় চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ তারই বহিঃপ্রকাশ।
এসময় স্পিকার সম্মাননা সূচক ক্রেস্ট গ্রহণ করেন এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান করেন। এছাড়া, ফটোগ্রাফি কম্পিটিশনে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন ও প্রথম পর্বের শুভ উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিএসএমএমইউ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিএসএমএমইউ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল্লাহ সবুজ।
সম্মেলন বক্তা হিসেবে বক্তৃতা প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ও বরেণ্য কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বিএসএমএমইউ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জাকিয়া সুলতানা।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন প্রো ভাইস চান্সেলর ও প্রথম বিএসএমএমইউ অ্যালামনাই উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান। এ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলরবৃন্দ, প্রো ভাইস চ্যান্সেলরসহ জাতীয় অধ্যাপক, অ্যালামনাইয়ের সদস্যবৃন্দ, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডাক্তারবৃন্দ, বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available